মাধ্যমিক পরীক্ষা তো প্রায় চলেই এলো।সবাই নিজের নিজের প্রস্তুতি আশা করি খুব ভালো করে নিচ্ছ।শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং টাচ দিচ্ছ নিশ্চয়ই খুব সুন্দর করে।ভূগোল কিন্তু এমন একটা বিষয় যেখানে খুব অল্প লিখে অনেকটা নম্বর তুলে নেওয়া যায়।তাই ভূগোলের জন্য একটু বিশেষ প্রস্তুতি নিলে কিন্তু মাধ্যমিকের মোট নম্বরে তার প্রভাব পড়বেই।তাই আজ তোমাদের বলে দেবো কীভাবে মাধ্যমিকে ভূগোলে খুব ভালো নম্বর তোলা যায়,তার টিপস।
প্রস্তুতি ভালো নিতে হলে কিন্তু প্রশ্নের নমুনা আগে জেনে নেওয়া দরকার।সেটা জানলেই তুমি বুঝতে পারবে যে তুমি ঠিক কোন জায়গা থেকে বেশী নম্বর তুলতে পারবে।যেমন ধর,ভূগোলের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন নম্বর থাকে ১ আর সবচেয়ে বেশী থাকে ৫।সমগ্র প্রশ্নপত্রকে মোট ৬ ভাগে ভাগ করা হয়।‘ক’ আর ‘খ’ বিভাগে থাকে ১ নম্বরের প্রশ্ন।‘গ’ বিভাগে থাকে ২ নম্বরের প্রশ্ন।‘ঘ’ বিভাগে থাকে ৩ নম্বরের প্রশ্ন।‘ঙ’ বিভাগে থাকে ৫ নম্বরের প্রশ্ন।‘চ’ বিভাগে থাকে রেখামানচিত্র যাতে থাকে ১০ নম্বর,১০ টা স্থান নির্দেশের জন্য।মোট নম্বর লেখার জন্য থাকবে ৯০।এর মধ্যে বেশীরভাগটাই অতিসংক্ষিপ্ত।তাই নম্বর তোলা কিন্তু খুবই সহজ।ভালো করে ১ আর ২ নম্বরের জন্য উত্তর তৈরি করতে থাকো।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর ভালো করে তৈরি করার জন্য একটা আলাদা খাতা তৈরি করে নাও।তাতে ভালো করে সব সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন লিখে ফেল।এটা করতে গিয়ে তোমার গোটা বইটা আরেকবার পড়াও হয়ে যাচ্ছে।আর মুখে মুখে বা মনে মনে বলে অভ্যেস করার থেকে লিখে লিখে করলে দেখবে মনে রাখতে সুবিধা হচ্ছে।শুধু খাতা করলেই হবে না।সেই সব প্রশ্নে শুরুর দিকে রোজ, পরে চাপ বাড়লে সপ্তাহে একবার করে চোখ বুলিয়ে নাও।পরীক্ষার সময় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থেকে সম্পূর্ণ নম্বর তুলতে এই কাজটা কিন্তু করে যেতেই হবে।
যে কোনো পরীক্ষাতেই ভালো নম্বর তুলতে হলে সব বিষয়ে সমান নজর দিতে হয়।ভূগোলের জন্যও সেইটা প্রযোজ্য।সারাদিনের মধ্যে কোন সময়টা ভূগোলের জন্য দেবে সেটা তোমার সিদ্ধান্ত।তবে যেই সময়টাই বেছে নাও না কেন,তখন মন দিয়ে খুঁটিয়ে টেক্সট বই পড়।আগের বছরের প্রশ্ন দেখ।আর সবচেয়ে বড় কথা,টেস্ট পেপার সল্ভ করে ফেলো।দেখবে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।আর নির্দিষ্ট সময় নিয়ে,ঘড়ি ধরে টেস্ট পেপার সল্ভ করার চেষ্টা করো।
➡ মাধ্যমিকে অঙ্কে ভালো নম্বর তোলার টিপস।
ভালো নম্বরের জন্য খুব ভালো করে পড়তে হবে।সাজেশন পড়লে গভীরে গিয়ে ব্যাপারটা জানা যায় না।তাই সাজেশন ছেড়ে পুরো বই ভালো করে পড়।দেখবে নম্বর তুলতে সমস্যা হবে না।আর নম্বরের কথা না ভেবে মন দিয়ে বিষয়টা বোঝো।দেখবে নম্বর এমনিই উঠছে।
ভূগোলের ক্ষেত্রে ছবি আঁকার একটা ব্যাপার থাকে।অনেকসময় ছবির কথা বলা হয় না,কিন্তু তোমায় বুদ্ধি করে ছবিটা আঁকতে হবে।এতে নম্বর বাড়তে পারে।তাই বাড়িতে আঁকাগুলো ঘড়ি ধরে সুন্দর করে আঁকতে চেষ্টা করো।পরীক্ষার হলে এইটা তোমায় অনেকটা সাহায্য করবে।
ভূগোলের আরেকটা দিক হল ম্যাপ পয়েন্টিং।এতে কিন্তু সম্পূর্ণ নম্বর তুলে নেওয়া যায়।তাই ম্যাপ পয়েন্টিং অভ্যেস করো।জায়গাগুলোকে খুব ভালো ভাবে চিনে নাও।তবে এর জন্য শুধু পরীক্ষার আগেই অভ্যেস যথেষ্ট নয়।একটা গ্লোব বা অ্যাটলাসে সবসময় চোখ বোলানোর অভ্যেস রাখতে হয়।তাহলেই ভারতের মানচিত্র হাতের তালুর মতো মনে থাকবে।
দেখো,যদি তুমি ৭০% টার্গেট রাখো,তাহলে সেটা হয়তো ৬০%-৬৫% হতে পারে।তাই ১০০% টার্গেট রাখো আর সেই অনুযায়ী পরিশ্রম করো।কিছু ভালো বই পড়তে পারো টেক্সট বই ছাড়া।এর ফলে দেখবে তোমার উত্তরের মান গড়পরতা লেখার থেকে অনেক ভালো হবে।তোমরা ছায়া প্রকাশনী, প্রান্তিক প্রকাশনীর বই দেখতে পারো।
এতো টিপস তো পেলে,কিন্তু সবসময় পড়লেই কাজের কাজ হয় না। নিজেকে একটু সময় দাও।গল্পের বই খানিক খানিক পড়,একটু টিভি দেখো, গল্প করো।আর সবচেয়ে বড় কথা চাপমুক্ত থাকো।দেখবে পরীক্ষা অনায়াসেই ভালো হবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…