বছর ঘুরে শীত আসে একবারই, তাই লেপ-কম্বল ব্যবহার থেকে শুরু করে ধোয়া, পরিচর্যা, সংরক্ষণ সবই একবার করা হয়। তাই এই কাজগুলো করা চাই নিয়ম মেনে, যাতে বছরের পর বছর লেপ-কম্বল টিকে থাকবে। জেনে নিন কিভাবে পুরনো লেপ-কম্বল এই শীতে নামানোর আগে ঘরেই ক্লিন করে নেবেন এই ৫টি উপায়ে।
দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকলে লেপ-কম্বলে ময়লা পড়াটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে আগে ময়লা যতটা সম্ভব পরিষ্কার করে নিবেন। হাত দিয়ে ঝেড়ে বা শলার ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে বাড়তি ময়লাটুকু সরিয়ে নিতে পারেন। দুই-তিনজন মিলে লেপ বা কম্বল খাড়া করে ধরে রাখলো আর আরেকজন ঝেড়ে-পিটিয়ে পরিষ্কার করলো – এভাবে করতে পারেন।
অথবা মাটিতে মাদুর পেতে তার উপর রেখেও ঝাড়তে পারেন। চাইতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও কাজে লাগাতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভ্যাকুয়ামের মুখে নাইলনের পাতলা জাল পেঁচিয়ে নিন। এরপরে লেপ-কম্বলের উপর জোরে না ঘষে হালকাভাবে ভ্যাকুয়াম চালান।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি পুরনো ব্রাশ দিয়ে ময়লা ঝাড়েন। পুরনো ব্রাশের ব্রিসলস অনেক নরম থাকে। তাতে কোন ক্ষতি ছাড়াই ফেব্রিক ক্লিন করা যায়। শক্ত জায়গায় বিছিয়ে কম্বলের একদিকে ধীরে ধীরে ব্রাশ করবেন। এতে ভিতরে আটকে থাকা ধুলোবালি বেরিয়ে যাবে।
ব্যবহারের আগে লেপ-কম্বলের বোঁটকা গন্ধ দূর করে নিন, অনেকটাই ফ্রেশ হয়ে যাবে। কড়া রোদ কাঁথা-কাপড়ের গন্ধ দূর করার জন্য সর্বোত্তম। তাই শুকনো, রোদ ও বাতাস চলাচল করবে এমন জায়গায় মাদুরে লেপ-কম্বল বিছিয়ে রাখতে পারেন। ড্রায়ার দিয়েও গন্ধ দূর করতে পারেন। হিট ছাড়া এয়ার ড্রায়ার সহনীয় মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
লেপ-কম্বল কখনোই নোংরা জায়গায় রাখবেন না। বা এমন কোন জায়গায় রাখবেন না যেখানে ময়লা-আবর্জনা বেশি উড়ে। পরিষ্কার, সমতল জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখুন। অব্যবহৃত খাট হলে বিছিয়ে সংরক্ষণ করতে সুবিধা হবে। কভার বা বেডশীট দিয়ে ঢেকে রাখতে পারলে আরো ভালো হয়। অনেকে কম্বল ধোয়ার পরে কাপড় ছড়ানোর স্ট্যান্ড বা দড়িতে ছড়িয়ে রাখেন। সেখান থেকেও দাগ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রফেশনাল স্পট ক্লিনিং তো দাগ তোলার জন্য আছেই। কিন্তু আপনি ঘরে বসেই কম্বলের দাগ তুলতে পারবেন। তবে তুলার লেপের ড্রাই ক্লিন করতে গেলে সেটা ভিতরের তুলার ক্ষতি করতে পারে। তাই লেপের দাগ তোলার আগে ঐ জায়গাটার তুলা সরিয়ে নিতে হবে আগে।
দাগ তুলতে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানির সাথে মাইল্ড ডিটারজেন্ট, বেবি শ্যাম্পু, ক্লাব সোডা বা অক্সিজেন ব্লিচ ব্যবহার করতে পারেন। তবে লেপ-কম্বল উলের বা সিল্কের হলে ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। আজকাল বাজারে অনেক স্টেইন রিমুভার পাওয়া যায় যা দিয়ে সহজে শীতের প্রোডাক্ট স্পট ক্লিন করা সম্ভব।
ঘরে ক্লিন করলে, প্রথমে পরিমাণমতো মিশ্রণ বানিয়ে দাগের অংশটা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর তুলে পরিষ্কার এবং শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে ঘষে দাগ তুলে ফেলুন।
কম্বল ধোয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। আপনি মেশিনে ওয়াশ করুন বা হাতে করে, ভুল ওয়াশিং প্রসেসে কম্বল ছিঁড়েও যেতে পারে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…