বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় চুল ম্যানেজেবল থাকলেও, কিছুক্ষণ পরই চুল এলোমেলো হয়ে জট পরে সে এক বাজে ব্যাপার। চুল ছেড়ে বাইরে যাবার উপায় নেই। এই সমস্যা অনেকেরই। এর সহজ সমাধান একটাই কেরাটিন ট্রিটমেন্ট।
আমাদের চুল কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। যেটা বাইরের দূষণ, অনেকক্ষণ রোদে থাকা, কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার ও উপযুক্ত যত্নের অভাবে ভঙ্গুর হয়ে যায়। তার ফলেই চুল নষ্ট হয়ে যায়। চুল তার প্রাণ হারিয়ে ফেলে। তাই চুলে তার হারানো প্রাণ ফেরাতে গেলে দরকার কেরাটিন ট্রিটমেন্ট।
চুলের এই প্রোটিনের সঠিক যত্ন করলেই, চুল ঝলমল করবে। শুনে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে, এইসব ট্রিটমেন্ট মানেই পার্লারে গিয়ে একগাদা টাকা খরচ করতে হবে। না না বাড়িতে বসেই হবে। তাও খুব সহজে, টিপস দিচ্ছেন স্বয়ং কেয়া শেঠ।
আমরা চুলে নানারকম ক্ষতিকর প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। নানারকম স্টাইলিং প্রোডাক্ট, কালার করি। আবার কখনো ব্ল ড্রাই, কখনো স্ট্রেট। এসব করার সময় চুলে অতিরিক্ত তাপ সহ্য করতে হয়। যেটা চুলের জন্য ক্ষতিকর। আবার বাইরের দূষণ, রোদ ফলে সবমিলিয়ে আমাদের চুলের কেরাটিন প্রোটিনটাই নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। ভেঙে যায়। ফলে চুল পড়া ও চুল নষ্ট হয়ে যায়।
তাই চুলকে সুন্দর রাখতে কেরাটিন প্রোটিনকে রক্ষা করতে হবে। কারণ আগেই বলেছি আমাদের চুল কেরাটিন দিয়ে তৈরি। তাই কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করলে চুল পুষ্টি পায়। ফলে চুল হয়ে ওঠে সুন্দর, উজ্জ্বল। তবে শুধু বাইরে থেকে এই ট্রিটমেন্ট যথেষ্ট নয়। আপনাকে প্রোটিন যুক্ত খাবারও খেতে হবে। প্রচুর জল খেতে হবে। বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমাতে হবে। এবার দেখে নাওয়া যাক বাড়িতে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করার উপায়।
বাজারে অনেক কেরাটিন স্পা কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক প্রোডাক্টেই বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানো থাকে। যেটা ভালো নাও হতে পারে। তাই নিশ্চিন্তে বেঁছে নিতে পারেন, কেয়া শেঠের কেরাটিন স্পা ও সিরাম। এটা দোকান বা অনলাইন অর্ডার করে নিতে পারেন। আর ওনার সব প্রোডাক্ট অনলাইনে পেয়ে যাবেন।
প্রথমে এটা লাগাবার আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। চুলে জট থাকলে এটা লাগাতে অসুবিধা হবে। তারপর চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন।
একটি পাত্রে চুলের লম্বা ও ঘনত্ব অনুযায়ী স্পা নিয়ে নিন। এটা নিজের পরিমাণ বুঝে ব্যবহার করুন। মোটামুটি ৪ থেকে ৬ চামচ নিয়ে নিন। এটা ভালো করে ফেটিয়ে নিন। একটা স্মুথ ক্রিমের মত পেস্ট হবে।
এবার এতে কেরাটিন সিরামটা মিশিয়ে নিন। এক চামচ সিরাম মেশাবেন। দুটো ভালো করে মিশিয়ে নিন। ক্লক ওয়াইশ ও অ্যান্টি ক্লক ওয়াইশ চামচ দিয়ে ঘুরিয়ে মেশান।
ভালোভাবে দুটো মেশানোর পর, এবার স্কাল্পসহ পুরো চুলে লাগান। ভালো করে হালকা হাতে ম্যাসেজ করে লাগান।
এটা লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। আরও ভালো ফল পেতে ওইসময়ে স্টিম নিতে পারেন। বাড়িতে একটি পাত্রে গরমজল করে তাতে একটা তোয়ালে ডুবিয়ে, জল নিঙরে এটা মাথায় জড়িয়ে রাখুন। তোয়ালে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আবার দিতে পারেন। স্টিম চুলের গোঁড়ায় স্পাকে কাজ করতে সাহায্য করবে।
আধঘণ্টা পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু করবেন না। যদি আগেরদিন শ্যাম্পু করা থাকে তাহলে অসুবিধা নেই। নাহলে এই স্পা লাগানোর একঘণ্টা আগে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে এটা লাগান।
এটা সপ্তাহে একদিন করলেই কিছুদিনের মধ্যেই চুলের পরিবর্তনটা বুঝতে পারবেন। যারা চুলে কালার বা অন্য কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করান তারা ইনটেন্স রিপেয়ার স্পা টা ব্যবহার করতে পারেন।
চুল যদি খুব ড্রাই, ফ্রিজি হয় তাহলে রোজের যত্ন আপনাকে সঠিকভাবে করতে হবে। এক্ষেত্রে সপ্তাহে দুদিন কেয়া শেঠের আলোপ্লেক্স লং অ্যান্ড স্ট্রং হেয়ার ওয়েল মেখে নিন। ভালো করে স্কাল্পে ম্যাসেজ করে মাখুন। পরেরদিন কেয়া শেঠের স্পা শ্যাম্পু লাগিয়ে নিন। শ্যাম্পুর পর চুল ধুয়ে কেরাটিন হেয়ার মিল্ক লাগিয়ে নিন।
এটা কন্ডিশনারের কাজ করবে। চুলে পুষ্টি দেবে। ঠিক কন্ডিশনারের মতই কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ড্রাই চুল না হলেও এই রুটিন মেনে চলতে পারেন চুল ভালো থাকবে। তাহলে এবার ওপরের দেওয়া টিপস অনুযায়ী বাড়িতে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করা শুরু করে দিন। আর তারপর তফাৎটা দেখুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…