মেকআপ তো জমিয়ে করলেন। কিন্তু কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছে কী যে মেকআপটা খুবই চড়া হয়ে যাচ্ছে। ঠিক যে স্মুদিং এফেক্টটা আপনি চাইছেন সেটা পাচ্ছেন না। অর্থাৎ আপনি যে কাঙ্ক্ষিত কেকি মেকআপ চাইছেন সেটা কোনওভাবেই আপনি পেতে পারছেন না। কিন্তু সেটা নিয়ে চিন্তা করার কিচ্ছু নেই। আমরা আজ বলে দেব কী কী করলে আপনি আপনার মেকআপের উপর কেকি এফেক্ট খুব সহজেই পেতে পারেন।
মেকআপ শুরু করার আগে ত্বককে হাইড্রেট করে নিন। যে কোনও ভালো হাইড্রেটিং সিরাম দিয়ে আগে ত্বককে হাইড্রেট করে নিয়ে তারপর যদি ফাউন্ডেশন লাগানো যায়, তাহলে তা দীর্ঘক্ষণ ধরে থাকে। সহজে মুছে যায় না। তবে সেই সিরাম খুব ভারী হলে চলবে না। এমন সিরাম নিতে হবে যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজডও করবে।
কেকি মেকআপের জন্য যে ভারী ক্রিম লাগবে তা নাও হতে পারে। যে কোনও ভারী ক্রিম বা পাউডারই তালিকা থাকা বাদ দিয়ে দিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রিমের বদলে তরল বা ওয়াটার বেসড কিছু মেকআপের আগে ব্যবহার করতে। সেটা ত্বকের সঙ্গে আরও ভালো ভাবে মিশে যাবে।
ফাউন্ডেশন নানা রকমের কভারেজ দিয়ে থাকে ত্বকের ক্ষেত্রে। কেকি মেকআপের জন্য এই কভারেজ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রেও লাইট টু মিডিয়াম কভারেজের লিকুইড ফাউন্ডেশন বেশি ভালো আর নিরাপদও বটে। তাই কেকি মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়া কিন্তু খুব জরুরি।
কেকি মেকআপ পাওয়ার জন্য যেটা সবচেয়ে জরুরি সেটা হল মেকআপ যে করেছি সেটা বোঝা না যাওয়া। তাই জন্য মেকআপ এমন কিছু দিয়ে করা উচিৎ যেটা মেকআপকে সহজে মিশিয়ে দেবে আর তার সঙ্গে অতিরিক্ত মেকআপের উপাদানকেও সরিয়ে দেবে। আর ঠিক এই জন্যই বিশেষজ্ঞরা বলেন স্পঞ্জ ব্যবহার করতে। স্পঞ্জ অতিরিক্ত মেকআপ তুলে দেয় আর একটা নরম, মোলায়েম এফেক্ট আনে।
অনেক সময়ে মেকআপ করার পর আমাদের মুখে অতিরিক্ত পাউডার লেগে থাকে। সেটার জন্য আবার আমাদের মেকআপ খুব চড়া মনে হয়। তাই মেকআপ করার সময়ে ট্রান্সল্যুসেন্ট পাউডার ব্যবহার করুন। অনেকে বলেন বেস হিসেবে ট্রান্সল্যুসেন্ট পাউডার ব্যবহার করাই নাকি বেশি ভালো।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবার শুরুতে চোখের মেকআপ করতে হয়। চোখের মেকআপই বলে দেবে মুখের মেকআপ কতটা করা উচিৎ। চোখের মেকআপ একটু ভারী বা বোল্ড হলে ক্ষতি নেই। তাই মুখের মেকআপও সেই অনুযায়ী মানিয়ে নিয়ে করতে হবে। মুখে একটু হাল্কা মেকআপ করে চোখের সঙ্গে মানানসই বেস তৈরি করতে হবে। আর তাহলেই আমরা বুঝতে পারব যে মুখে ঠিক কী ধরণের উপাদান ব্যবহার করতে হবে কেকি মেকআপ লুক পাওয়ার জন্য।
ব্লটিং পেপারেরও ক্ষমতা আছে অতিরিক্ত মেকআপ তুলে নেওয়ার। আমরা জানি ব্লটিং পেপার খুব ভালো শোষক। তাই স্পঞ্জ দিয়ে ফাউন্ডেশন বা কনসিলার লাগানোর পরেও মুখের উপর দিয়ে একটু একটু করে থুপে থুপে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করুন। এতেও অতিরিক্ত মেকআপ উঠে আসবে ও চড়া ভাবটা কমে গিয়ে মোলায়েম কেকি মেকআপের এফেক্ট আসবে।
অনেক ক্ষণ মেকআপ মুখে থাকার পর হয়তো মেকআপ একটু মুছে যেতে শুরু করে। বা গরমে খুবই ঘাম যখন হয়, তখনও এই মেকআপ উঠে যাচ্ছে দেখে আমরা আরেক প্রস্থ মেকআপ করতে বসি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। মেকআপের উপর মেকআপ না করে বরং যে মেকআপটা অবশিষ্ট আছে সেটাই আরেক বার ভালো করে মুখে ব্লেন্ড করে নিন। দেখবেন এতেই যা ফল হওয়ার হবে। মেকআপ চড়া তো লাগবেই না, বরং আরও সুন্দর হবে।
তাহলে আজকের পার্টিতে নিশ্চয়ই আপনার মেকআপ দেখে সবাই চমকে যাবেই। আর সবাই যখন প্রশংসা করবে, তখন না হয় একটু তারিফ আপনি দাশবাসকেও করবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…