শীতকালে পিঠে-পার্বন তো বটেই, তাছাড়া সারা বছরই বাড়িতে পায়েস তো বানানোই হয়। আর সুস্বাদু এইসব খাবার বানাতে যে উপকরণটি বিশেষভাবে প্রয়োজন, তা হল খোয়া ক্ষীর। অনেকে মিষ্টির দোকান থেকে খোয়া ক্ষীর কিনে আনেন। তবে আজ আপনাদের বলব বাড়িতেই খোয়া ক্ষীর বানানোর খুব সহজ এক পদ্ধতি।
খোয়া ক্ষীর বানাতে লাগবে
ফুল ফ্যাট দুধ- আধ লিটার (২০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর তৈরি হবে)
গুঁড়ো দুধ (বাজারে আমুলের গুঁড়ো দুধের প্য়াকেট কিনে নিতে পারেন ছোটো ছোটো ২ প্যাকেট)
কনডেনসড মিল্ক- স্বাদমতো
ঘি- ১ চামচ
এলাচের গুঁড়ো
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে একটি পাত্রে ঠান্ডা দুধ ঢেলে নিন। এরপর তার সঙ্গে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিন।
এবার দু’রকম দুধ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে থাকুন। মনে রাখবেন গুঁড়ো দুধ যদি সরাসরি গরম আঁচে কড়াইতে দিয়ে দেন তাহলে কিন্তু দুধে লাম্প আসতে পারে অর্থাৎ দলা পাকিয়ে যেতে পারে, যার ফলে কড়াইতে মিশিয়ে নেওয়া কঠিন হতে পারে।
এর জন্য আগে থেকে দুধটা মিশিয়ে নেওয়া ভালো। এর জন্য পাত্রে প্রথমে লিকুইড দুধ দিয়ে তাতে অল্প অল্প করে গুঁড়ো দুধ মেশাতে থাকুন আর মিক্স করতে থাকুন।
প্রয়োজনে গুঁড়ো দুধের পরিমাণটা একটু বাড়িয়েও দিতে পারেন। মিশ্রণটি তৈরির সময় একটু বিশেষ নজর রাখবেন, কারণ দেখবেন মিশ্রণে যেতে একটুকুও লাম্প না থাকে। তাই মিশ্রণটি একটু সময় নিয়ে গুলে নেবেন।
এবার গ্যাসে ফুল ফ্যাট মিল্কটা দিয়ে দিন, এই সময়ে গ্যাসের আঁচটা একদম বাড়িয়ে রাখবেন, ঠিক যতক্ষণ না দুধ গরম হচ্ছে।
তারপর আঁচ একদম লো ফ্লেমে দিয়ে দেবেন। এরপর দুধ গরম হয়ে এলে যে গুঁড়ো দুধ লিকুইড দুধের সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছিলেন সেই মিশ্রণটা দুধের মধ্যে অল্প অল্প করে মিশিয়ে নিন।
একেবারে পুরোটা মেশাতে যাবেন না। অল্প অল্প করে মেশাবেন আর মিক্স করতে থাকবেন। এই সময় কিন্তু একেবারেই গ্যাসের আঁচ বাড়াবেন না, ফ্লেম থাকবে একদম কম।
দুধ যখন ফুটে ঘন হয়ে আসবে তখন প্যানের চারপাশে লেগে থাকা দুধটা খুন্তি দিয়ে দুধের মধ্যে মিশিয়ে দিতে থাকবেন। তা না হলে, ওই অংশটা কিন্তু শক্ত হয়ে যাবে।
এর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন কনডেনসড মিল্ক, এতে আপনার খোয়াতে একটা মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ আসবে।
যে যেমন মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, সে সেইরকম বুঝে কনডেনসড মিল্ক মেশাবেন।
খোয়া ক্ষীর তৈরি হতে একটু সময় লাগে তাই ধৈর্য হারাবেন না!
এরপর টানা দুধটা নাড়তে হবে। খোয়া ক্ষীর তৈরি হতে একটু সময় লাগে তাই ধৈর্য হারাবেন না। এই সময় গ্যাসের সামনে থেকে সরে যাবেন না, লাগাতার মেশাতে থাকবেন।
একটা সময় পর দেখবেন মিশ্রণটি একটা মন্ডের আকার ধারণ করেছে। কড়াই থেকে ছেড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত খোয়া ক্ষীর ননস্টিক প্যানে রান্না করলে দেখবেন, তলায় ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
মন্ডটি একদম নরম হয়ে এলে তাতে এক চামচ ঘি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। দেখবেন একটা হালকা বাদামী রঙ এসেছে। এবার ওপর থেকে একটু এলাচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। এরপর ১ মিনিট মতো মিশিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি খোয়া ক্ষীর।
আর এই খোয়া ক্ষীর কিন্তু আপনারা এক মাস পর্যন্ত ফ্রিজে স্টোর করে ব্যবহার করতে পারেন। খোয়া ক্ষীর দিয়ে আপনারা পিঠে, পায়েস বা মিষ্টি তৈরি করেও খেতে পারেন বা শুধুও খেতে পারেন।