রোগা হতে চাওয়া মানেই একটা লম্বা ডায়েটের চার্ট মেনে চলা। আর দিনের পর দিন ঘাম ঝরিয়ে জিম। সে খুব কষ্টের। ওজন বেড়ে গেলেও তা কমানো আবার মুশকিল। চিন্তা কীসের? সে উপায়ও তো আছে। অবাক লাগছে? হ্যাঁ খাওয়া না কমিয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। দেখুন।
অনেকেই অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকেন। আর তারপর যখন খুব খিদে পেয়ে যায়, ব্যাস যা পারেন তাই খান। এতে ওজন আরও বেড়ে যায়। তাই ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। এতে বরং শরীরে গ্যাস বা অন্যান্য সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই পেট খালি একদম নয়। এতে ওজন তো কমেই না, বরং আরও শরীর খারাপ হয়। তাই ওজন কমাতে খান। কিন্তু খাবারও একটা নিয়ম আছে।
প্রচুর জল খান। ঘুম থেকে উঠেই দু গ্লাস জল খেয়ে নিন। সারাদিনে সম্ভব হলে গ্লাস মেপে জল খান। এতে জলটা বেশি খেতে পারবেন। জল শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বার করে দেয়। এবং শরীরকে পরিষ্কার রাখে। যেটা শরীরে জমে থাকলে ওজন বাড়ে। এবং অন্যান্য ক্ষতিও হয়। তাই রোগা হতে আগে দরকার বেশি করে জলের। এটা রোগা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম শর্ত।
সকাল শুরু করুন গ্রীন টি দিয়ে। রোগা হতে গ্রীন টির উপকারিতা মোটামুটি সবাই জানেন। এরপর একটা হেলদি ব্রেকফাস্ট করুন। তাতে প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট সবরকম উপাদান যেন থাকে। যেমন শসা, টম্যাটো এসব দিয়ে স্যান্ডউইচ, ডিমের সাদা অংশ, দুধ এসব খান। প্রতিদিন ফল খান। ভাজাভুজি খেতে বারণ করছি না, তবে খুব অল্প খান। হেলদি খাবার খান।
আর রাতের ডিনার হালকা করে করুন। চেষ্টা করুন নারকেল তেল দিয়ে রান্না করার। নারকেল তেল মেদ কমাতে দারুণ সাহায্য করে। মাঝে মাঝে খালি পেটে, অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠে ১ কোয়া রসুন খান। এছাড়াও অন্যান্য মশলা যেমন, আদা, গোলমরিচ, ধনে, জিরে বেশি করে খান। এই মশলাগুলি, বিশেষত গোলমরিচ ওজন কমাতে দারুণ সাহায্য করে।
শরীরকে তো একটু খাটাতেই হবে। তাই রোজ একটু জগিং করুন। বাইরে যেতে হবে না, বাড়ির ছাদেই করুন। এর সঙ্গে হালকা একটু এক্সসারসাইজ। এটা পছন্দ না হলে, যদি আপনি নাচ জানেন তাহলে নাচ প্র্যাকটিস করুন। বাড়ির কাজ করুন। এগুলো করলেই কাজ হবে। আর পার্টির মরশুমে কোনদিন খুব ফ্যাটি কিছু খাওয়া হলে, পরের দিন একদম হালকা খাবার খান। এবং ফুল দমে জগিং, এক্সসারসাইজ করে ফ্যাট ঝরিয়ে নিন। মোট কথা ফ্যাটকে শরীরে জমতে দেবেন না।
সোডা শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকারক। সোডা খুব বেশি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ওবেসিটির মত সমস্যাও হতে পারে সোডা থেকে। কারণ এতে প্রচুর চিনি থাকে। ওজন কমাতে চিনিকে কিন্তু ভুলতেই হবে। মাংস একটু কম খেতে হবে। বিশেষত পাঁঠার মাংস। চিকেন চলতে পারে। রাতের খাবারটা তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন। আর দুপুরবেলা ঘুমের অভ্যাস থাকলে, সেটা ত্যাগ করুন। এতে ওজন বাড়ে। যাই খানআস্তে আস্তে চিবিয়ে খান।
আর না খেয়ে থাকলে রোগা হবেন এটা কিন্তু খুব ভুল ধারণা। পেট ভরে খাবেন তো বটেই কিন্তু হেলদি খাবার খান। মুখ কুঁচকোবার কিছু নেই, মনের মত খাবার না খেয়ে থাকতে বলছি না। পার্টির মরশুমে একটু আধটু তো চলতেই পারে। তবে কথায় আছে না, অতিরিক্ত বেশি কোন কিছুই ভালো না। সেটা মাথায় রাখবেন। আর তাহলে এবার থেকে খান আর বিন্দাস থাকুন!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…