বর্তমানে আবহাওয়া যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে করে শরীর খারাপ হওয়াটা কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কখনও হিমেল হাওয়া, কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টির জন্য জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা লেগেই থাকে। সবসময় যে ছোটদেরই এইধরণের সমস্যা হয় এমনটা কিন্তু নয়, বড়দেরও কিন্তু এইসময় জ্বর-জারি লেগেই থাকে।
অনেকসময়ে জ্বর শরীরকে এতটাই দুর্বল করে দেয় যে, ওষুধ ছাড়া থাকাই যায় না। তবে কি জানেন তো সামান্য জ্বর হলে সবসময় ওষুধ খাওয়াটাও ঠিক নয়। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই কিন্তু জ্বরের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
আজকের প্রতিবেদনে সামান্য জ্বর হওয়ার ঘরোয়া যে উপায়ের কথা লেখা হয়েছে তা ব্যবহার করবেন তখনই যখন শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৭ ডিগ্রি থেকে ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকবে। তাপমাত্রা এর থেকে বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করবেন।
জ্বর হলে অনেকেই মনে করেন স্নান করা ঠিক নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বর হলে অবশ্যই স্নান করা উচিত। হালকা গরম জলে ভালো করে মাথা ভিজিয়ে স্নান করুন। স্নান করে উঠে সঙ্গে সঙ্গে তোয়ালে দিয়ে মাথা ভালো করে মুছে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, মাথায় যেন এতটুকু জল না বসে।
অসাধারণ ফ্লেভারের পাশাপাশি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হওয়ার কারণে ভাইরাস-ঘটিত জ্বর নিরাময়ে খুব ভাল কাজ করে পুদিনা। এর জন্য এক কাপ জলে ৬টি পুদিনা পাতা, ১/৪ ইঞ্চি আদা দিয়ে ফুটিয়ে ভাল করে চা তৈরি করুন। জ্বরের মুখে এই চা খেলে তিন দিনেই জ্বর সেরে যাবে।
জ্বর হলে এমনিতেই শরীরে জলশূণ্যতা দেখা দেয়। তাই এইসময়ে খুব বেশি করে জল এবং জলীয় খাবার খাওয়া উচিত। জ্বর হলে যত বেশি করে জল খাবেন তত বেশি প্রস্রাব হবে। আর প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে যাবতীয় জার্মস বেড়িয়ে যায়।
জ্বরের মুখে তুলসির চা খাওয়া যেতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, একাধিক রোগ নিরাময়ে তুলসী বিশেষভাবে কার্যকরী। এর জন্য ৪টি তুলসী পাতা, ১/৪ ইঞ্চি আদা কুচি এবং সামান্য গোলমরিচ এক কাপ জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই চা দিনে দু’বার পান করুন। মাত্র দুদিনেই জ্বর সেরে যাবে এবং শরীরে বল পাবেন।
জ্বরের মুখে মশলা চা খাওয়া খুবই ভাল। মশলা চা জ্বর তো সারিয়ে তোলে সেইসঙ্গে মুখে স্বাদ আনতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। এর জন্য ৭-৮টি গোল মরিচ, ১০টি তুলসী পাতা, ১/৪ ইঞ্চি আদা, ১/৪ চা-চামচ দারচিনি গুঁড়ো- এক কাপ জলে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে তাই দিয়ে চা তৈরি করুন। টানা ২-৩ দিন দিনে দুবার করে এই চা পান করলে আপনার জ্বর নেমে যাবে।
আপনার যদি মশলা দেওয়া চা একেবারেই পছন্দ না হয়, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল চা হল মধু-তুলসী পাতার চা। এর জন্য এক কাপ জলে তুলসী পাতা আর মধু সহযোগে পাতলা লিকার বানান। অল্প জ্বর বাধিয়ে থাকলে -৩দিনেই জ্বর নেমে যাবে।
অনেকই হয়তো জানেন না যে, জ্বরের মুখে পেঁয়াজের রস কিন্তু খুব সহজেই জ্বর নিরাময় করতে পারে। দিনে ২বার করে যদি দুটি ছোট মাপের পেঁয়াজের রস খাওয়া যায় তাহলে জ্বর ছাড়তে বেশি সময় লাগে না। তবে পেঁয়াজের রস যদি খুব ঝাঁঝ লাগে তাহলে তাতে মধু যোগ করে নিতে পারেন।
জ্বরের মুখে সবচেয়ে ভাল পথ্য হল এক বাটি গরম স্যুপ। একটু বেশি করে গোলমরিচ দিয়ে যদি এক বাটি ভেজিটেবিল স্যুপ খেতে পারেন, তাহলে দেখবেন ঘাম দিয়ে জ্বর নেমে গিয়েছে।
সেইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফল খান। জ্বরের কবলে পড়লে শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে, তাই এই অভাব পূরণের জন্য বেশি করে ফল খান। তবে এতেও যদি জ্বর না কমে, এবং শরীরে এর সঙ্গে অন্য কোনও লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…