পাউডার বা গুঁড়ো দুধ দিয়ে রসগোল্লা বানানোর সহজ পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ।
বাঙালীর মিষ্টিপ্রীতি চিরন্তন ও সর্বজনবিদিত। পূজাপার্বন, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী থেকে শুরু করে যেকোনো উৎসব উপলক্ষেই মিষ্টি ছাড়া তার গতি নেই। সম্প্রতি জি আই ট্যাগ পাওয়া রসগোল্লার প্রতি আবার তার একটু বেশি দুর্বলতা।
রসের রসায়নে সম্পৃক্ত গোলাকার বস্তুটি বিশুদ্ধ ছানা ও রসের এক আলাদা কৌলিন্য বজায় রেখেছে। লকডাউনের বাজারে গিয়ে কিনবেন তার উপায় নেই আবার দুধের ও ঠিক দেখা মিলছেনা! এরকম অবস্থায় ঘরে মন খারাপ করে বসে না থেকে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন পাউডার দুধের রসগোল্লা।
উপকরণ:
পাউডার দুধ বড়ো কাপের এক কাপ
জল ৫ কাপ
ভিনেগার ১/৩ কাপ
১/২টেবিলচামচ ময়দা
২কাপ চিনি
১/২ টেবিলচামচ এলাচ গুঁড়ো
পদ্ধতি:
রসগোল্লা বানানোর জন্য একটি পাত্রে পাউডার দুধ নিন এক কাপ এবং তার সাথে জল মেশান সাড়ে ৩ কাপ। এবার দুটো উপাদান ভালোভাবে নেড়ে মিক্স করুন।
মেশানো হলে পর আভেনে হাই ফ্লেমে দুধ গরম করুন ৪-৫ মিনিট মতো। দুধ গরম করার সময় স্প্যাচুলা দিয়ে নেড়ে দেবেন যাতে জমাট বা থকথকে না হয়ে যায়।
এবার ওতে যোগ করুন ১/৩কাপ ভিনিগার ও ১/৩ কাপ জল। ভিনেগার না থাকলে লেবুর রস ও ব্যবহার করতে পারেন।
এরপর দুধ থেকে ছানা আলাদা হয়ে বেরিয়ে আসবে। জল ও আলাদা হয়ে যাবে।
এবার ছানা আলাদা করে নিয়ে একটা বাটিতে তুলে নিন। ছানা ছাঁকার জন্য একটা পরিষ্কার সুতির কাপড় নিন। রং হতে হবে সাদা।
সুতির কাপড়ে ছানা দিন ও সেটাতে পুটুলী পাকিয়ে ছানা থেকে জল বের করতে থাকুন।
ছানা জলমুক্ত হয়ে শুকনো হয়ে গেলে সেটা ঠান্ডা জল দিয়ে ওয়াশ করে নিন। এটা করার কারণ হলো ছানার টক ভাব কেটে যাবে এবং রসগোল্লা শক্ত হবে না। রসগোল্লার মান তো ছানার উপরেই নির্ভর করে তাই না?
ভালোভাবে চেপে চেপে জল বের করে দেবেন। ছানা ড্রাই হতে হবে। ছানা যদি ভেজা থেকে যায় তবে ফ্যানের নীচে ৫-১০মিনিট রেখে দিতে পারেন। বেশি ড্রাই হলে কয়েকফোঁটা জল ও এড করে নিতে পারেন।
ছানা নিয়ে হাতে করে মেখে নিন চটকে তবে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে নেবেন। মাখার সময় ওতে ১/২ টেবিলচামচ মতো চিনি ও এলাচগুঁড়ো দিয়ে দিন। এরোমা ও ফ্লেভার দ্বিগুন করে দেবে এগুলো।
রসগোল্লার পরবর্তী স্টেপ
এবার চিকন লম্বা করে ছানার মন্ড পাকিয়ে নিন। ছোট ছোট বলের আকৃতিতে হাতের তালুতে বসিয়ে লেচি শেপ আনুন। লক্ষ দেবেন যাতে ফেটে না যায়।
ওভেনে পাত্রে বসিয়ে তাতে ৬ কাপ মতো জল ও ২ কাপ মতো চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করুন ও ফোটাতে থাকুন। ৫মিনিট মতো ফোটার পর ওতে রসগোল্লা গুলো দিন।
কড়াইে করবেন তাতে মিষ্টি কখনোই ফ্ল্যাট হবে না। সব রসগোল্লা একসঙ্গে ছাড়বেন এতে হবে কি রসগোল্লা কম বেশি সেদ্ধ হবার সম্ভবনা থাকেনা।
পরবর্তী ধাপে এক কাপ জলের সাথে ১/২ টেবিলচামচ ময়দা মিশিয়ে নিন দিয়ে ফুটন্ত সিরাসহ রসগোল্লাতে দিন। এটার ফলে রসগোল্লার স্পঞ্জি ভাব আসবে। মিশ্রণ শিমার হবে ও ফেনা উৎপন্ন হয়ে ঘন হবে।
কড়াইতে ঢাকনি দিয়ে ১০-১৫মিনিট মতো ফুটিয়ে রাখুন।
ঠাণ্ডা করে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর খান।
গার্নিশিং:
এটা হলো সবার শেষ ধাপ। মুকুটে পালক যোগ করার মতো। প্লেটে স্পঞ্জি ঘন রসের রসগোল্লা সন্ধ্যের জলখাবার এ পরিবেশনের আগে তাতে দিতে পারেন আমন্ড বা পেস্তা উপর থেকে স্লাইস করে।