Most-Popular

মাধ্যমিকে জীবন বিজ্ঞানে লেটার মার্কস পাওয়ার টিপস

১২ই মার্চ থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে সময় হাতে খুবই কম। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছ নিশ্চয়? জানি, একটা চাপা টেনশন কাজ করছেই। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা বলে কথা! যেহেতু রাজ্যস্তরের এইরকম কোনও বড় পরীক্ষায় এর আগে বসার অভিজ্ঞতা নেই, তাই টেনশনটা এতদিনের বাকি পরীক্ষার থেকে আলাদা। কিন্তু সত্যি বলতে কি, যদি প্রস্তুতি ঠিক মত নিতে পারো, তাহলে যে কোনও পরীক্ষাতেই আত্মবিশ্বাস পাবে। তাই শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি যতটা পারো ভালোভাবে নাও। এর আগের মতো আজও আমরা তোমাদের এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির সময় সামান্য কিছু পরামর্শ দেবো জীবন বিজ্ঞান বিষয়ে।

জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা হবে ২০শে মার্চ। কিন্তু বাকি বিষয়গুলোর পাশাপাশি সমান গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়টিও পড়ার জন্য পরীক্ষা শুরুর আগেই সব রকম ভাবে প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে। এসো জেনে নিই প্রস্তুত হবে কীভাবে।

১. পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণ কেমন হবে, ভালোভাবে জেনে নাও

কত নম্বরের কটা প্রশ্ন লিখতে হবে, সেট জানা জরুরী, কেননা তা নাহলে মোট তিন ঘন্টা সময়ের মধ্যে কোন প্রশ্নের জন্য কত সময় দেবে সেটা বোঝা যাবে না। তাই প্রথমে জেনে নাও তোমাদের কত নম্বরের কটা প্রশ্ন লিখতে হবে। তোমাদের পুরো প্রশ্নপত্রটি ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’, ‘ঘ’– এই চারটি ভাগে বিভক্ত থাকবে। এই চারটি ভাগ থেকে তোমাদের ১, ২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। ‘ক’ বিভাগে থাকবে সঠিক উত্তর নির্বাচন করার প্রশ্ন। যার মোট প্রশ্ন সংখ্যা ১৫ টি। ‘খ’ বিভাগে থাকবে অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন। ২৬ টি প্রশ্নের মধ্যে থেকে ২১ টি প্রশ্ন বেছে নিয়ে উত্তর করতে হবে। এভাবে মোট ৩৬ টি ১ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তোমাকে।

২ নম্বরের প্রশ্নের মোট নম্বর থাকবে ২৪। সব কটি প্রশ্ন থাকবে ‘গ’ বিভাগে। ‘গ’ বিভাগের এই ২ নম্বর মানের প্রশ্নের জন্য দেওয়া থাকবে ১৭ টি প্রশ্ন, বেছে নিতে হবে ১২ টি। এরপরে ‘ঘ’ বিভাগে ৬ টি ৫ নম্বরের প্রশ্ন লিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রশ্নের একটি করে বিকল্প প্রশ্ন থাকবে। কোন প্রশ্নটির উত্তর তুমি লিখবে, সেটি ভেবে নিয়ে তারপরে লেখো। এভাবে মোট ৩ ঘন্টা সময়ের মধ্যে তোমায় তোমার পছন্দ মতো প্রশ্ন বেছে নিয়ে উত্তর লিখতে হবে মোট ৯০ নম্বরের। তাই এ ক্ষেত্রে সব থেকে বেশী দরকার সময় ঠিক মতো ভাগ করে নেওয়া প্রশ্নের মান অনুযায়ী।

মাধ্যমিকে ইতিহাসে ভালো নম্বর তোলার টিপস।

২. সময় সম্পর্কে সচেতন থেকো

লেটার মার্কস পাওয়ার মতো পড়াশুনো করলেও অনেকে পরীক্ষা দিতে গিয়ে শুধুমাত্র সময় ম্যানেজ করতে না পারার কারণে সব প্রশ্নের প্রতি সমান যত্নশীল হতে পারে না, তাই অনেকেরই নম্বর কম আসে পড়াশুনো করা সত্ত্বেও। তাই তোমাকে মাথায় রাখতে হবে যে প্রতিটা নম্বরের সমান গুরুত্ব। সেই মতো নম্বর অনুযায়ী প্রশ্নের পেছনে সময় দাও। যেমন ১ নম্বরের মোট প্রশ্নের সংখ্যা দুটি বিভাগ মিলিয়ে ৩৬। ফলে প্রতি নম্বর পিছু এক মিনিট করে ধরলেও ৪০ মিনিটের মধ্যে ‘ক’ এবং ‘খ’ বিভাগের সব প্রশ্নের উত্তর শেষ হয়ে যাওয়া উচিত, কেননা এ ক্ষেত্রে তোমার ভেবে লেখার বা বুঝিয়ে লেখার অবকাশ কম। শুধুমাত্র একটি উত্তর একটি বাক্যের মধ্যে লিখতে হবে।

২ নম্বরের প্রশ্নের মোট প্রশ্ন সংখ্যা ১২ টি। এই ১২ টি প্রশ্নের জন্য প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী সময় দাও। অযথা বেশী লিখে উত্তর দীর্ঘ করো না, যেটুকু জানতে চাওয়া হয়েছে সেটুকু লিখেই ছেড়ে দাও। মোট কথা খেয়াল রেখো ৫ নম্বরের ৬ টি প্রশ্নের ক্ষেত্রে যাতে সময় কম না পরে। ৫ নম্বরের প্রশ্নের জন্য দেড় ঘন্টার বেশী সময় হাতে রেখো, কারণ এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন অনুযায়ী ছবি আঁকতে হবে। তাই যথেষ্ট সময় নিয়ে ছবি সহ লেখা শেষ করার পরেও হাতে দশ মিনিট সময় বাড়তি হিসেবে রেখো।

৩. উপযুক্ত প্রশ্নটি বেছে নাও

কোন প্রশ্নের উত্তর করবে, আর কোন প্রশ্নের উত্তর করবে না– সেটা কিন্তু প্রশ্নপত্র পড়ার বাড়তি ১৫ মিনিট সময়ের মধ্যেই পড়ে ফেলো। অর্থাৎ, তিন ঘন্টা সময়ের মধ্যে লেখা ছাড়া প্রশ্নপত্র বাছাইয়ের পেছনে সময় ব্যয় না করাই ভালো। পরীক্ষা শুরুর আগে শুধুমাত্র প্রশ্ন পড়ার জন্য তোমায় অতিরিক্ত যে ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যেই ভালো করে বুঝে ঠিক প্রশ্নটি বেছে নাও। এ ক্ষেত্রে সামান্য সংশয় কোনও প্রশ্নের ক্ষেত্রে কাজ করলে দেখো তার কোনও বিকল্প প্রশ্ন আছে কিনা, থাকলে সেই প্রশ্নটি কর। এভাবে যে প্রশ্নের উত্তর লেখায় তোমার আত্মবিশ্বাস বেশী, সেটি লেখো।

৪. ঘরে বসে প্রশ্নপত্র সমাধান কর

এভাবে প্রশ্ন অনুযায়ী সময়ের হিসেবে, সঠিক প্রশ্ন বেছে নেওয়া- ইত্যাদি কোনোটাই পরীক্ষা দিতে গিয়ে একেবারে করা সম্ভব নয়, যদি তুমি ঘরে বসে তার ঠিকঠাক অনুশীলন না কর। তাই ঘরে বসে আগের বছরের মাধ্যমিকের প্রশ্নের সমাধান করতে থাকো ঘড়ি ধরে। প্রতিটা প্রশ্নের ক্ষেত্রে তোমার হিসেব অনুযায়ী সময় মেপে টেস্ট পেপার, প্রশ্ন বিচিত্রা এগুলি সমাধান করতে থাকো।

এই বিষয়গুলি একটু মাথায় রেখো শুধু। এমনিতে তোমরা ইতিমধ্যেই একটা জোরদার প্রস্তুতির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছ। হাতে সময় খুব কম। সব বিষয়ের প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়ে পরিশ্রম চালিয়ে যাও, ফলাফল ঠিক পাবে। আগাম শুভেচ্ছা রইলো তোমাদের জন্য।

সুমন সাহা

Recent Posts

মুখের রোমকূপ বা পোরস ঢাকার মেকাপ টিপস

আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…

2 বছর ago

থুঁতনির জেদি ব্ল্যাকহেডস তোলার ৬টি উপায়

পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…

2 বছর ago

মেয়েরা বিয়ের কথা শুনে লজ্জায় যে ১০টি জিনিস অজান্তেই করে

আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…

2 বছর ago

ঘরের দেওয়ালে নোনা ধরছে? দূর করুন ঘরোয়া কৌশলে

বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…

2 বছর ago

ময়েশ্চারাইজার কেন এত উপকারি ত্বকের যত্ন নিতে? ব্যবহারের সঠিক নিয়ম।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…

2 বছর ago

নারকেল তেল দিয়ে ত্বকের যত্ন! উজ্জ্বল, চকচকে ত্বকের গোপন রহস্য!

প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…

2 বছর ago