অনেকসময় আমরা শুনে থাকি আমাদের পরিচিত মানুষদের থেকে যে তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ইন্টারভিউতে তাঁদের চাকরীটা হল না। সেখানেই তারা আটকে গেছেন। হয়তো অনেকসময় আপনার নিজের জীবনেও আপনি এইরকম বিষয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। আসলে আজকের কর্পোরেট যুগে শুধু গুণ বা জ্ঞান যথেষ্ট নয়, সঙ্গে দরকার আপনি কেমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। তাই জেনে নিন ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন আর কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন ইন্টারভিউয়ের সময়।
প্রথমে আপনি দেখুন আপনি ঠিক কোথায় যাচ্ছেন ইন্টারভিউ দিতে। যদি সরকারী উঁচু পদের জন্য যেমন ধরুন আই.এ.এস. অফিসার, রেলের উচ্চপদস্থ অফিসার বা পুলিশ বিভাগের, তাহলে আপনাকে খুবই সেই ডিপার্টমেন্ট সম্বন্ধে, তার গরিমা সম্বন্ধে একটা ধারণা রাখতেই হবে। যদি প্রাইভেট কোম্পানীতে যান ইন্টারভিউ দিতে, তাহলে সেই কোম্পানী, কোম্পানীতে কারা আপনাকে ইন্টারভিউ নিতে পারেন সেই সম্বন্ধে একটা ধারণা করে রাখুন।
শুরুতেই বলেছিলাম যে আজকাল শুধু জ্ঞান নয়, কীভাবে আপনি নিজেকে উপস্থাপন করছেন বা আপনি কেমন দেখতে তাও একটা ব্যাপার। কথায় আছে না, স্টাইল ইস দ্য সিগনেচার, সেটা আজকের দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে পরিষ্কার করে কথা বলতে হবে। আপনাকে ইংরাজীতে কথা বলতে হবে খুব সুন্দরভাবে। গুছিয়ে কথা বলতে হবে। ঠিকভাবে হাঁটতে আর বসতে জানতে হবে। এই সব কিন্তু আজকের দিনে খুব দরকার।
হ্যাঁ, আপনাকে নিজেকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। বলছি না আপনাকে এমন সাজতে হবে যাতে মনে হয় ফ্যাশন শো-তে যাচ্ছেন। সেটা আবার খারাপ। কিন্তু ঠিকভাবে সোবার কালারের শার্ট পরুন। ফর্মাল প্যান্ট পরুন। উপযুক্ত জুতো পরুন। ঠিকভাবে টাইয়ের নট দিন আর একটা ভালো ঘড়ি অবশ্যই নিন হাতে। একদম অতিরিক্ত সাজ নয়। মহিলা হলে একটা সাধারণ কিন্তু এলিগ্যান্ট শাড়ি, ঘড়ি পরুন। আর যাই পরুন না কেন তা ভালোভাবে ক্যারি করুন।
এতো যে পোশাক পরবেন, তা তো আপনার শরীরে ঠিক লাগতে হবে। তবেই তো পার্সোনালিটি খুলবে। স্বাস্থ্যই সম্পদ কিন্তু সবাই মানেন। আর সবাই ফিট মানুষ চান, কারণ তাদের দ্বারা প্রোডাক্টিভিটি ভালো হবে। তাই নিজেকে ফিট রাখুন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। এতে আপনাকে দেখতেও ভালো লাগবে আর ব্যক্তিত্বও প্রকাশিত হবে।
➡ ফিট রাখতে এবার ঘরেই করুন ব্যায়াম
ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় অনুমতি নিয়ে ঢোকা, বসতে বললে তবে বসা, আর থ্যাঙ্ক ইউ বলা, হ্যান্ড শেক করা, আর সবসময় মুখে হাসি রাখা কিন্তু খুবই জরুরী। বারবার ঘড়ি দেখবেন না। কথা বলার সময় যতজন আপনার সামনে বসে থাকবেন ইন্টারভিউ নিতে, তাদের সবার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। একে বলে ‘আই কনট্যাক্ট’। এটা খুব দরকার।
আপনি বাড়িতে রোজ কিছু সময় ধরে ইংরাজিতে কথা বলুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রোজ নিজে কথা বলতে অভ্যেস করুন। খুব ভাল হয় যদি একটা টপিক ভাবেন আর সেটা নিয়ে নিজের ভেবে কথা বলতে অভ্যেস করেন। এতে আপনার একটা বিষয়ের ওপর তাৎক্ষনিক কথা বলার দক্ষতা বাড়বে। যেটা আপনাকে ইন্টারভিউ রুমে সাহায্য করবে।
ইন্টারভিউ মানে আপনাকে সামনে থেকে দেখা। তাই আপনাকে সবার থেকে খানিক স্পেশাল করুন। কনফিডেন্স রাখুন নিজের ওপর আর সব প্রশ্নের উত্তর দিন। না পারলে কনফিডেন্টলি না বলুন। দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…