রান্না করতে করতে অনেক সময়েই একটু বেশি ঝাল হয়ে যায়। তখন আমাদের স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে চিনি দিয়ে ঝাল কমিয়ে দেওয়া। কিন্তু আজকাল আমাদের প্রায় সবার ঘরেই ডায়াবেটিক রোগী থাকেন। তাঁদের তো চিনি খাওয়া বারণ। আবার অনেক সময়ে দেখা যায় চিনি দিলে ঝাল তো কমছে, কিন্তু আন্দাজ ভুল হওয়ার জন্য মিষ্টি মিষ্টি হয়ে গেল তরকারি। তখন সেটা আর ব্যাল্যান্স করা যায় না। তাই চিনি ব্যবহার না করে কীভাবে ঝাল কম করা যায় সেটা জেনে নেওয়াই ভাল।
সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল এটি। আপনি যে জিনিস রান্না করছেন সেটি আরেকটু বেশি দিয়ে দিন। এই অতিরিক্ত সবজি অতিরিক্ত ঝাল শুষে নেবে। যদি আপনার রান্নার জিনিসটি আর না থাকে তাহলে আলু দিন। আলু আমাদের বাঙালি ঘরের প্রায় সব রান্নায় যায়। আর আলু বা রাঙা আলু খুব সহজে এই অতিরিক্ত ঝাল বা নুনের মতো স্বাদ টেনে নেয়। আলু কিন্তু স্বাদেও কোনও বদল আনে না। তাই আলু ব্যবহার করা সবথেকে ভাল।
নারকেলের দুধ বা ক্রিম আপনি ব্যবহার করতে পারেন ঝাল কম করার জন্য। যে রান্না আপনি করছেন সেটি যদি নারকেলের কিছু হয় তাহলে তো ভালই। যদি নাও হয়, তাহলেও অনায়াসে ফ্রেস ক্রিম বা নারকেল দুধ ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল দুধ রান্নায় একটা অসাধারণ স্বাদ আনবে। সঙ্গে আনবে একটু স্মুদ ক্রিমি টেক্সচার। এতে ঝাল তো কমবেই, সঙ্গে একটা অসাধারণ স্বাদ আসবে। আপনি চাইলে সাধারণ দুধ দিতে পারেন।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে লেবুর রস বা ভিনিগার দিলে রান্নায় টক ভাব চলে আসবে। একদমই আসবে না। এতে ঝাল খুব সহজেই কমিয়ে আনতে পারবেন। লেবুর রস আর সঙ্গে অল্প নুন খুব ভাল ফ্ল্যাভার ব্যাল্যান্স করতে পারে। কিছু কিছু রান্নায় কিন্তু লেবুর এই স্বাদ একটি রিফ্রেসিং ব্যাপার আনবে।
যদি নারকেলের দুধ বা ফ্রেশ ক্রিম কিছুই না থাকে তাহলে টক দই ব্যবহার করুন। আঁচ অল্প করে একটু টক দই ফেটিয়ে রান্নায় দিয়ে দিন। এবার ভাল করে অল্প আচেই মেশান। খুব ভাল করে দই মিশে গেলে একবার স্বাদ নিয়ে দেখুন। দেখবেন ঝাল অনেকটা কমে গেছে। টক দই ব্যবহার করার ফলে রান্নায় একটা সুন্দর রঙ আসবে। সুতরাং ঝাল কম করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার রান্নার গুণগত মান অনেক বাড়বে।
এই জিনিসটি একটু বুঝে দিতে হবে। যে রান্নায় একটু টকের আধিক্য হলে মন্দ হয় না সেই রান্নায় ঝাল বেশি হলে টম্যাটো সস ব্যবহার করুন। অনেক সময়ে আমরা দেখি যে চাইনিজ কিছু করতে গিয়ে অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গেল। তখন কিন্তু এই সস খুব কাজে আসবে। চাইনিজ রান্নায় কিন্তু অন্য কিছু খুব একটা ব্যবহার করতে পারবেন না।
আমরা রান্নায় অনেকসময়ে একটা শাহি ব্যাপার আনার জন্য কাজুবাদাম, চারমগজ বাটা ব্যবহার করি। রান্নার ঝাল কমাতেও কিন্তু এই জিনিসের পেস্ট খুব কাজে দেয়। অল্প কিছু কাজুবাদাম আর চারমগজ, সঙ্গে অল্প পোস্ত বেটে রান্নায় দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। চাইলে পিনাট বাটার ব্যবহার করতে পারেন। বাদামের ফ্যাটি অংশ ঝাল শুষে নেবে। তাই অতিরিক্ত ঝাল কমে আসবে আর একটা হাল্কা মিষ্টি ভাব আসবে।
অতিরিক্ত ঝাল কম করার এটিও একটি ভাল পদ্ধতি। ঝাল বেশি হয়ে গেলে অল্প তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তবে তেল হতে হবে নিউট্রাল, মানে যে তেলের নিজের খুব একটা স্বাদ নেই। এক্ষেত্রে আপনি ভেজিটেবল অয়েল, সয়াবিন অয়েল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সর্ষের তেল ব্যবহার না কড়াই ভাল। কারণ সর্ষের তেলের মধ্যে এমনিতেই ঝাঁঝ থাকে। এতে ঝাল আরও বেড়ে যেতে পারে।
এবার রান্নায় ঝাল হয়ে গেলে আর চিনির দিকে হাত বাড়াবেন না। চিনি ছাড়াই ঝাল কমিয়ে রান্নার স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…