ইন্দুলেখা ভৃঙ্গ অয়েল হল একটি আয়ুর্বেদিক তেল। বা বলা যেতে পারে একটু আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা চুলের বিভিন্ন সমস্যায় ওষুধের মত কাজ করে। চুলের যেকোনো সমস্যা যেমন, চুল পড়া, চুল ফেটে যাওয়া ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা। এছাড়াও, সাধারণ কপাল যন্ত্রণাও কমাতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে এটি তৈরি। যেমন ভৃঙ্গরাজ, আমলকী, নিম, কোকোনাট মিল্ক অয়েল যেটা কিনা কোল্ড প্রসেসে তৈরি। বুঝতেই পারছেন কতটা খাঁটি।
ভৃঙ্গরাজ, আমলকী এগুলো চুলের জন্য যে কতটা উপকারী, সেটা অনেকেই জানেন। এছাড়াও রয়েছে আরও নানারকম উপাদান। তাই এতোগুলো উপাদান একসাথে হলে, কতটা ভালো কাজ করবে চুলের জন্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যে প্রধান উপাদানগুলো এতে রয়েছে সেগুলি হল।
এতে প্রচুর ভিটামিন, বিশেষত ভিটামিন সি আছে যেটা চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখে মজবুত রাখে। যেকোনো ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। এছাড়াও আছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মিনারেল যেগুলো হেলদি চুলের চাবিকাঠি। এছাড়াও আমলকী চুলের গোড়া মজবুত করে, খুশকি নিয়ন্ত্রণ করে। চুলকে শাইনি করতেও সাহায্য করে।
নিম তো অবশ্যই খুব ভালো ভাবে স্ক্যাল্পের যেকোনো ফাঙ্গাল ইনফেকশন রোধ করে। যেমন খুশকি, উকুন, বা মাথার ভেতর ফুসকুড়ি, চুলকানি। যেকোনো এরকম সমস্যা থেকে মুক্তি তো দেয়ই। সাথে এরকম সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থেকে স্ক্যাল্পকে রক্ষা করে। তার ফলে স্ক্যাল্প থাকে হেলদি।
এটাও একটা খুব ভালো আয়ুর্বেদিক উপাদান যেটা স্ক্যাল্পকে হেলদি রাখতে সাহায্য করে। সূর্যরশ্মির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে।
অনেকেই চুল ভালো রাখার জন্য, নারকেল তেল ব্যবহার করেন। আর এখানে বেস অয়েল হিসাবে নারকেল তেলকেই ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা হেয়ার ফলিকলকে ময়েশ্চারাইজড রাখে। চুল ফাটা থেকে রক্ষা করে। চুল ফাটার কারণেও খুব চুল পড়ে।
প্রধান উপাদান হিসাবে ভৃঙ্গরাজকে ব্যবহার করা হয়েছে। অনেকেই জানেন চুল পড়া কমাতে ভৃঙ্গরাজের উপকারিতা কতটা। এমন কোনো সমস্যা নেই যেটা ভৃঙ্গরাজ কমাতে পারে না। চুলের যেকোনো সমস্যায় ভৃঙ্গরাজ অনবদ্য। এছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে আরও নানা উপাদান।
তেল লাগানোর আগে চুল একটু আঁচড়ে নিলে ভালো। তাহলে জট পড়বে না। এরপর একটা জায়গায় একটু তেল ঢেলে নিন। হাতের আঙুল দিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে করে লাগান। যদি ম্যাসাজ করার সময় না থাকে, তাহলে জাস্ট স্ক্যাল্পে ভালো করে তেলটা হালকা ঘষে লাগিয়ে নিন। তারপর এর বোতলেই একটা চিরুনির মত অংশ থাকে। তেল লাগানোর পর, সেটা দিয়ে আঁচড়ে নিন। তাহলেই স্ক্যাল্পের চারিদিকে তেলটা ছড়িয়ে যাবে। সারারাত রেখে দিন। পরদিন চাইলে শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। সপ্তাহে দু’দিন লাগান।
দামঃRs. ৩৮৮/- (১০০ গ্রাম)
এবার তাহলে আর চুলে কী তেল দেবেন সেই নিয়ে সমস্যায় না থেকে এই তেলটি ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পেলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…