মাছের রাজা বলা হয় ইলিশ মাছকে। স্বাদে ও গুণাবলীতে এই মাছের কোন বিকল্প নেই। বর্ষাকাল আসলেই বাঙালীর মন এই রূপোলী ফসলের জন্য অপেক্ষা করে। জামাইষষ্ঠী বা অন্য যে কোন অনুষ্ঠানে এই মাছ ছাড়া ভাবাই যায় না। আমরা জানি যে ইলিশ মূলত আসে বাংলাদেশের থেকে, পদ্মার ইলিশ। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গেও যে এই মাছের চাষ হয় না তা নয়। তাহলে ইলিশ মাছের খ্যাতিতে এগিয়ে কে- পদ্মা না গঙ্গা, আসুন সেটা দেখা যাক।
ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হিসাবে পরিগণিত। মোট মাছের চাষের ১১% হল ইলিশ মাছ চাষ। ২৮৭০০০ জেলে সরাসরি ও দুই থেকে আড়াই মিলিয়ন মানুষ এই মাছের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনীতির একটা বড় অংশ আসে এই মাছের চাষ থেকে। আর ইলিশ মাছের জন্য যে স্বাদু জল প্রয়োজন সেই জল পদ্মায় পর্যাপ্ত পরিমাণে। তাই এই মাছের চাষ খুবই ভালো হয় পদ্মায়।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আমরা কী দেখব? কলকাতা থেকে ৫৫ কিমি দূরে রূপনারায়ণের তীরে বক্সি গ্রাম বলে একটা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ইলিশ মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাই গ্রামের নাম ছিল ইলিশ গ্রাম। কিন্তু, গঙ্গার অতিরিক্ত দূষণের জন্য ইলিশ মাছের চাষে ক্ষতি হচ্ছে কারন ইলিশের জন্য চাই পরিষ্কার জল। তাই এই গ্রামের মানুষ আর এই মাছের সাথে যুক্ত থাকতে পারছেন না।
Central Inland Fisheries Research Institute সমীক্ষা করে এই প্রবণতা দেখেছে যে ১৯৬১ থেকে ২০১৩ র মধ্যে গঙ্গায় ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ৩৬ টন থেকে ০.৯ টনে নেমেছে। ১৯৯৮ থেকে ২০১২ র মধ্যে যে পরিমানে ‘ খোকা ’ ইলিশ ধরা হয় তার ১% বাঁচলেও ইলিশ উৎপাদন ৪০০০ টন হবে।
এই পরিসংখ্যান দিয়ে এটাই বলার চেষ্টা করা হল যে গঙ্গার বর্তমানে সেই অবস্থা নেই যা ভালো ইলিশ আমাদের দিতে পারবে। অন্যদিকে পদ্মার এখনো সেইরকম খারাপ অবস্থা হয়নি। তাই পদ্মার ইলিশের জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। তাই বাংলাদেশ সরকার যখন ইলিশের রপ্তানীর ওপর খানিক কঠোরতা আনতে চেয়েছিলেন তখন এপারের মানুষ খুবই চিন্তায় পড়েন।
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান এক স্তম্ভই হল এই মাছ যা আমাদের অর্থনীতির ক্ষেত্রে খাটে না। তাই বাংলাদেশ যতটা ভালো মাছ দিতে পারবে সেটা পারবে না এখানকার জেলেরা। পদ্মার মাছ যতদিন না ঢুকছে ততদিন সেই মাছের জোগান বজায় রাখার জন্য এখানকার জেলেরা বাচ্চা মাছ ধরে। তাই উৎপাদন কম হয়। এই কারনে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য দপ্তর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রস্তাব আনেন ইলিশ মাছের চাষের ওপর যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা আনা যায়।
পদ্মার ইলিশ মাছের এত পরিমাণ ও স্বাদের জন্য বাংলাদেশে বিশেষ পদও রান্না করা হয়, যেমন, ইলিশ মাছের মালাইকারি, পান্তা ভাত ও ইলিশ, সর্ষে দিয়ে ইলিশ ডিম ভুনা, ইলিশ দিম দোপিয়াজা ইত্যাদি। এই এত বৈচিত্র্য আমাদের এখানে পাই না কারন এটা মানতে কোন অসুবিধা নেই যে ইলিশ মাছটা আসলে বাংলাদেশেরই মাছ সবদিক থেকে।
তবে এইজন্য এই বাঙলার বাঙ্গালীর মুখ ব্যাজার করে বসে থাকার কোন মানে নেই। ইলিশ আমাদের নাই বা দখলে থাকলো, মাছ খাওয়া থেকে তো কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। তাছাড়া বাঙ্গাল-ঘটির লড়াইয়ে আমাদের তুরুপের তাস তো রইলই- দেখি একবার ডুয়েল লড়িয়ে চিংড়ির মালাইকারীর সাথে সর্ষে ইলিশের। ফল যাই হোক, রসনা তৃপ্ত হলেই হল কি বলেন!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…