জীবনে খুশি হতে কে না চায় বলুন তো। সত্যি বলতে প্রতিদিন মানুষ দু-মুঠো অন্নের জন্য যে পরিশ্রম করে তা তো কেবল একটু আনন্দে থাকার আশায় বা একটু খুশি থাকার আশায়।
আনন্দ, সুখ এমন আপেক্ষিক বিষয় যা অন্যের সঙ্গে তুলনা করা চলে না। তাই অন্যের জীবন দেখে ঈর্ষান্বিত না হয়ে নিজে যতটুকু পেয়েছেন তাই নিয়েই খুশি থাকার চেষ্টা করুন। তাই আজ আপনাদের বলবো খুশি থাকার কয়েকটি সহজ উপায়।
জীবনে খারাপ সময় সকলেরই আসে, কিন্তু খারাপ সময় থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। জীবনে ভালো সময়ের কথা ভেবে বাঁচার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন যত কঠিন পরিস্থিতিই আসুক না কেন ইতিবাচক ভাবলে সবকিছুই ইতিবাচক হয়, আর যদি সবসময় মনের মধ্যে নেতিবাচকতা পুষে রাখেন, তাহলে কোনওদিনই সুখের মুখ দেখতে পাবেন না।
হীনমন্যতা কিন্তু চরম দুঃখ বয়ে নিয়ে আসে। তাই হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে নিজেকে সবার সেরা বলে মনে করুন।
আর এই ভাবনা একমাত্র তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে যখন বাইরের লোক কে কী বলল- সেই ভাবনা-চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন, তাই লোকের কথায় কর্ণপাত না করেন নিজের ওপর এটুকু বিশ্বাস রাখুন যে আপনি যা করছেন, সেটাই ঠিক।নিজের ওপর আস্থা বাড়ার যে আনন্দ তার থেকে বড় আনন্দ আর কিছুতে নেই।
অতীততে কী ঘটেছিল ভুলে যান। অতীতকে আঁকড়ে ধরে থাকলে সামনের দিকে এগোতে পারবেন না। আর যা একবার ঘটে গেছে তাকে কোনওকিছুর বিনিময়ে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।
তাই শুধু শুধু অতীত নিয়ে পড়ে থাকার কোনও মানেই হয় না। বরং বর্তমানে বাঁচুন। কারণ মনে রাখবেন আজকের দিনটি যদি উপভোগ না করতে পারেন তাহলে সেটিও একদিন অতীত হয়ে যাবে। তাই অতীতকে আঁকড়ে ধরে বাঁচা ছাড়ুন।
বাস্তববাদী হওয়া মানে কিন্তু আবেগকে বর্জন করা নয়। আবেগ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু কোনও অলীক স্বপ্ন মনের মধ্যে নিয়ে বাঁচবেন না। এতে স্বপ্ন ভেঙে গেলে নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
লক্ষ্য করে দেখবেন যাঁরা ঠিককে ঠিক আর ভুলকে ভুল বলে মেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তাঁরাই কিন্তু ব্যক্তিজীবনে আসল সুখী। তাই স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্নকে ধাওয়া করুন, কিন্তু অলীক দিবাস্বপ্ন দেখবেন না। ক্ষতি আপনারই।
যারা আপনাকে ভালোবাসে তাঁদের মধ্যে দিয়েই নিজের জীবনের সুখ খুঁজে নিন। আপনার মা-বাবা-ঠাকুমা-দাদু-দিদা, সর্বপরি সমস্ত কাছের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন।
জানবেন এই মানুষগুলোর ভালোবাসা কিন্তু নিঃস্বার্থ। চাই যথা সম্ভব এই মানুষগুলির স্বপ্ন পূরণ করুন। এঁদের পাশে দাঁড়ান, এতে আপনার মনে যে অনাবিল শান্তি মিলবে, তা কিন্তু টাকার অঙ্কে বিচার করা যায় না।
খুশি থাকার জন্য নিজেকে ভালোবাসাটা খুবই জরুরী। মনের খুশির জন্য কোনও ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। মনে রাখবেন মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে একা, যাবেও একা। তাই নিজের মনের খুশির ঠিকানাও নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে, নিজেকে ভালোবাসতে হবে।
এর জন্য নিজের যা ভালোলাগে তাই করুন। আপনার যদি মনে হয় কোথাও থেকে ঘুরে আসলে আনন্দ পাবেন, নিজের জন্য ট্রিপ প্ল্যান করুন, যদি মনে করেন কোনও পাঁচতারা হোটেলে গিয়ে ডিনার সারলে মনে তৃপ্তি পাবেন তাহলে সেটাই করুন। মনে রাখবেন জীবন একটাই, তাই ভরপুর আনন্দে থাকুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…