স্বামীকে নিজের কন্ট্রোলে রাখা মানেই নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা নয়। সংসারের মঙ্গলের জন্য কখনও এরকম ভাবনা রাখতেই হয়। বৈবাহিক জীবন বা পরিবারের ভালোর জন্য যদি কিছু করার দরকার হয় তবে তা মোটেও ভুল না।
যখন দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তারপর দুজন দুজনের বিষয়ে আরও অনেক কিছু জানতে পারেন। অনেক সমস্যাও তৈরি হয়। ঝগড়া করে কোন সিদ্ধান্তে আসা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তা বরং সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।
তাই আপনি যদি এই সমস্ত সমস্যা এড়াতে চান তবে আপনার স্বামীকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা আপনাকে শিখতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনি আপনার স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
স্বামীকে বশে রাখার ৫টি উপায়
বশে রাখা মানে তার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া নয়। নিয়ন্ত্রণে রাখুন, স্বাভাবিকতার সাথে। যা আপনারদের মধ্যেকার সম্পর্ককে সুস্থ ভাবে সারাজীবন চালাতে সাহায্য করবে।
প্রথম উপায়
- স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথমে কিছু নিয়ম নির্ধারণ করুন।
- যেমন, রাতে ঘরে ঢোকার সময়, রাতের খাবার খাওয়ার সময়। ঘুমো থেকে ওঠার সময় কী হওয়া উচিত ইত্যাদি।
- এছাড়াও, এই বিধিগুলি ভঙ্গ করার পরিণতিগুলি কী হতে পারে তা ব্যাখ্যা করুন।
- আপনার কথাটি শান্তি এবং যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। ঝগড়া করে কোন লাভ নেই।
দ্বিতীয় উপায়
- যে নিয়মগুলো বানাবেন তা আগে নিজে পালন করার চেষ্টা করুন। আপনি নিজে ঠিক না থাকলে এগুলো ঠিক করা সম্ভব না।
- আপনি যদি কর্মরত হন আপনিও সময় মত ঘরে ঢুকুন, ডিনার সময় মেনে করুন। আপনার দেখাদেখি সেও মানতে শুরু করবে। না হলে জোড় করে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায় না।
তৃতীয় উপায়
- দুজন ভিন্ন মানুষ মানেই মতামতও আলাদা। সবসময় নিজের ভাবনাকেই প্রাধান্য দিন কিন্তু অন্যের কথা শোনার চেষ্টা করুন।
- স্বামীর আত্মমর্যাদাকে সন্মান করুন তাকে বোঝান যে সেও যেন আপনার ভাবনাকে সন্মান করে। তাহলে দেখবেন দুজনের মধ্যেকার অনেক সমস্যাই কথা বলে মিটে যেতে পারে।
- সুতরাং, রাজী করানোর জন্য কিছু ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।যেমন, আপনি যদি চান যে আপনার স্বামী বন্ধুদের সাথে বাইরে না যায়, চিৎকার না করে আবেগঘনভাবে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
- আপনার অপছন্দের বিষয় তাকে শান্ত ভাবে বোঝান।
চতুর্থ উপায়
- স্বামীর পছন্দ ও অপছন্দ খেয়াল রাখুন।
- বিশেষত ছুটির দিনে, তার পছন্দের খাবার বানান বা চাইলে নিজে বাইরে থেকে অর্ডার করুন।
- এমনকি খাবারের সাথে কিছু মিষ্টি বানাতে পারেন ঘরে যা সে খেতে পছন্দ করে। কারণ পুরুষেরাও নিজের মানুষের থেকে যত্ন পেতে ভালবাসেন।
- আর এটা তো জানেন যে কারোর মনে জায়গা বানানোর সহজ পথ তার পছন্দের খাবারের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। কেউ খেয়ে খুশি হলে, তার মনজয় করা সহজ হয়ে যায়।
পঞ্চম উপায়
- আপনার কোন বিষয় যদি স্বামী পছন্দ না করে থাকেন তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার ভাবনাকে প্রত্যাখ্যান করার পরিবর্তে, অপছন্দ করার কারন তাকে জিজ্ঞাসা করুন।
- যদি তার বক্তব্যটি সঠিক হয় তবে কোনও যুক্তি ছাড়াই তা গ্রহণ করুন।
- তবে তার ভাবনা যদি ভুল হয় তবে তাকে কনভিন্স করুন শান্ত ভাবে। তাকে বোঝান কেন সে ভুল।