কাঁচা শাক-সবজি নিয়ে বাঙালীর ঝামেলার অন্ত নেই। একটু বেশি কিনলেই যায় পঁচে, আবার একদম অল্প কিনলে দেখা যায় পরের দিনই দাম বেড়ে গেছে। উভয় সংকট যাকে বলে আর কি। আবার অনেকে আছেন বারান্দায়, ছাদে কিংবা বাগানে শাক-সবজির চাষ করেন।
ফলন ভালো হলে এসব ফসল সংরক্ষন করা তাদের জন্যেও একটু চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান করতে আজ নিয়ে এসেছি সামান্য কিছু ট্রিকস, যা মেনে কাজ করলে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য কাঁচা শাক-সবজি সংরক্ষন করতে পারবেন।
আলু, পেঁয়াজ, রসুন এগুলো সাধারণত বাজার থেকে বেশি পরিমানেই কেনা হয়। তাই এধরনের সবজি সংরক্ষনেও লাগে একটু বাড়তি যত্ন। প্রথমেই কিনে আনা আলু, পেঁয়াজ, রসুন থেকে ভালো এবং নষ্ট বা নষ্ট হতে পারে এমন ফসল আলাদা করে ফেলুন।
ভালোগুলো একসাথে একটি বেতের ঝুড়িতে তুলে খাটের নিচে রেখে দিন। দীর্ঘ দিন ভালো থাকবে। একেক প্রকারের সবজি একেক ঝুড়িতে রাখুন। পেঁয়াজ ও রসুন পরিষ্কার করে ধুয়ে বেটে অথবা ব্লেন্ড করেও ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষন করতে পারেন।
শাক সংরক্ষন করা একটা বড় সমস্যা। শাক আসলে খুব বেশি দিন সংরক্ষন করা যায় না, পঁচন ধরে। তাও কিছুদিনের জন্য সংরক্ষন করতে চাইলে বাজার থেকে এনে বেছে একটি পলিথিন কিংবা নিউজ পেপারের কাগজে মুড়ে ফ্রিজের নরমালে রেখে দিন। কিছুদিন ভালো থাকবে। লেটুস পাতা, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, কারি পাতাও এই উপায়ে সংরক্ষন করতে পারবেন। এক কিংবা দুই দিনের জন্য সংরক্ষন করতে চাইলে বাতাসের চলাচল আছে কিন্তু অন্ধকার এমন জায়গায় রেখে দিন, ভালো থাকবে।
অনেকেই বলেন কাঁচা মরিচ ফ্রিজে রাখলে নাকি নষ্ট হয়ে যায়। সঠিক নিয়মে রাখতে না পারলে নষ্ট তো হবেই। কাঁচা মরিচ বাজার থেকে এনে বোটা ফেলে বাতাসে কিছুক্ষন রেখে দিন। এরপর প্লাস্টিকের ঝুড়িতে ভরে ফ্রিজের নরমালে রাখুন। এভাবে রেখে সপ্তাহ দুয়েক পঁচন ছাড়াই কাঁচা মরিচ খেতে পারবেন। ডিপ ফ্রিজে কখনো আস্ত কাঁচা মরিচ সংরক্ষন করবেন না, এতে মরিচের স্বাদ ও মান দুটোই কমে যায়।
টমেটো, গাজর, ফুলকপি, বাধাকপি, সিম, টমেটো এসব শীতকালীন সবজি কিন্তু চাইলেই দীর্ঘ দিন সংরক্ষন করা সম্ভব। এসব সবজি পরবর্তী মৌসুম পর্যন্ত খেতে চাইলে ভালো মত সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবারে এয়ার টাইট বক্স অথবা জিপ লক ব্যাগ ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। মৌসুম পার হয়ে গেলেও খেতে পারবেন অনেক দিন।
ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রকলি, মূলা, বরবটি এই সবজিগুলো সংরক্ষন করতে চাইলে প্রথমেই ছোট ছোট পিস করে কেটে নিন। এগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি জিপ লক ব্যাগে রেখে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। ঘন্টা কয়েক পর ব্যাগটা বের করে হালকা নেড়েচেড়ে রাখুন যেন সবজির টুকরোগুলো একটা আরেকটার সাথে লেগে না থাকে। এভাবে সংরক্ষন করলে দীর্ঘ সময় ধরে সবজিগুলো খাওয়া যায় এবং গুণগত মান ঠিক থাকে।
করলা, ঝিঙে, পটল, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল এসব সবজি দীর্ঘ দিন সংরক্ষন করে খেতে পারেন। এজন্য প্রথমেই সবজিগুলো লবন মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন। বোটা ফেলবেন না। এবারে পাতলা কাপড় দিয়ে সবজিগুলো মুছে বড় সাইজের জিপ লক ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ভালো ভাবে শুকিয়ে নিতে পারলে সবজিগুলো টাটকা থাকবে কয়েক সপ্তাহ।
কাঁচা কলা, মাশরুম, মিষ্টি আলু এসব সবজি সংরক্ষন করা একটু সময় সাপেক্ষ হলেও রাখা যায় দীর্ঘ দিন। সবজিগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে ছাল ফেলে দিন। এবার পাতলা স্লাইস করে কেটে লবন মেশানো পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে নিন অথবা রোদে শুকিয়ে নিন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে এয়ার টাইট বক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। পরবর্তীতে যখন যেটুকু পরিমানে দরকার ততটুকু বের করে নিন।
কুমড়া দিয়ে বড়ি বানিয়ে দীর্ঘ দিন খাওয়া যায়। পেঁকে যাওয়া মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বানানো বড়ি রোদে শুকিয়ে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় সংরক্ষন করা যায়। এছাড়া চাল কুমড়া কেঁচে মোরব্বা বানিয়ে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। এতে করে কুমড়ার পুষ্টিগুণও অটুট থাকে। তাছাড়া কাঁচা চাল কুমড়া গাছ থেকে কেটে ফেলার পরপরই বোঁটার কাটা অংশে চুন লাগিয়ে রাখলে কয়েক মাস সংরক্ষন করা যায়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…