প্রত্যেক বারের মতো এবারেও চলে এলো কলকাতা বইমেলা। সত্যি, বইমেলা মানে কিন্তু একটা নস্টালজিয়া। বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে বোধহয় এই নতুন উৎসবের সংযোজন সবচেয়ে আকর্ষণীয়। নান্দনিকতা, মজা, হুল্লোর, খাওয়া-দাওয়া, সবচেয়ে বড় কথা আড্ডা, সব মিলে কলকাতা বইমেলা মানে অন্য রকমের আনন্দে তিলোত্তমা কলকাতার মেতে ওঠার পালা। ২০১৮ সালের ৪২ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা যাওয়ার আগে আসুন না কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখে নেওয়া যাক, যা আপনার বইমেলা ঘোরাকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
এইবার বইমেলা শুরু হয়েছে ৩১শে জানুয়ারী অর্থাৎ বুধবার থেকে। আর চলবে ১১ই ফেব্রুয়ারী, রবিবার পর্যন্ত। উদ্বোধন হয়ে গেছে ৩০শে জানুয়ারী, বিকেল ৪.৩০ নাগাদই। কিন্তু রোজ আপনাদের জন্য মেলা খোলা থাকছে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যে ৮টা পর্যন্ত। তাই অনেকটা সময়ই আপনারা মেলায় কাটাতে পারবেন। আর এবারে কিন্তু বইমেলার স্থান খানিক বদল হয়েছে। এবারে আর মিলন মেলা প্রাঙ্গন নয়, মেলা হচ্ছে সেন্ট্রাল পার্ক অর্থাৎ বিধাননগর মেলা প্রাঙ্গনে। এখানে যাওয়া খুবই সোজা। একদম সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্টপেজের কাছেই। আপনি শুধু করুণাময়ীতে চলে আসুন। তারপর আপনাকে আর খুঁজতেই হবে না। আর কলকাতায় এই সময় বইমেলা যাওয়ার জন্য অনেক বাস এমনিতেই থাকে। তাই বইমেলায় যেতে আশা করি আপনাদের সমস্যা খুব একটা হবে না।
➡ বই একাকীত্ব কাটানোর পরম বন্ধু।
এবারের থিম হল ফ্রান্স। এই নিয়ে তৃতীয়বার কলকাতা বইমেলার থিম হল ফ্রান্স। ভারত আর ফ্রান্সের কূটনৈতিক জীবনের ৭০ বর্ষ উপলক্ষ্যে ফ্রান্স এমব্যাসি ভারতের কিছু নির্দিষ্ট শহরে একটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন, সেটা হল Bonjour India Festival। এটি শুরু হয়েছে জয়পুর দিয়ে আর শেষ হবে এই কলকাতা বইমেলায়। উদ্বোধনের দিন উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী Francoise Nyssen। তাই এইবারের থিম কিন্তু খুবই স্পেশাল।
৩১শে জানুয়ারী অর্থাৎ প্রথম দিন এই মেলার ফ্রান্স ডে হিসাবে পালন করা হয়েছে। এই জন্য ফ্রেঞ্চ গবেষকদের দ্বারা একটি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে, সেটা হল অশোক সরকার মেমোরিয়াল লেকচার।
৩রা ফেব্রুয়ারী পালন করা হবে বাংলাদেশ দিবস হিসাবে আর চিলড্রেন’স ডে হিসাবে পালন করা হবে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী।
এইবার বইমেলায় দ্য লিজিয়ন অফ অনার ( Legion of Honour ) পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে।
এছাড়াও ৮ – ১০ ফেব্রুয়ারী থাকছে সাহিত্যিকদের সম্মেলন, সাহিত্যিক-পাঠক সাক্ষাৎ। আপনারা কিন্তু এই অনুষ্ঠানে যেতে ভুলবেন না।
এবার বইমেলায় মোটের ওপর ৫৮০টি স্টল আর ২০০ মতো লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে স্টল আছে। এছাড়াও দর্শকদের সুবিধার জন্য ওয়াই-ফাই জোন তৈরি হয়েছে। সাটেলের ব্যবস্থা হয়েছে, তাই কোথাও যেতে সমস্যা নেই। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার তো আছেই। তাই সমস্যা আপনাদের হবে না। আর আরেকটা জিনিস এইবার করা হয়েছে। সেটা হল একটা IOS মোবাইল অ্যাপের ব্যবস্থা হয়েছে সহজেই স্টল খোঁজার জন্য। এটার ব্যবস্থা করেছেন CESC। আপনারা কিন্তু খুব সহজেই গিল্ডের অফিস থেকে স্টলের ম্যাপও পাবেন।
তাহলে এবার হৈহৈ করে গিয়ে আনন্দ করুন আর অনেক অনেক বই কিনুন। ই-বুকের জমানা চলে এলেও নতুন বইয়ের গন্ধে কিন্তু অন্য নেশা আছে, কি বলেন!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…