করোনার জন্য ছাত্রছাত্রীরা এখন ঘরে বসেই পড়াশোনা করছে। অনলাইনে ক্লাস করার মাধ্যমেই হচ্ছে লেখাপড়া। কিন্তু ল্যাপটপে বা মোবাইলে একা একা চুপ করে পড়তে কি বাচ্চাদের ভাল লাগে! ক্লাসে বসে গল্প করা, অল্প অল্প পড়া না শোনা, ক্লাস করতে করতে ঘুমিয়ে পড়া, এই সবই ক্লাসে বসে ক্লাস করার অঙ্গ ছিল। কিন্তু এখন অনলাইনে ক্লাস যাতে ছাত্রছাত্রীরা ভালবেসে করতে পারে সেই চেষ্টা শিক্ষকদের করতে হবে। নতুন নতুন কিছু জিনিস এই অনলাইন ক্লাসে আনতে হবে।
সাধারণত ক্লাসে খুব কম ছাত্র এমন থাকে যারা শুধু মন দিয়ে চুপ করে পড়া শোনে। বেশির ভাগ ছাত্রই পাশের জনের সঙ্গে অল্প গল্প, মজা, হাসি-ঠাট্টা করতে করতেই পড়া শোনে। বাচ্চাদের এটাই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, এতে অন্যায় কিছু নেই। এখন অনলাইনে আপনি শুধুই যদি পড়ান, সেটি ছাত্রের ভাল লাগবে না। তাই পড়া গল্পের মাধ্যমে হোক।
শিক্ষক হয়ে উঠুন একই সঙ্গে শিক্ষক আর গল্প বলার বন্ধু। যেমন ধরুন, আপনি যদি ভূগোলের ক্লাসে গঙ্গা নদী নিয়ে পড়াতে যান, তাহলে আগে শুরু করুন আপনি কোথায় গিয়ে গঙ্গা দেখেছেন সেটা দিয়ে। আপনার কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তারপর গঙ্গার দৈর্ঘ্য, প্রবাহ এই সব পড়ান। যদি আপনি আসাম নিয়ে কোনও কিছু পড়াতে যান তাহলে আগে কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্য, বাঘ নিয়ে কিছু বলুন। এভাবে গল্প করলে ক্লাসে বাচ্চাদের মন বসবে।
এটি খুব ভাল হবে সাহিত্যের ক্লাসে। ধরুন আপনি কোনও কবিতা পড়াচ্ছেন। কবিতার থিম ছবি কিছু একটা আগে স্ক্রিনে দিয়ে দিন। বাচ্চাদের বলুন এটা সম্বন্ধে কিছু বলতে। কবিতার প্রথম চার লাইন পড়িয়ে বাচ্চাদের থেকে জানতে চান কে কি বুঝল।
হাত তুলে বলতে বলুন। এতে তাদের একটা আগ্রহ তৈরি হবে। ধরুন আপনি আজ একটি কবিতা বা গল্প পড়াবেন যেখানে মূল কেন্দ্রে আছে জল। আপনি ছাত্রদের বললেন আজ পারলে তাঁরা যেন নীল রঙের কিছু পরে। ক্লাস শুরুর পর আপনি নীল, নীলের হরেক শেড যা দেখছেন তা নিয়ে অল্প বলুন। এতেও আগ্রহ বাড়বে।
ক্লাসে সাধারণত পড়ানোর সময়ে এটা শিক্ষকরা করেই থাকেন। কিন্তু অনলাইনে সেটা সম্ভব! আমি বলব সম্ভব। আপনি সব ছাত্রের দিকে তাকাবেন না। কিন্তু দূরে দূরে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে আই কন্ট্যাক্ট করুন।
ক্লাসে আমাদের সকলের দিকে তাকিয়ে শিক্ষক পড়াতেন বলেই আমরা ভয়ে ভয়ে থাকতাম খানিক। এখানে ছাত্ররা যদি দেখে শিক্ষক ছাত্রদের দিকে তাকাচ্ছেন তাহলে অন্য ছাত্ররাও ভাববে আমাদের দিকেও স্যার বা ম্যাডাম তাকাতে পারেন। তাই তারা মন দিয়ে পড়া শুনবে।
আপনি ভাবুন তো, আপনার স্কুলে আপনার কোন শিক্ষককে বেশি ভাল লাগত আর কোন শিক্ষককে খুব একটা নয়। উত্তর হল, যিনি একটু হেসে, একটু মজা করে ক্লাস করাতেন তিনিই সকলের প্রিয় ছিলেন। আর যিনি ক্লাসে এসে শুধু নাম ডাকা, পড়া ধরা, শুধু ক্লাসে কিছু বলা আর শাস্তি দেওয়া এতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতেন সেই শিক্ষকরা আপনাদের একদম নাপসন্দ ছিলেন। ঠিক এখনও একই জিনিস প্রযোজ্য।
আপনি ৪০ মিনিট একটা স্ক্রিনের সামনে একা একটা বাচ্চাকে বসিয়ে কিছু পড়াবেন। সুতরাং সেখানে আপনার কথা বলার ধরনে মজা থাকতেই হবে। মুখে অবশ্যই হাসি থাকতে হবে।
ধরুন একদিন ছাত্ররা এসে দেখল স্ক্রিনে তাঁদের ম্যাডাম খুব সুন্দর সেজে এসেছেন। ছাত্ররা অবাক। ম্যাডাম বললেন, আজ পড়া বন্ধ। আজ আমি একটা নাচ দেখাব। তারপর কেউ গান করবে, কেউ কবিতা বলবে।
পড়ার থেকে এই সব বিষয়ে বাচ্চাদের আগ্রহ অনেক বেশি। অতএব তারা রাজি যেমন হবে, তেমন মজাও পাবে। এই মজাই কিন্তু পরের দিন তাদের আবার ঠিক সময়ে ক্লাসে আনবে। তাই মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ দিন এরকম।
অর্থাৎ অনলাইন ক্লাস যাতে একঘেয়ে না হয় সেই চেষ্টা করতে হবে। শুধু পড়া নয়, পড়ার সঙ্গে অন্য অনেক কিছু রাখুন। তাহলেই বাচ্চারা ঠিক ভাবে ক্লাস করতে পারবে, আর তাও ভালবেসে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…