আপনি যতই হাতে ওয়াক্সিন করুন আর স্লিভলেস টপ পড়ুন, হাতের কনুই যদি কালো আর খসখসে থাকে তাহলে মোটেই তা সুন্দর লাগে না দেখতে। শুধু আপনার কেন, আমাদের বেশির ভাগ মহিলা বা মেয়েদের এই এক বিষম সমস্যা।
সুন্দর হাত দু’ টিতে কলঙ্কের মত কনুইয়ের কালো দাগ কার ভালো লাগে বলুন তো? তাই ‘দাশবাস’ বলেছে আপনাদের একেবারেই চিন্তা না করতে। ঘরে বসেই যাতে আপনি কনুইয়ের কালো দাগকে চিরকালের মত টাটা বলতে পারেন সেরকম কয়েকটি দারুন টিপস নিয়ে আমি আজ হাজির।
আমাদের হাতের কনুইয়ের চামড়া বেশির ভাগ সময়ই ভাঁজ হয়ে থাকে আর এই অংশের চামড়া অন্যান্য অংশের চামড়ার তুলনায় একটু মোটা হয়। আমাদের হাতের এই অংশ দুটিতে কোনো তৈল গ্রন্থী থাকে না। তাই এই অংশে নোংরা বেশি জমে এবং এই অংশটি খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। আর এই কারণেই এই অংশ দুটির কিন্তু একটু বেশি যত্নের প্রয়োজন।
আমি আজ আপনাদের যে ঘরোয়া উপায় গুলি জানাব সেগুলো কনুইয়ের কালো দাগ তো দূর করবেই, সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যবহারে আপনার কনুই’এর অংশটি নরম এবং স্বাভাবিক স্কিন কালার ধরে রাখবে।
নারকেল তেল নিশ্চই ব্যবহার করেন। এখন থেকে চুলের সাথে সাথে ত্বকের যত্ন নিতেও নারকেল তেল ব্যবহার করুন। কারণ এই তেল আপনার কনুইয়ের ডার্ক স্কিন কালার বা কালো দাগ কে হালকা করে স্কিনকে নমনীয় করে এবং জমে থাকা ময়লা, মৃত কোষ খুব সহজেই পরিষ্কার করে।
প্রতিদিন স্নানের পরে হাতে কিছুটা নারকেল তেল নিয়ে কনুইে ভালো করে ২-৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন। আপনার কনুই যদি খুব কালো ও খসখসে হয় তাহলে দিনে ২-৩ বার ম্যাসাজ করুন। এতে তাড়াতাড়ি কালো দাগ দূর হবে। তবে আবার যাতে আপনার কনুইয়ে কালো দাগ বা কনুই খসখসে না হয় তার জন্য প্রতিদিন ম্যাসাজ করুন।
এছাড়া ১ চামচ নারকেল তেলে ১/২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ওই তেল আপনার কনুইয়ে ভালো করে ঘষুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর তুলো বা কাপড় জলে ভিজিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করে নিন। দিনে ২ বার করে এই মিশ্রণ লাগান।
চিনির নাম শুনে অবাক হচ্ছেন কি? চিনি কিন্তু খুব ভালো স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই আপনার কনুইয়ের কালো দাগ দূর করার জন্য চিনি একেবারে ১০০% গ্যারেন্টি রাখে।
২ চামচ চিনি, ২ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল এবং ১/২ চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার আপনার হাতের তালুর সাহায্যে এই মিশ্রণটি সার্কুলার মোশনে কনুইয়ে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর হালকা গরম জলে শ্যাম্পু বা বডি সোপ মিশিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করে নিন ও ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আপনার কনুইয়ের ত্বক পরিষ্কার করার জন্য সপ্তাহে ২ দিন চিনির মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
দই আমদের শরীরের ভেতরের দূষণগুলি দূর করার সাথে সাথে আমাদে ত্বকের অশুদ্ধি গুলিকেও দূর করে। তাই শরীরের জেদী ময়লা বা দাগ দূর করতে দই কিন্তু আপনাকে কখনই হতাশ করবে না।
১ চামচ দইয়ের সাথে ১ চামচ ভিনিগার বা ১ চামচ লেবুর রস খুব ভালো করে মেশান। থিক পেস্ট মতো হয়ে গেলে আপনার কনুইয়ের অংশে ভালো করে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করুন। আপনার দাগ তো দূর হবেই, পরবর্তী কালেও কনুই নরম এবং পরিষ্কার থাকবে।
বেকিং সোডা মৃত চামড়া বা মৃত কোষ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী। তাই আপনার কনুই পরিষ্কার করতে বা কনুইয়ের দাগ পরিষ্কার করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করুন।
২ চামচ বেকিং সোডা এমন ভাবে দুধের সাথে মেশান যাতে মিশ্রণটি থিক পেস্টে পরিণত হয়। এবার মিশ্রণটি সার্কুলার মোশনে ২-৩ মিনিট ম্যাসাজ করলেই দেখবেন ময়লা পরিষ্কার হচ্ছে বা আপনার ওই অংশের ত্বক কিছুটা হালকা হয়ে এসেছে। এবার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন ও ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে নিয়মিত ৩ দিন করে বেকিং সোডার মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
কনুইয়ের কালো দাগের সমস্যা দূর করতে লেবু ব্যবহার করুন, কারণ লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ। এছাড়া লেবুতে বর্তমান ভিটামিন সি যে কোনো দাগ ছোপ দূর করতে খুব উপকারী।
একটি লেবুকে আধখানা করে কেটে নিন। এবার ওই অর্ধেক লেবুর ওপর কিছুটা চিনি লাগিয়ে লেবুর টুকরোটি চিনি সমেত সার্কুলার মোশনে ৫ মিনিট আপনার কনুইয়ে ঘষে নিন। এরপর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন ও ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে ২ দিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
এছাড়া আপনার কনুইয়ের যত্ন নিতে প্রতিদিন ২ বার করে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করুন। বাইরে বেরোবার সময় সান স্ক্রিন লাগান। প্রতিদিন অন্তত একবার করে কোনো স্ক্রাবার বা পিউমিক স্টোন দিয়ে হাতের কনুই হালকা করে ঘষে নিন। অনেক সময় ভিটামিন সি এর অভাবে ত্বক কালো ও খসখসে হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বেশি করে সবজি ও ফল খান।
ওপরে যে সব টিপস গুলো বললাম সেগুলি নিয়মিত মানলে কিন্তু আপনার কনুইও আপনার হাতের মত সুন্দর, দাগহীন ও মোলায়েম হবে। প্রতিটি উপায়ই ১০০% কাজ করবে তবে আপনি আগে বেছে নিন কোনটি আপনার প্রয়োগ করতে সুবিধে হবে, তারপর সেটি ব্যবহার করুন। আর দেরী কেন! মিশন কনুইয়ের দাগ দূর শুরু করে দিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…