চুলের জন্য তেল খুব দরকারি। তেল মাখলে চুল ভাল হয়। তেল মাখলে চুল বড় হয়। এই সব তো আমরা সেই ছোট থেকেই শুনে আসি। কিন্তু এই শোনা সব কথাই কি সত্যিই? চুলে তেল দেওয়া নিয়ে কোনও মিথ নেই তো! কি বলছেন জাভেদ হাবিব! তিনি একমত তো এই সব বিষয়ের সঙ্গে?
আমরা একটা মিথ আসলে শুনি তেল নিয়ে। দিনের পর দিন আমরা এই মিথ বিশ্বাস করেই চলেছি। আমরা শুনেছি তেল নিয়ম করে মাখলে আমাদের চুল বড় হয়। আমাদের চুলের গোঁড়া শক্ত হয়। আমাদের খুশকি কমে। আরও কত কি! কিন্তু জাভেদ হাবিবের মতে তেল এতো কিছু করে না। চুলের জন্য তেলের শুধু একটাই কাজ – চুলে ময়েশ্চার দেওয়া। হ্যাঁ, তেল চুলে খালি ময়েশ্চারের যোগান দেয়। চুল যাতে ডিহাইড্রেটেড হয়ে না যায়, রুক্ষ না হয় সেইটুকুই দেখা তেলের কাজ।
চুল ভাল রাখার জন্য দামী দামী তেল ব্যবহার করার কোনও দরকার নেই। তেল নিয়ে সেইরকমই মত জাভেদ হাবিবের। আপনি যে অঞ্চলের সেই অঞ্চলে পাওয়া যায় যে তেল সেই তেলই আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত। মানে, আপনি যদি উত্তর ভারতে বা পূর্ব ভারতে থাকেন, তাহলে আপনার কাছে সর্ষের তেল সহজলভ্য। চুলে সর্ষের তেলই তাহলে দিন। আবার আপনি যদি দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা হন, তাহলে নারকেল তেল আছে আপনার হাতের কাছে। মাথায় নারকেল তেল দিন। খুঁজে খুঁজে জোজোবা, আমন্ড ইত্যাদির তেল দেওয়ার কোনও দরকার নেই। হাবিব বরং সর্ষের তেল নিয়ে একটু বেশিই ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন যে সর্ষের তেল আমাদের চুলে ময়েশ্চার ধরে রাখতে আর সাইন আনতে অন্য অনেক তেলের থেকে বেশি কাজের।
সারারাত চুলে তেল মেখে রেখে দিন, তারপর শ্যাম্পু করুন। খুব ভাল হয় গরম তেল দিলে। এতো দিন তো আমরা এই সবই শুনে এসেছি। এই সবই কিন্তু ভুল তথ্য। সারা রাত চুলে তেল দিয়ে রাখলে উপকারের থেকে অপকার বেশি হয়। এতে চুলের ক্ষয় বেশি হয়। স্নান করার ঠিক ৫ মিনিট আগে তেল মাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এতেই চুলের যা ময়েশ্চার পাওয়ার পাওয়া হয়ে যাবে।
কখনই গরম তেল চুলে দেবেন না। আর গরম টাওয়েল চুলে ব্যবহার করার কোনও দরকার নেই। এতে চুলের থেকে স্বাভাবিক তেল উবে যাবে। আমাদের চুল খুব নরম আর সেনসিটিভ। ফলে গরম তেল চুলে দিলে চুল তার স্বাভাবিক ময়েশ্চার আর জেল্লা হারিয়ে ফেলবে। তেল তাই সব সময়ে রুম টেমপারেচারে রেখেই দেবেন।
জাভেদ হাবিবের মতে, স্ক্যাল্পে তেল দেওয়ার কোনও দরকার নেই। এই আরেকটা জিনিস আমরা ভুল করি। আমরা ভাবি যে তেল যেহেতু চুল বড় করে তাই স্ক্যাল্পে তেল দেওয়া উচিত। কিন্তু তেলের কাজ শুধু চুলে ময়েশ্চার বজায় রেখে জেল্লা ধরে রাখা। তাই তেল দিন শুধুই চুলে, স্ক্যাল্পে নয়। আমাদের স্কিন থেকে চুল ন্যাচারাল তেল এমনিই পেয়ে যায়। তার ওপর আবার তেল দিলে ময়লা জমবে, খুশকি হবে। তাই তেল শুধু চুলে দিন আর ভাল করে একবার কম্বিং করে নিন। এতে চুলের সব অংশে তেল চলে যাবে।
তেল নিয়ে এই কয়েকটা বেসিক জিনিস মাথায় রাখলেই আর তেল নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। জাভেদ হাবিবের গ্যারান্টি, এই ভাবে তেল চুলে ব্যবহার করলে একশো বছর চুল ভাল থাকবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…