সারা বিশ্বের স্বাভাবিক গতিময়তাকে এক ঝটকায় থামিয়ে দিয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাস। সরকারের তরফে বারবার করে বলা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। হঠাৎ করে গৃহবন্দী হয়ে যাওয়াটা সত্যিই খানিকটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়।
আর এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলার একমাত্র পথ নিজেকে গৃহবন্দী করে ফেলা। বাড়ি বসে কেবল লাইভ নিউজ ফিডে নিজেকে আটকে না রেখে করুন এইসব কাজ এতে আপনার এবং আপনার পরিবারের মানুষের মন ভালো থাকবে।
বাড়িতে বসে কফির কাপে চুমুক না দিয়ে বহুদিন ধরে তাকে পড়ে থাকা বইটি পড়ে ফেলুন। হয়তো দেখবেন বইয়ের তাকে রাখা অর্ধেক বই নতুন পড়ে রয়েছে। তাই ছুটির দিনে শেষ করে ফেলুন গল্পের বই এবং বাড়ির ছোটদেরও এই সময়ে স্কুলের পাঠ্যবই ছাড়াও গল্পের বই পড়তে উৎসাহিত করুন।
পুরনো হারমোনিয়াম বা তানপুরাটায় একপ্রকার ঝুলই জমেছে। একটা সময় নিয়মিত চর্চা করলেও আজ হয়তো কাজের চাপে তা আর হয়ে ওঠে না। পুরনো অভ্যেসটাকে আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়ার এই তো আসল সময়। আর পরিবারের সকলকে পাশে বসিয়ে গান বাজনা করার আনন্দই আলাদা।
বাড়ির ছাদের গাছগুলোর দিকে তাকানোর সময়ই পান না। এটাই সময়, ছুটি পেয়েছেন বলে, শুয়ে-বসে না কাটিয়ে দুবেলা নিয়ম করে গাছের পরিচর্যা করুন, জল দিন, পাতা ছেঁটে দিন। দেখবেন মনটাও ভালো লাগবে।
আলমারি পরিষ্কার করবেন ভেবেও করা হচ্ছে না? পড়ে পাওয়া এই ছুটি নষ্ট করবেন না। আলমারিতে অগোছালো জামাকাপড়, কিচেন ক্যাবিনেট সবকিছু পরিষ্কার করুন। আর এই সময়ে কিন্তু বাড়তি পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা একান্ত কাম্য।
বাড়ি থাকা মানেই অলস দিনযাপন নয়। আপনার বাড়ির খুদে সদস্যদের নিয়ে মেতে উঠতে পারেন কিছু সৃজনশীল কাজকর্মে। এই যেমন ধরুন অরিগ্যামি করলেন। আজকাল ইউটিউব দেখেও অরিগ্যামি করা শিখতে পারেন। বাড়িতে পড়ে থাকা কিছু পুরনো জিনিস দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন হোম ডেকর আইটেম। ফিরে যান ছোটবেলার দিনগুলিতে। এই কাজে আপনার সবচেয়ে ভালো সঙ্গী হবে বাড়ির কচিকাচারা।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় মাঝে মাঝে একঘেয়ে লাগতে পারে। কিন্তু আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে একঘেয়ে লাগার কোনও কারণই নেই। বরং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময়েই পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও একবার ঝালিয়ে নিন। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততায় যাদের সঙ্গে প্রায় যোগাযোগই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাদেরকে ফোন করে (কনফারেন্স কলও করতে পারেন) নির্ভেজাল আড্ডা দিন।
বাড়িতে থাকার এই মুহূর্তটা চুটিয়ে কাজে লাগান। বিশেষত যেসব মহিলারা অপিসের চাপে সপ্তাহের সারাদিন পরিবারের মানুষগুলিকে সময় দিতে পারেন না। তারা এই সময়ে নিত্যনতুন রান্না করে পরিবারকে তাক লাগিয়ে দিন। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার বানাবেন না। কারণ কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের শরীর সুস্থ রাখাটা খুবই জরুরী। লাঞ্চে বা ডিনারে হাল্কা করে নতুনত্ব কিছু বানাতেই পারেন।
অনেকেই এমন রয়েছেন খুব ভালো সেলাই করেন, অনেকে খুব ভালো ছবি আঁকেন, তাঁরা এই ছুটিতে নিজেদের হবিগুলিকে আরও একবার ঝালিয়ে নিন। এই কাজে আপনার সন্তানদেরও উৎসাহিত করুন। দেখবেন কোথা থেকে সময় কেটে যাচ্ছে বুঝতেও পারবেন না।
সারাদিন কর্মব্যস্ততায় অনেকেই রয়েছে যারা শরীরচর্চার সুযোগ পান না। পাশাপাশি প্রত্যেকদিন যাঁরা জিমে যান, তারা এই সময়ে জিম অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। তবে জিমের যন্ত্রপাতি বাড়িতে না থাকলেও অসুবিধা নেই। ঘরে কিংবা ছাদে গিয়ে ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ তো করাই যায়। তাই বসে না থেকে শরীরচর্চায় মন দিন।
সারা সপ্তাহ হার ভাঙা পরিশ্রম করেন, তার পর আবার সঙ্গীর আব্দার রাখতে বাইরেও বেরোতে হয় কখনও কখনও। কিন্তু এই ছুটি যখন পেলেন তখন বাড়িতে বসে বিশ্রাম নেওয়া একটা খুবই ভালো অপশন। হতেই পারে আপনার কোনও কিছু করতে ভালো লাগছে না, সেক্ষেত্রে স্রেফ কিছু না করে বাড়িতে বিশ্রামও নিতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…