বিয়ে করে সারাজীবন একটা মানুষের সঙ্গে থাকা তো কম বড় কথা নয় বলুন! ঠিকঠাক সব না মিললেই অশান্তি, ডিভোর্স আরও কত কী! আমরা কেইই বা এসব চাই বলুন জীবনে। তাই বিয়ের আগে কয়েকটি জিনিস দেখে নিন অবশ্যই।আজকের আর্টিকেলে যা যা বললাম তা যদি মিলে যায় তাহলে ধরে রাখুন আপনাদের রাজযোটক হতে চলেছে।
আপনার জীবনের সঙ্গী হিসেবে এমন একজনকে খুঁজুন যার সঙ্গে আপনার মিল রয়েছে। না না, তা বলে আপনার ফটোকপি খুঁজতে বলছি না। এমন একজনকে খুঁজুন যার সঙ্গে আপনি নিজেকে যুক্ত করতে পারেন। নিজের মনের কথা, ব্যথা সব ভাগ করতে পারবেন সহজেই। অনেক কাজ আপনারা একসঙ্গে করতে পারছেন কিনা দেখুন। যিনি আপনাকে সেই স্পেস দেবে তাঁকেই কিন্তু জীবন সঙ্গী হিসেবে ভাবতে পারেন।
অনেক মনোবিশেষজ্ঞ বলেন উপযুক্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিন্তু কিছু কিছু ইচ্ছা কমন থাকতেই হয়। আপনাদের সব ইচ্ছে যে মিলবে তার কথা কেউ বলছে না। কিন্তু যদি কোনও ইচ্ছে না মেলে তাহলে একসঙ্গে থাকা কিন্তু মুশকিল। যেমন ধরুন আপনি বই পড়তে খুব ভালোবাসেন, আর আপনার পার্টনারের বই দেখলেই ঘুম পায়। আপনার পার্টনারের হয়তো মুভি দেখা খুব প্রিয়, আর আপনি মুভি দেখতে গেলেই বোর হয়ে যান। এভাবে কিন্তু বেশিদিন চলবে না।
ধরুন আপনাদের মধ্যে একজন একটু বেশি উন্নতি করছেন। জীবনে একটু বেশি সাফল্য পাচ্ছেন। আর আপনি হয়তো একটু কম। বা উলটোটাও হতে পারে।দেখুন এই সময়ে কীভাবে এই ব্যাপারটা দু’জনে একসঙ্গে মিটিয়ে নিচ্ছেন।দু’জনে কিকরে দু’জনকে টেনে তুলছেন।এর বদলে যদি দু’জনে অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে যান, যদি দ্বিচারিতা দেখেন, তাহলে বারবার ভাবুন সম্পর্কটা নিয়ে।
একসাথে দুটো মানুষের সারা জীবনের পথ চলায় একে অপরের প্রতি যত্নশীল না হলে সমস্যা হয়। তাই আপনি শুধু খেয়াল রাখছেন আর অপরজন রাখছে না এটা ভালো সংকেত নয়। কাউকে জীবনসঙ্গী বানানোর আগে অবশ্যই এই পয়েন্টটি খেয়াল রাখবেন। আপনার পার্টনার আপনার প্রতি যত্নশীল কিনা। যদি হয় তাহলে জানবেন একদম ঠিক মানুষকে আপনি পেতে চলেছেন।
সম্পর্কে বিশ্বাস থাকা কিন্তু খুব দরকার। আপনি যদি আপনার পার্টনারকে বিশ্বাস না করতে পারেন, তাহলে সারাজীবন থাকা অসম্ভব। আপনি কোনও কথা বিশ্বাস করে জানালে তিনি সেটি নিজের মধ্যে রাখছেন না অন্য কাউকে বলছে দেখুন। নিজের মোবাইলের পাসওয়ার্ড বলে দেখুন ঘন ঘন উনি আপনার ফোন দেখছেন কিনা।এইটুকু পরীক্ষা বিয়ের আগে করে নেওয়া খারাপ কিছু না। এতে পরবর্তী জীবন ভালোই হয়।
যারা পার্টনার হবেন তাদের বেশি করে সময় কাটানো উচিৎ। এখন দেখতে হবে একসঙ্গে সময় কাটাতে আপনারা চান কিনা। যদি সময় কাটাতে নাইই চান তাহলে তো সারা জীবন একসঙ্গে থাকাই অসম্ভব। আর যখন আপনারা সময় কাটান তখন দু’জনে বোর হচ্ছেন না তো? একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছেন না তো দু’জনের কাছে? এগুলি কিন্তু ভালো করে দেখে নিতে হবে।
একটা সারা জীবনের সম্পর্ক শুধু ভালোবাসা দিয়ে হয় না। দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে যদি কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকে তাহলে তা মিটিয়ে নিন। অবশ্যই দেখে নিন আপনাদের মধ্যে এই বিষয়ে মানসিকতা মিলছে কিনা। তার পাশে আরেকটা বিষয়ও অবশ্যই দেখুন। দু’জনেই শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্ষম তো! সেরকম হলে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই বিষয়টি কিন্তু সম্পর্ক বা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
এই ব্যাপারটা আমরা অনেকে নজর দিই না। কিন্তু লাইফ পার্টনার বেছে নেওয়ার আগে দু’জনের কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, থেলাসেমিয়া পরীক্ষা, এইচ.আই.ভি পরীক্ষা এই সব অবশ্যই করে নিতে হবে। যদি একজনের শরীরে এইসব থাকে তাহলে কিন্তু সন্তানের সেই রোগ হতে পারে। তাই লাইফ পার্টনার বেছে নেওয়ার আগে এই বিষয়ে নজর দিন ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
সম্পর্ক মজবুত করার জন্য একে অন্যকে সময় দেওয়া খুব জরুরি। হ্যাঁ, আজকের দিনে আমাদের কাজের চাপ অনেক। কিন্তু তার মধ্যেই দু’জনের দু’জনের জন্য সময় বের করতে হবে। সময় দেওয়া মানে যে সব সময়ে দেখা করতে হবে তা নয়। ফোনে কথা বলেও আপনি সময় দিতে পারেন, কথা ভাগ করে নিতে পারেন। অনেকে কিন্তু ইচ্ছে করে সময় থাকলেও সময় দেন না। তারা অন্য কাজ করেন, সম্পর্ক তাদের কাছে টেকেন ফর গ্রেন্টেড। তাই এক্ষেত্রে খুব সাবধান।
এটি বজায় রাখা খুব দরকার। ঝামেলা অশান্তি সব সম্পর্কে হয়। কিন্তু দু’জনের বোঝাপড়া দিয়ে সেটা কাটিয়ে ওঠাও যায়। একে অন্যকে বুঝতে হবে তার জন্য। একটা সেতু তৈরি রাখতে হবে। তবেই উপযুক্ত পার্টনার হবেন।
আশা করি এবার আর আপনার কাছের মানুষকে বেছে নিতে কোনও সমস্যা হবে না। এই দিকগুলি মাথায় রেখে নিশ্চিন্তে ডেট করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…