চুল লম্বা, বা কার্লি কিংবা অন্যান্য স্টাইল তো খুব সহজেই করা যায়। চুল যদি নির্জীব প্রাণহীন দেখতে লাগে তাহলে যতই সুন্দর হেয়ার কাটিং বা স্টাইলিং করা হোক না কেন, দেখতে মোটেই ভালো লাগে না।
চুল যদি শাইন করে তাহলে কিচ্ছু স্টাইল না করেও দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু কীভাবে চুলে সেই শাইন আনা যায়। আজ রইল তারই কিছু সহজ টিপস, যেগুলো নিয়মিত মেনে চললে উপকার পাবেন।
অনেকেই চুল ভালোভাবে আঁচড়ান না। এতে কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। তাই ভালোভাবে চুল আঁচড়ানো দরকার। দিনে দুই থেকে তিনবার চুল আঁচড়ানো দরকার। এতে স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। যেটা চুলকে হেলদি ও চকচকে করে তোলে।
আগেকার দিনে ঠাকুমা দিদিমারা চুলে নিয়মিত তেল মাখতেন। তাই তাদের চুলও বেশ সুন্দর ছিল। আজকাল অনেকেই চুলে তেল মাখতে চাননা। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার তেল চুলের খাদ্য। তাই তেল মাখা খুব দরকার। রোজ তেল মাখতে না পারলে, সপ্তাহে দুদিন তেল মাখুন। তেল কিন্তু চুলকে ময়েশ্চারাইজড, সফট ও চকচকে করে তোলে। তাই তেল মাখুন। নারকেল তেল বা বাদাম তেল মাখতে পারেন। এটা খুব ভালো।
আপনি কি আপনার চুল অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন? ধরুন আপনার চুল ড্রাই আর আপনি ব্যবহার করছেন ওয়েল কন্ট্রোল শ্যাম্পু। তাহলে কিন্তু চুল আরও রাফ হয়ে যাবে। তাই চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু বদল করে দেখুন।
মাথায় যেমন শুধু গরমজল ব্যবহার করা ঠিক নয়, তেমনই শুধু ঠাণ্ডা জলও ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশী গরমজল যেমন চুলকে ড্রাই করে দিতে পারে, তেমনই ঠাণ্ডা জল আবার আঠালো করে দিতে পারে। তাই শ্যাম্পু করার সময়ে একদম অল্প গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু হয়ে গেলে তারপর ঠাণ্ডা জলে চুল ধুয়ে নিন। এর ফলে শ্যাম্পুর সময়ে স্ক্যাল্প খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। স্ক্যাল্পে জমে থাকা সব ময়লা,তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। যেটা হেলদি চুলের একটা অন্যতম শর্ত।
আপনি কি চুল ঠিকমত না বেঁধেই ঘুমিয়ে পড়েন? এটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। কারণ বালিশে ক্রমাগত চুলের ঘষা লেগে চুলের ক্ষতি হয়। তাই ঘুমোতে যাবার আগে চুল বেঁধে নিন। একটা বিনুনি করে নিতে পারেন বা কোন কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে শুতে পারেন। যাতে বালিশে ঘষা না লাগে।
কমদামী হেয়ার ডাই প্রোডাক্টে অ্যামোনিয়া থাকে। যাতে চুল খুব ড্রাই হয়ে যায় এবং চুলের আসল রঙটাই নষ্ট হয়ে যায়। চুল ফেটে যায়। তাই হেয়ার কালার করতেই হলে, ভালো কোন অ্যামোনিয়া ফ্রী হেয়ার কালার ব্যবহার করুণ।
চুল কখনো কার্লি বা কখনো ব্লো ড্রাই আরও বিভিন্ন স্টাইল আমরা করে থাকি। এই বিভিন্ন ধরণের স্টাইল করার সময়ে বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট, মেশিন ব্যবহার করা হয়। এবং বেশ অনেকটাই তাপে এই ধরণের স্টাইল করা হয়। কিন্তু এই অতিরিক্ত তাপ চুলের জন্য একদমই ভালো নয়। চুল ড্রাই তো হয় সাথে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। চুল হয়ে পড়ে প্রাণহীন।
হেয়ার সিরাম চুলকে সবরকম ভাবে পুষ্টি দেয়। চুলকে সিল্কি, সফট করে তোলে। প্রতিদিন চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে, একটু চুলটা আঁচড়ে নিন। এটা চুলকে বাইরের দূষণ, তাপ সবকিছু থেকে রক্ষা করে। এককথায় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই যেকোনো স্টাইলিং করার আগে চুলে সিরাম অবশ্যই লাগান।
পরিমিত জলের অভাবে শরীরে যেমন ডিহাইড্রেশন হয়। তেমনই চুলও ড্রাই হয়ে যায়। তাই শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকলে স্ক্যাল্পও হাইড্রেটেড থাকে। চুলও থাকে হেলদি।
চুল হল একধরণের প্রোটিন। যেটা শরীরে উপযুক্ত প্রোটিনের অভাবে ঝরে যায়। চুলকে হেলদি রাখতে ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেটা চুলকে হেলদি তো রাখেই সাথে চুলকে রিজুভিনেট করে। যেটি আপনি পেতে পারেন মাছ, বাদাম, বিভিন্ন দানা জাতীয় খাবার থেকে।
এগুলো ছাড়াও চুলকে ভালো রাখতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে বিভিন্ন স্টাইলিং করার পর হেয়ার স্প্রে লাগান।
আজকের বলা এই সবকটি টিপস এবং মাস্ক গুলি সবকটাই খুব উপকারী। চুলকে সুন্দর ও সাইনি করতে বেশ সাহায্য করবে যদি আপনি এই টিপস গুলি নিয়মিত মেনে চলেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…