পার্টিতে যাচ্ছেন সুন্দর মেকআপ করে। কিন্তু চোখের নীচের কালো দাগটা পুরো লুকটাই নষ্ট করে দিচ্ছে। ইস, কি বাজেই না লাগে চোখের ওই কালো দাগ বা ব্রণর দাগগুলোর জন্য। কী করবেন? কালো দাগ ঢেকে ফেলুন মাত্র কয়েক সেকেন্ডে। সমাধানের নাম কন্সিলার। সমস্ত দাগ দেখবেন ম্যাজিকের মত উধাও মুখ থেকে! সত্যি, এমনই ম্যাজিক আছে কন্সিলারের মধ্যে। কিন্তু কীভাবে লাগাবেন কন্সিলার, যাতে মুখের দাগগুলোও ঢাকা পড়ে, আবার লুকটাও পারফেক্ট হয়? জেনে নিন তারই কিছু গোপন ট্রিক্স।
এখন কন্সিলারের বিভিন্ন রকম শেডস রয়েছে। এর মধ্যে অবশ্যই আপনার স্কিন টোনের সাথে যায়, এরম কন্সিলার লাগানো দরকার। আরেকটা বিষয় আপনি কি চাইছেন। মুখের ছোট ছোট ব্রণ বা ব্রণর জেদি দাগ ঢাকতে সবুজ কন্সিলার বেস্ট। হলুদ কন্সিলার স্কিন টোন আরও বেশি ব্রাইট করার জন্য। অরেঞ্জ বা রেড ধরনের কন্সিলার খুব ভালো ব্ল্যাক স্পট বা যেকোনো দাগ ঢাকার জন্য। বা চোখের নীচের কালি ঢাকার জন্য। মোটামুটি আপনার স্কিন টোনের থেকে এক শেড হালকা কন্সিলার বেছে নেবেন।
কন্সিলার শেড বেছে নেওয়ার পর, যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল কন্সিলার টাইপ। বিভিন্ন টাইপের কন্সিলার আছে। যেমন স্টিক কন্সিলার, ক্রিম কন্সিলার ও পেনসিল কন্সিলার। বিভিন্ন কন্সিলার বিভিন্ন কভারেজ দেয়। যদি অয়েলি স্কিন হয় আর যদি স্কিনে ওপেন পোরস থাকে, তাহলে ক্রিম বা স্টিকের থেকে লিকুইড কন্সিলার বা পেনসিল কন্সিলার ভালো।
যদি ব্রণ ঢাকতে হয় তাহলেও পেনসিল কন্সিলার ভালো। কারণ পেনসিল দিয়ে জাস্ট ব্রণর ওপর একটা ডট দিন কন্সিলারের। তারপর আস্তে আস্তে কন্সিলারকে ব্রনর ওপর বসিয়ে দেবেন। লাগাতে সুবিধা হবে। আর নাহলে এমনিতে স্টিক কন্সিলার বেশ ভালো মুখের যেকোনো দাগ, চোখের কালি, ব্রণর দাগ ঢাকতে। স্টিক কন্সিলারই একটু মোটা করে দাগের ওপর লাগাতে হবে। এটা বেশ ভালো কভারেজ দেয়।
কন্সিলার লাগানোর জন্য মুখকে রেডি করা খুব দরকার। নাহলে কিন্তু সেই লুকটা একদমই আসবে না। তাই সবচেয়ে আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কোনো মাইলড ক্লিনজার বা ফেশ ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। মুখের আগের মেকআপ যেন না থাকে মুখে এটা দেখবেন। মুখ পরিষ্কার করার পর যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল ময়েশ্চারাইজার। অবশ্যই হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। নাহলে মেকআপ করার পর স্কিন কিন্তু খুব শুকিয়ে যাবে আর মুখ কালো লাগবে। তাই স্কিনের ময়েশ্চারকে ধরে রাখা খুব জরুরী।
মুখ রেডি কন্সিলার লাগানোর জন্য। এবার কন্সিলার লাগানো শুরু করুন চোখের নীচ থেকে। মানে চোখের নীচে কন্সিলার ডট ডট করে লাগান। চোখের দুপাশে লাগান। নাকের পাশ থেকে, একেবারে চোখের বাইরের কোণ পর্যন্ত কন্সিলার ডট ডট করে লাগান। কখনই কন্সিলার ঘষবেন না ক্রিমের মত।
লাগিয়ে, আঙ্গুলের টিপ দিয়ে হালকা ভাবে চেপে বসিয়ে দিন। মেকআপ স্পঞ্জ থাকলে আরও ভালো। তারপর কিচ্ছুক্ষণ ওয়েট করুন। তারপর আস্তে আস্তে ব্লেণ্ড করুন। চোখের নীচে চোখের ত্রিভুজাকৃতি করে লাগান। নাকের দু’পাশেও লাগাবেন। ওই জায়গাটি কিন্তু অবহেলিত হয়।
শুরুটা চোখের নীচ দিয়ে করবেন। চোখের নীচের কালি দূর করুন প্রথমে। এবার মুখের বাকি অংশে মানে গালে যদি ব্রন বা অন্যান্য দাগ থাকে তাহলে সেটা ঢাকারও একটা নিয়ম রয়েছে। দাগের অংশে ছোট ছোট ডট দেবেন কন্সিলারের। তারপর হাত দিয়ে চেপে চেপে বসিয়ে দেবেন। তারপর কিছুক্ষণ ওয়েট করবেন। তারপর আস্তে আস্তে ব্লেণ্ড করবেন। নীচ থেকে ওপর দিকে তুলবেন। কখনই ওপর থেকে নীচের দিকে হবে না। বিশেষত ঠোঁটের দু’পাশটা ভালো করে হাইলাইট করবেন।
কন্সিলার লাগানো তো কমপ্লিট। কিন্তু এরপরই সব শেষ নয়, এরপর ফাউণ্ডেশন লাগানোর পালা। এরপরের লাস্ট টাচ হল কমপ্যাক্ট। কমপ্যাক্ট কন্সিলার ও ফাউণ্ডেশনকে স্কিনে সঠিক ভাবে বসতে সাহায্য করবে। তাই শেষে অবশ্যই কমপ্যাক্টটা পাফ করতে ভুলবেন না। ব্যাস কন্সিলার লাগানো কমপ্লিট।
তাহলে এবার বাজারের হাজারটা কন্সিলার দেখে,কনফিউসড হবার কোন কারণ নেই। সব তো জেনেই নিলেন। এবার আগে ভালো করে ভেবে নিন কেমনটা আপনি চাইছেন। আপনার ইচ্ছা মতই স্কিন আপনার কাছে ধরা দেবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…