নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে কিন্তু অনেক অনেক টাকা লাগে না সবসময়ে। আপনার হাতের কাছে থাকা সামান্য কিছু জিনিসই কিন্তু আপনার সিগনেচার স্টাইল তৈরি করতে পারে। তার জন্য দরকার কিছু ফ্যাশন হ্যাকস জানার। পুরনো কাপড়ও কিন্তু আপনি এভাবে ট্রেন্ডি করে তুলতে পারেন।
স্টাইলিশ বেল্ট না হলে আপনার চলে না। কিন্তু এখন হয়তো হাতে ওত টাকা নেই। কোনও ব্যাপার না। পুরনো স্কার্ফ দেখুন তো আছে কিনা! থাকলে সেটা দুই দিক থেকে আড়াআড়ি করে ধরুন। ত্রিভুজের মতো শেপ নেবে। এটি এবার পাকাতে শুরু করুন। এবার পাকানো দড়ির মতো স্কার্ফ বেল্টের মতো করে পরে নিন। সাইড দিয়ে একটা সুন্দর নট করে নিন। অন্যরকম লাগবে কিন্তু এই হ্যাক।
চুল কি দিয়ে বাঁধবেন বুঝতে পারছেন না? আগে একটা পনি টেইল করে গার্ডার লাগিয়ে দিন। তারপর ওই গার্ডারের অংশে স্কার্ফ নিয়ে গিয়ে গিঁট দিয়ে দিন। আর বাকি দুই অংশ স্কার্ফের নিচের দিকে ফেলে রাখুন। এতে চুলের স্টাইল কিন্তু অন্য লেভেলে পৌঁছে যাবে।
আপনি ধরুন একটা সুন্দর গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডল পরেছেন। আর তার সঙ্গে পরেছেন লং গাউন। এতে কী আপনার গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডল দেখা যাবে? একদম না। কিন্তু আপনাকে হয়তো ওই গাউনটাই পরতে হবে। কোনও ব্যাপার না। পায়ের দিক থেকে স্যান্ডল বরাবর স্লিট কেটে নিন সাবধানে। মানে হাঁটু পর্যন্ত ভার্টিকালি কেটে নিন। এতে গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডলও দেখা যাবে, আর গাউনও অন্য লুক পাবে।
একঘেয়ে জিনস পরে ক্লান্ত? জিনস তো ওই ব্লু বা ব্ল্যাক ছাড়া সেরকম ভাল শেডে হয়ও না। কিন্তু জিনসে ব্রোচ লাগালে কেমন হয়? নানারকম কালারফুল ব্রোচ পাওয়া যায়। আপনি জিনসের প্যান্টে শুধু নয়, জিনসের শার্টে, ব্যাগেও এই ব্রোচ লাগাতে পারেন। কলারে, পকেটের সামনে লাগান। তবে বেশি লাগাবেন না, এতে ব্যাল্যান্স থাকবে না। এবার এই ব্রোচ লাগিয়ে বাইরে গেলে আপনি কিন্তু হিট হয়ে যাবেন। অনলাইনে কিন্তু এইরকম অনেক ভাল ব্রোচ পেয়ে যাবেন।
ধরুন আপনি এক রঙের কোনও শার্ট পরছেন পরপর কয়েক দিন ধরে। বোর হয়ে যাবেন তো বলুন! কী করবেন। একটা জাঙ্ক নেকলেস বা কানের দুল পরে নিন। আর শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে নিন। এতে একটা অদ্ভুত ক্লাসি লুক আসবে। জাঙ্ক জুয়েলারিই এখানে হাইলাইটেড হয়ে আপনার সাদামাটা ড্রেসকে ফুটিয়ে তুলবে।
যে কোনও বেস কালারের টি-শার্ট পরতে চান? কিন্তু একঘেয়ে যাতে না লাগে তাও তো দেখতে হবে। টি শার্টের নিচের দিকটা জিনসের থেকে সামান্য তুলে এনে একটা নট দিয়ে দিন। আর এর সঙ্গে ফ্যাশনে একটু মির্চ মেশাতে হলে কানে পরে নিন হুক বিগ ইয়ার রিং। বেশ, ধামাকা করার জন্য আপনি তৈরি।
শর্ট স্কার্ট পরলে পায়ের দিকটা বেশ খালি হয়ে যায়। পায়ের দিকটা ঠিক মতো ম্যানেজ না করলে সাজে ব্যাল্যান্স থাকে না। তাই শর্ট স্কার্ট পরলে পায়ে সাধারণ শু-র বদলে গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডল পরার চেষ্টা করুন। এতে পা কভার আপ হয়ে যাবে।
আপনি কোন ড্রেস পরছেন সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল সেটা কীভাবে হাইলাইট করছেন। আপনি সাধারণ কুর্তি বা টি-শার্ট পরুন তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন একটু ভারী জাঙ্কি নেকলেস বা ইয়ার রিং। বা নিতে পারেন কোনও ভাল চুরি, আংটি। একটা মোটামুটি ভাল ব্যাগও কিন্তু সাদামাটা পোশাকে অন্য ডাইমেনশন আনে। আর এতে কিন্তু তেমন খরচও হয় না। জিনসের ফিটিংস কিন্তু ভাল হতে হবে। এটা খুব দরকার ফ্যাশনের জন্য।
এবার তাহলে মাসের ৩০ তারিখ হলেও ফ্যাশন করতে কিন্তু কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ছোট ছোট কিছু জিনিস মাথায় রাখুন। নিজেও মাথা খাটিয়ে বের করুন। দেখবেন ফ্যাশন কতো মজাদার ব্যাপার হয়ে গেছে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…