সাদা রঙের কাপড় মানেই গরমের স্বস্তি আর নোংরার আখড়া। রঙিন কাপড়ের তুলনায় সাদা রঙের কাপড় পরতে যেমন আরাম তেমনি এটি খুব তাড়াতাড়ি ময়লা হয়ে যায়। ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে সাদা কাপড় হাজারবার ধুলেও নোংরাই থেকে যায়। এই আর্টিকেলে জেনে নিন সাদা রঙের জামা কাপড় কিভাবে ধুলে ঝকঝকে থাকবে আর অনেকদিন একই রকম থাকবে।
পরিমাণমতো পানি এবং বেকিং পাউডার একসাথে গুলে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণে সাদা কাপড় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন ও পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সাদা রং আগের চাইতেও সাদা দেখাবে। চাইলে অন্যভাবেও বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এক বালতি কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ ডিটারজেন্ট মিশিয়ে তাতে ১৫ মিনিট কাপড় ভিজিয়ে রাখুন। তারপর কাপড়টি তুলে দাগের জায়গায় কিছুটা বেকিং পাউডার ছিটিয়ে ৫ মিনিট ঘষুন। এরপরে আরো ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি সাদা কাপড়ের দাগের জায়গায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শুকিয়ে আসলে শুধু পানিতে কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন, দাগ চলে যাবে। পুরো কাপড়ের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে বেকিং সোডার পেস্ট পুরো কাপড়ে লাগিয়ে একইভাবে ধুয়ে নিবেন। ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে আধা কাপ ভিনেগারের মিশ্রণ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করলেও কাপড়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
এক বালতি পানিতে ৫০ মিলিলিটার হোয়াইট ভিনেগার মিশিয়ে তাতে সাদা কাপড় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভিনেগারের পানি ঝরিয়ে রোদে শুকাতে দিন। ভিনেগারে ভেজানো কাপড় আলাদা করে ধোয়ার দরকার নেই। পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিলেই সাদা কাপড় আরো সাদা হয়ে যাবে।
সাদা কাপড়ের কালচে ভাব বা দাগ দূর করতে ব্লিচিং পাউডারের তুলনা নেই। প্রথমে এক বালতি পানিতে ১ টেবিল চামচ ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণে কাপড় ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। কাপড়টি তুলে এর উপর প্রয়োজনমতো ব্লিচিং পাউডার ভালো করে ছিটিয়ে মেখে নিন। ১০ মিনিট মাখিয়ে রাখার পর পানিতে কাপড় ধুয়ে ফেলুন। তবে ব্লিচিং ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এটি শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি করে, আবার অতিরিক্ত ব্লিচিং পাউডার ব্যবহারে সাদা কাপড়ের তন্তু ও রং নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঘন ঘন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো।
সাদা কাপড়ের দাগের উপর আলুর রস দিয়ে রাখতে পারেন অথবা আলুর রস মেশানো পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। যেভাবেই করুন না কেন, ভেজানোর ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে কাপড়টি ধুয়ে ফেলবেন।
স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানির চাইতে হালকা গরম পানিতে সাদা কাপড় ভেজালে কাপড়ের দাগ তাড়াতাড়ি হালকা হয়। প্রথমে কাপড়টি উষ্ণ পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর কাপড়টি উঠিয়ে পানিতে পরিমাণমতো ডিটারজেন্ট ও ১ টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার ভালো করে গুলিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণে কাপড় আরও ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। সবশেষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, আর দেখুন জাদু। একেবারে নতুনের মত দেখতে লাগবে।
সাদা কাপড়ে কসমেটিকসের দাগ লাগলে সেটা তোলা খুবই কষ্টসাধ্য। যদি কাপড়ে নেইলপলিশ, লিপস্টিক, বা অন্য কোন কসমেটিকসের দাগ লেগে যায়, তাহলে রিমুভার ব্যবহার করবেন। দাগের উপর সরাসরি রিমুভার ঢেলে হাত দিয়ে ঘষবেন অথবা তুলায় রিমুভার লাগিয়ে ঘষবেন। রিমুভার দিয়ে দাগ তোলার পরে দাগের চারপাশটা রঙিন হয়ে যেতে পারে। তখন ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানিতে কাপড়টি ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই সমস্যার সমাধান হবে।
সাদা কাপড় পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখতে ডিটারজেন্টই যথেষ্ট। তবে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। গাঢ় দাগের জন্য অল্প ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কোন লাভ হবে না। আবার ডিটারজেন্ট বেশি হয়ে গেলে কাপড়ের বুনন ও রঙ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দাগ বুঝে ডিটারজেন্ট পানিতে গুলিয়ে নিবেন। ডিটারজেন্ট কখনোই কাপড়ের উপর সরাসরি ঢালবেন না।
সাদা কাপড় উজ্জ্বল, কড়কড়ে, এবং নতুন রাখার জন্য মাড়ের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। আপনি বাজারের মাড়ের পাউডার ব্যবহার করতে পারেন অথবা ঘরে তৈরি ভাতের মাড় বা এরারুটও ব্যবহার করতে পারেন। হালকা গরম পানিতে মাড় ভালো করে গুলিয়ে নিবেন যাতে পানিতে পুরোপুরি মিশে যায়। এরপর এতে সাদা কাপড় ভিজিয়ে কড়া রোদে মেলে দিবেন। রোদ না পেলে কাপড়ে মাড়ের ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যাবে। তাই বৃষ্টির দিনে মাড় ব্যবহার না করাই উত্তম। আর রোদে মেলার আগে কাপড় ভালোমতো নিংড়ে নিবেন, নয়তো মাড় শুকিয়ে কাপড় শক্ত হয়ে যাবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…