সাধারণত আজ কাল এক রাশ লম্বা কালো চুল খুব কমই দেখা যায়। আজকের ব্যস্ত জীবনে বড় চুলের যত্ন নেওয়া ঝক্কির বলেই হয়তো অনেকে চাইলেও বড় চুল রাখতে পারেন না। কিন্তু যাদের বড় চুল, তারা বেশির ভাগই চুল খুলে রেখেই স্টাইল-আপ করেন। কিন্তু আজ আপনাদের জন্য রইল কয়েকটা খোঁপার পদ্ধতি।
এটি বানানো যেমন সহজ, তেমনই এটি দেখতেও ভারি সুন্দর। প্রথমে আপনার সমস্ত চুল মাথার ওপর একসঙ্গে করে বাঁ হাত দিয়ে ধরুন। এবার ডান হাতের সাহায্যে গোল করে পাকিয়ে নিন। এক্ষেত্রে আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুসারে পাক পড়বে। কারওর ২টি পাক পড়তে পারে, কারওর আবার তিনটিও।
ওই পাকিয়ে নেওয়া অংশটুকু কাঁটার সাহায্যে ভালো করে আটকে নিন, যাতে খুলে না যায়। ঠিক এইভাবে। এবার বাঁ হাতে ধরা চুলের যে অংশটি ফুলে রয়েছে সেটিকেও কাঁটা দিয়ে চারপাশ দিয়ে অ্যাডজাস্ট করে নিন, যাতে কোনওভাবে তা খুলে না যায়। এবার মাথার সামনের অংশের চুলটা হালকা করে ফুলিয়ে দিন। আপনার হাই মেসি বান তৈরি।
এই হেয়ারস্টাইল করতে কিন্তু ডোনাট লাগবে না। এটি একদিকে যেমন সুন্দর তেমনই ইউনিক। এর জন্য প্রথমে আপনার সমস্ত চুল এক জায়গায় করে নিয়ে একটা পনি টেল বানিয়ে নিন। অর জন্য আপনার রাবার ব্যান্ডের শেষ প্যাঁচের মধ্যে দিয়ে যখন চুলটা বের করবেন পুরোটা বের করবেন না, অর্ধেকটা বের করবেন। এবার পনিটেল থেকে বেরিয়ে থাকা চুলের বাকি অংশটি রাবার ব্যান্ডের চারপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কাঁটার সাহায্যে আটকে নিন।
মাথার ওপরে হাফ পনিটেলের অংশটা হাতের সাহায্যে একটু স্ট্রেচ করে দিন, সবদিক থেকে। এটিকে ডোনাটের মতো শেপ দেওয়ার জন্য চুলের শেষ অংশদুটিকে এক জায়গায় করে নিয়ে ‘ইউ’ শেপের কাঁটা দিয়ে আটকে দিন। এইভাবে গোল করে কাঁটা দিয়ে আটকাতে থাকুন। মাথার সামনের চুলগুলিকে হাতের সাহায্যে পুল আউট করে নিন, লুকটা আরও সুন্দর আসবে।
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটি সাধারণ খোঁপা নয়। তবে বানানোটা কোনও আহামরি ব্যপার নয়। এর জন্য আপনাকে প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হল মাথার পেছনে একটা পনিটেন বানিয়ে নিন। এবার তার ওপর একা মোটা রাবার ব্যান্ড লাগিয়ে নিন। এবার চুলটাকে মাঝখান থেকে একজন ফুলের মতে ছড়িয়ে দিন এবং তার ওপর আর একটা সরু রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে দিন।
বাকি চুলটাকে নিচের দিকে করে নিয়ে চুলটাকে তিনটি ভাগ করে নিন। এবার ডানদিকের ভাগটিকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করে দড়ির মতো পাকিয়ে বাঁদিকে এবং বাঁদিকের ভাগটিকে একইভাবে দু-ভাগে ভাগ করে দড়ির মতো পাকিয়ে ডানদিকে আটকে দিন কাঁটার সাহায্যে। আর মাধখানের অংশটিকে পাকিয়ে নীচের দিয়ে আটকে দিন। খোঁপা তৈরি।
এর জন্য প্রথমে আপনার চুলকে লম্বালম্বি তিনভাগে ভাগ করে নিয়ে নিচে দুটি পনিটেন বেঁধে নিন।এবার সামনের অংশের চুলে ব্যাক ব্রাশ করে একটু ভলিউম বাড়িয়ে নিন, প্রয়োজনে হেয়ার স্প্রে অ্যাপ্লাই করে নিন। রাবার ব্যান্ড ও ক্লিপের সাহায্যে চুলটা আটকে নিন। ওই চুল দিয়ে বিনুনি বানান।
বিনুনির একদিক থেকে একু করে চুল বের করতে থাকুন। এবার বিনুনিটি গোল করে পাকিয়ে কাঁটা দিয়ে আটকে দিন,দেখবেন একটা ফুলের আকার নিয়েছে। এবার দ্বিতীয়ভাগের চুলটা কেবল পেঁচিয়ে নিয়ে ওই ফুলের ওপর গোল করে আটকে দিন। একইভাবে তৃতীয় অংশের চুলটাও পাকিয়ে আটকান।খোঁপাটাকে সিকিওর করার জন্য ‘ইউ’ শেপের কাঁটাগুলি বেশি করে ব্যবহার করুন।
প্রথমে চুল ভালো করে কোম্ব করে নিন। ডান হাতের মধ্যমার সাহায্যে একটা রোল করে বাম হাতের সাহায্যে রোলটি ক্লিপ দিয়ে সিকিওর করে নিন। বেরিয়ে থাকা অতিরিক্ত চুলের অংশটি ওই রোলের মধ্যে সাবধানে ঢুকিয়ে ফলুন। এবার ওই অংশটুকুও ক্লিপ দিয়ে ভালো করে আটকে দিন যাতে খুলে না যায়। সবার শেষে অ্যাপ্লাই করুন হেয়াপ স্প্রে। ফ্রেঞ্চ টুইস্ট তৈরি।
এইভাবে চুল বাঁধার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার মাথারা সামনের অংশে আইব্রো বরাবর চুল নিয়ে মাথার ওপর একটা পাফ বানিয়ে নিন। আপনার যত বড় পাফ চাই তত বড়ই বানাতে পারেন কিন্তু দেখবেন পাফ যেন মাঝখান থেকে স্প্লিট না হয়ে যায়। চুলটা ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। এরপর বাকি চুল দিয়ে পনিটেল বেঁধে নিন।
পনিটেলকে দু ভাগে ভাগ করে নিন। ওপরের অংশটি ছোট এবং নিচের অংশটি বড় রাখুন। ওপরের অংশে ২ ইঞ্চি মতো ছেড়ে রাবার ব্যান্ড বেঁধে নিন। চুলকে তার মাঝখান থেকে ঢুকিয়ে দিন। একইভাবে নিচের মোটা অংশের চুলেও রাবার ব্যান্ড লাগিয়ে ভেতর দিকে ঢুকিয়ে দিন। চুলের অংশটা হাতের সাহায্যে ফুলিয়ে দিন। ছোট অংশের চুলটা বড় অংশের মধ্যে ভরে দিন।
প্রথম রাবার ব্যান্ড থেকে ২-৩ ইঞ্চি মতো ছেড়ে আর একটা রাবার ব্যান্ড লাগিয়ে নিন।এবার চুলের অংশটি ভেতর থেকে বাইরের দিকে ফ্লিপ করে নিন। ফ্লিপ করার পর এক মাঝখানে একটা ফাঁকা অংশ তৈরি হবে এবার ওপরের খোঁপার অংশটি ওই ফাঁকা অংশের মধ্যে আটকে দিন। মাথার ওপর চুলের যে শেষ অংশটি থাকবে সেটিকে দুভাগে ভাগ করে খোঁপার নীচে এনে ক্লিপের সাহায্যে আটকে দিন। আপনার ফ্লিপ বান তৈরি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…