আসছে ১২ ই মার্চ থেকেই শুরু হচ্ছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। তোমরা নিশ্চয়ই সব্বাই চাপা টেনশনে রয়েছ। এত বড় পরীক্ষায় যেহেতু এর আগে বসনি, তাই একটা ভীতি তো কাজ করবেই। কিন্তু তাও যদি প্রস্তুতি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আত্মবিশ্বাসে খামতি হবে না, ভীতিও কেটে যাবে। ফলে, এখন থেকেই লেগে যাও। সব বিষয়ের ওপর সমান গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত প্রস্তুতি নিতে থাকো। অপশনাল বিষয় ধরে মোট বিষয়ের সংখ্যা ৮ টি। এগুলোর প্রতিটিতে সমান গুরুত্ব দিয়ে তোমায় শুরু করতে হবে প্রস্তুতি নেওয়া। শেষ মুহূর্তে এসে এর আগে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তোমাদের পরামর্শ দিয়েছি। আজ তোমাদের পরামর্শ দেবো কীভাবে ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে বেশী নম্বর তুলবে- তা নিয়ে। কী কী বিষয় তোমাদের মাথায় রাখতে হবে, এসো দেখে নিই।
তোমাদের মোট ৩ ঘন্টায় উত্তর লিখতে হবে ১, ২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্নের। পুরো প্রশ্নপত্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত থাকবে– ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ গ্রুপে। প্রথম ‘এ’ গ্রুপে থাকবে ১৫ টি ১ নম্বরের প্রশ্ন। ‘এ’ গ্রুপে থাকবে বহুবিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন, অর্থাৎ একাধিক উত্তরের অপশনের মধ্যে থেকে তোমাকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিতে হবে। ‘বি’ গ্রুপে থাকবে ১ নম্বরের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। উত্তর লিখতে হবে ২১ টি প্রশ্নের। প্রতিটি প্রশ্নের থাকবে একটি করে বিকল্প প্রশ্ন। পছন্দ মতো প্রশ্নটি বেছে নিয়ে উত্তর লিখতে হবে। গ্রুপ ‘সি’-এর জন্য থাকবে ২ নম্বরের ৯ টি প্রশ্ন। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্য যেটুকু উত্তর জানতে চাওয়া হচ্ছে, সেটুকুই লিখ, অতিরিক্ত লিখ না। এ ক্ষেত্রেও প্রতিটি প্রশ্নের জন্য থাকবে একটি করে বিকল্প প্রশ্ন, পছন্দ মতো প্রশ্নটি বেছে নিয়ে উত্তর করতে হবে তোমাকে। গ্রুপ ‘ডি’-এর প্রশ্নের উত্তরগুলি আকারে একটু বড় হবে। এখানেও ১২ টি ৩ নম্বরের প্রশ্নের প্রতিটিতে বিকল্প থাকবে।
তোমাদের ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ের দুটি ভাগ- ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি। এই দুটি ভাগ থেকেই প্রতিটি অংশে প্রশ্ন থাকবে। আর যেহেতু প্রশ্নের বেশীর ভাগটা অতি সংক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন, তাই খুঁটিয়ে প্রতিটি অধ্যায় ভালো মতো পড়। ছোট প্রশ্নের ক্ষেত্রে কোনও সাজেশন না ফলো করাই ভালো।
➡ মাধ্যমিকে ইতিহাসে ভালো নম্বর তোলার টিপস।
মোট সময়ের কতটা কোন প্রশ্নের জন্য দেবে , তা যদি আগে থেকে ঠিক না করে রাখো তাহলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে সময় ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে। তাই জেনে নাও কোন নম্বরে ও কটা প্রশ্ন তোমায় লিখতে হবে। ১ নম্বরের প্রশ্ন লিখতে হবে ৩৬ টি। এখানে সঠিক উত্তর বেছে নেওয়ার মতো প্রশ্ন থাকবে পুরো ‘এ’ গ্রুপ জুড়ে ১৫ টি। আর ‘বি’ গ্রুপের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নেও ২১ টির উত্তর তোমায় লিখতে হবে। এই ৩৬ নম্বরের জন্য সর্বাধিক ৪০ মিনিট সময় লাগতে পারে। এরপরে ২ নম্বরের ৯ টি প্রশ্ন লেখার পরেও ৩ নম্বরের যেহেতু ১২ টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে, তাই তিন নম্বরের জন্য হাতে এক ঘন্টা সময় রেখে বাকি প্রশ্নগুলো শেষ করে ফেলাই কাঙ্ক্ষিত।
আর পরীক্ষার শেষে হাতে ১০ মিনিট সময় অতিরিক্ত রেখো পুরো লেখাটি ভালো মতো রিভিশন দেওয়ার জন্য। এই বিষয়ে আর একটি কথা বলার- ৩ নম্বরের প্রশ্নের ক্ষেত্রে দেখবে অনেক প্রশ্নেরই দুটি ভাগ থাকবে। সেগুলির নম্বর বিভাজন হবে ২+১ এরকম। সম্পূর্ণ ৩ নম্বরের একটি গোটা প্রশ্নের চেয়ে চেষ্টা কর এই ধরণের কয়েকটি অংশে ভাগ হয়ে থাকা প্রশ্নগুলি লিখতে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থেকো আগে থাকতেই, সেই মতো প্র্যাকটিস কর।
আর হ্যাঁ, যে কথা প্রতিটা পরীক্ষার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য- উপযুক্ত প্রশ্ন বেছে নেওয়া। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিকল্প প্রশ্ন থাকছে যেহেতু, তাই তোমায় সচেতন থাকতে হবে কোন প্রশ্নটির উত্তর করতে তোমার আত্মবিশ্বাস বেশী। লেখার জন্য যে তিন ঘণ্টা সময় পাচ্ছ, তার মধ্যে এই নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে পরীক্ষা শুরুর আগের ১৫ মিনিটকে কাজে লাগাও। ওই সময়টা কিন্তু তোমায় শুধুমাত্র প্রশ্নপত্র পড়ার জন্যই দেওয়া হবে। তাই প্রশ্ন বাছাইয়ের কাজটা তখনই করে ফেলো।
আগের বছরের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ কর, জোগাড় কর এ বছরের টেস্ট পেপার ও প্রশ্নবিচিত্রা। বাকি বিষয়গুলির মতই ঘরে বসে ঘড়ি ধরে প্রতিটি সমাধান করতে থাকো। বাড়ির মা বা বাবার তত্ত্বাবধানে সময় ও নম্বর সম্পর্কে সচেতন থেকে সেই হিসেবে প্র্যাক্টিস চালিয়ে যাও। আর কোনও শিক্ষককে দিয়ে সম্ভব হলে খাতা একবার দেখিয়ে নাও, অথবা নিজেই বইয়ের সাথে মিলিয়ে প্রতিটি উত্তর দেখে নাও। এভাবে অভ্যাস করতে থাকো, তাহলেই দেখবে পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে, আর ভয়ও কেটে যাবে।
১৭ই মার্চ তোমাদের ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা। ফলে, বাকি বিষয়গুলোকেও সমান গুরুত্ব দিতে হলে কিন্তু হাতে সময় খুবই কম। তাই এই সময়টুকুকে ঠিকভাবে কাজে লাগাও। মন দিয়ে প্রস্তুতি নিতে থাকো, পরীক্ষা ভালো হবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…