কি! শিরোনাম শুনে ভাবছেন এ আবার কীসব বলছেন! সন্দেহ কিন্তু খুবই খারাপ একটি জিনিস। অনেক দিনের সম্পর্কের ফাটল ধরানোর জন্য সামান্য সন্দেহই কিন্তু যথেষ্ট।
অনেকের আবার উপযুক্ত কারণ ছাড়াও সন্দেহ করা স্বভাবের পর্যায়ে চলে যায়। তা আপনি কী করে বুঝবেন যে আপনার পার্টনার আপনাকে যথেষ্ট সন্দেহ করে! এর কিছু ভালো ভালো লক্ষণ আজ দাশবাসের এই আর্টিকেলে আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব।
আপনি হয়তো রাতে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ দেখলেন আপনার পার্টনার আপনার ফোন খুলে দেখছেন। তিনি হয়তো আপনার হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক খুলে দেখছেন। আবার আপনি যখন স্নান করতে যান তখন এসে দেখলেন তিনি আপনার মেসেজ দেখছেন।
তাহলে কিন্তু আপনার পার্টনার খুবই সন্দেহপ্রবণ। আর উনি এতোটাই সন্দেহপ্রবণ যে আপনার ব্যক্তিগত জিনিস আপনার বিনা অনুমতিতে দেখছেন। হ্যাঁ, স্বামী হলেও কিন্তু তিনি আপনার ব্যক্তিগত জিনিস আপনাকে না বলে দেখতে পারেন না। এমন ঘটনা ঘটলে সাবধান হন।
অনেক সময়ে এমন কিছু ফোন কল আসে যা সবার সামনে রিসিভ করা যায় না। সেটা হতে পারে আপনার অফিসের থেকে আসা ফোন। আবার হতে পারে আপনার কোনও বন্ধু আপনাকে ফোন করলেন তার কোনও সমস্যা জানাবার জন্য। আপনি যেইই ফোন নিয়ে খানিক দূরত্বে গেলেন, আপনার স্বামীও নানা অছিলায় ঠিক আপনার কাছাকাছি ঘুরতে থাকলেন। এরকম হলেও কিন্তু বুঝবেন তিনি ভালোই সন্দেহ করছেন আপনাকে। ভাবছেন আপনি অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে গল্প করছেন।
আপনার আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শুধু স্বামী সংসার নিয়েই জীবন নয়। তার বাইরেও নিজস্ব একটা জীবন রয়েছে। আপনাকে সেখানেও সময় দিতে হয়।
আপনি হয়তো একদিন বললেন বাইরে যাবেন। এক বেলার জন্যও হতে পারে তা আবার কয়েক দিনের জন্যও। এবার আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে যদি কোনও পুরুষ থাকেন, ব্যস, আপনার স্বামী শুরু করবেন হাজার প্রশ্ন। না না, দু’একটা প্রশ্ন উনি করতেই পারেন। সেটা খারাপ নয়। কিন্তু প্রশ্ন করা যেন জেরার পর্যায়ে না যায়।
সন্দেহ খুব একটা করেন না এমন মানুষও কিন্তু স্ত্রীর পাশে অন্য পুরুষকে ঠিক দেখতে পারেন না। এটা আমরা পজেসিভনেস বলি। কিন্তু কখন যে পজেসিভনেস ভেঙে সেটা ঘোর সন্দেহের দিকে যায় আমরা বুঝতেই পারি না।
আপনি হয়তো আপনার কোনও পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ছবি দিলেন, ফেসবুকে ডিপি দিলেন, এ সবই হয়ে যায় আপনার স্বামীর চক্ষুশূল। সেই বন্ধুটি হয়তো রাতে কোনও দরকারে আপনাকে ফোন করলেন। ব্যস, ঝামেলা শুরু। হয়তো আপনি সেই বন্ধুটিকে রাত বারোটার পর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফোন করলেন। শুরু হয়ে গেল আপনার স্বামীর প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ। ব্যাপারটা বেশি বাড়তে না দিয়ে কথা বলুন দু’জনে।
শুনতে অন্য রকম লাগলেও এরকম হয় কিন্তু। ধরুন আপনার স্বামী কয়েক দিনের জন্য বাইরে গেলেন। যাওয়ার আগে পাড়ার দোকানে বলে গেলেন, শোন বৌদি কখন বেরোচ্ছে আর বাড়ি ঢুকছে খেয়াল রাখিস তো। আমি রোজ ফোন করে জিজ্ঞাসা করব।
অনেকে আবার ছুটির দিনে বৌ বাইরে গেলে লুকিয়ে পিছু নেন। বৌ হয়তো বলেছে তার এক বন্ধুর শরীর ভাল নেই, দেখতে যেতে হবে। স্বামী পিছু নিলেন বৌ সত্যি বলল কিনা তা দেখার জন্য। আর আপনি দেখে ফেললে তিনি অস্বীকার করেন। এই নোংরামি কিন্তু বেশিদিন টানতে দেবেন না।
বাড়ির বাইরে থাকার সময়ে আপনার স্বামী হয়তো আপনাকে বারবার ফোন করছেন। বলতে গেলে এক ঘণ্টা পরপর ফোন করে আপনার কথা জিজ্ঞাসা করছেন। প্রথমে আপনি ভাবতেন আপনার হয়তো খুব খেয়াল রাখছে। কিন্তু আদতে বুঝলেন তা একেবারেই নয়। উনি হয়তো বারবার ফোন করে এটা বোঝার চেষ্টা করছেন আপনি আদৌ অফিসে আছেন নাকি অন্য জায়গায়।
অনেক বার জিজ্ঞাসা করতে পারেন উনি কেন গাড়ির আওয়াজ শুনছেন। আদতে হয়তো এটা ওনার মনের ভুল। এই ফোন করা বেড়ে যায় যদি আপনি অফিসের কাজে বাইরে যান। উনি বারবার ফোন করে এটা বোঝার চেষ্টা করবেন আপনি আদৌ অফিসের কাজে গেছেন না অন্য কারোর সঙ্গে সময় কাটাতে গেছেন। এবং এরপর শুরু হয় তুমুল অশান্তি।
আধুনিক মনোবিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্দেহ একটি রোগ। এই রোগ যেমন অন্যদের জীবনে ডেকে আনে অশান্তি, তেমনই নিজের জীবনও শেষ করে দেয়। তাই সময় থাকতে কথা বলুন দু’জনে আর বিশ্বাস করতে শিখুন একে অপরকে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…