সে প্যাচপ্যাচে গরম হোক বা খরা রৌদ্রের দাবদাহ, তাৎক্ষনিক স্বস্তি পেতে আমরা কিন্তু আকছার খুলে বসি রেফ্রিজারেটর এর ডোর। সাথেসাথে মুখেচোখে এসে লাগে ঠান্ডা হাওয়ার পরশ যা জুড়িয়ে দেয় মন প্রাণ।তার মধ্যে রাখা বরফ এর কুচি আমরা পানীয় ও খাবারে ব্যবহার করে থাকি ঠিকই কিন্তু সেটা যে ফেসিয়াল উপকরণ হয়ে উঠতে পারে একথা বোধয় ভেবে দেখিনা।
চলুন দেখে নি আপনার বেহাল ত্বককে সুস্থ ও সতেজ রাখার নতুন ঠিকানা যা এবার থেকে পাকা জায়গা করে নেবে আপনার রোজকার রূপচর্চার রুটিনে।
নাম শুনেই বোঝা যায় যে বরফ বেসড এই ফেসিয়াল যেটা একধরনের ঠান্ডা অনুভুতিদায়ক থেরাপি যা আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রায়ো থেরাপি নাম খ্যাত। এই ফেসিয়ালে আপনার স্কিন ন্যাচরালি হিল হয় এবং পুনর্যৌবন ফিরে পায়।
একদিকে কোনো কেমিক্যাল উপাদান থাকে না তাই এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে অন্যদিকে এটি সময় সাশ্রয়ী আর খরচসাপেক্ষ ও নয়।
আইস ফেসিয়াল এর জন্য ভিড় ঠেলে পার্লার এ ছুটোছুটি নিষ্প্রয়োজন। বাড়ি বসেই মনের আরামে আপনি ইটা ট্রাই করতে পারেন।
ফ্রিজারে রাখার আইস ট্রে ও পরিমান মত জল
ট্রে তে পরিমান মত জল ঢেলে ভর্তি করে নিয়ে ফ্রিজে বেশ খানিকক্ষণ রেখে জমাট বেঁধে গেলে টুকরো গুলো মুখে ঘষে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের কাছে সময় কম তারা চটজলদি উপায়ে মুখ রিফ্রেশ করে নিতেই পারেন।
শসা ও গোলাপ জল
শসার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে ফেলুন। তার সাথে মেশান গোলাপজল বা রোজ ওয়াটার। এরপর অল্প তাপে মিশ্রন টিকে সেদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাকনি নিয়ে স্কুইস করে ছেঁকে নিয়ে মিশ্রনটা কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজার এ জমিয়ে বরফ এ পরিনত করুন।
১ কাপ পরিমান দুধ, ১ কাপ নারকোল তেল ও ১ কাপ পরিমান চাল ধোয়া জল।
একটা ডাবল রো যুক্ত ট্রে নিন। তারপর একটি রো তে দুধ ও নারকোল তেল সমপরিমানে মিশিয়ে সেই সল্যুসন ঢালুন। তার পাশের ট্রেতে দুধ ও চাল ধোয়া জল সমপরিমানে মিশিয়ে সেটা দিয়ে পূর্ণ করুন। এবার রেখে দিন জমাট বাঁধার জন্য। দুধ এর প্রধান গুন হলো এটি প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর এর কাজ করে ডেড স্কিনসেল তুলে দিতে সাহায্য করে।
১ কাপ পরিমান ডাবের জল ও ১ স্লাইস অ্যালোভেরা।
অ্যালোভেরার একটা স্টিক নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে জেল বের করে নিন। সেটার থিকনেস কমাতে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। তার সাথে মেশান ডাবের জল পরিমান মত। ফ্রিজারে দিন জমার জন্য। এলোভেরা ও ডাবের সুথিং প্রপার্টিজ ব্রনর প্রকোপ কমায় এবং স্কিনকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থকে রক্ষা করে ।
গ্রিন টির নির্যাস ১ কাপ ও ২ টেবিলচামচ এসেনসিয়াল অয়েল।
গ্রিন টির সাথে এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে মিশ্রনটা রেফ্রিজারেট করলেই কেল্লা ফতে।এই বরফ এ প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে সাথে থাকে ক্যাফেইন যা স্কিনের নানা সমস্যার উপসমে ভীষনভাবে কার্যকরী।
ফেসিয়াল করার সময় মুখের বিশেষ কিছু অংশের প্রতি খেয়াল দিতে হয় যাতে সেই জায়গা গুলোর দীপ্তি বাড়ে ও যত্ন সঠিকভাবে হয়। মিনিমাম ২মিনিট সময় দেবেন ফেসিয়াল করার সময়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Nice...hair fall r jonno kichu tips din please....