করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বারবার করে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে হু। সেইমতো আপনিও নিশ্চয় প্রতিনিয়ত হাত ধুচ্ছেন। এখনও না করলে অবশ্যই তা করুন। তবে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে বেশি মাত্রায় হাত ধুলে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেল। এর ফলে হাতের ত্বক অনেক সময়ে রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
তাই এই সময়ে যেহেতু দিনে অধিকাংশ সময়েই হাত ধুয়েই কেটে যাচ্ছে, সেই সময়ে হাতের ত্বকের চাই বিশেষ যত্ন। এর জন্য প্রয়োজন নেই কোনও ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্টের। আপনাদের জন্য রইল কয়েকটি টিপস, যা মেনে চললে আপনার হাত থাকবে নরম ও কোমল।
একটি পাতিলেবুর অর্ধেকটা কেটে নিয়ে তাতে খানিকটা চিনি দিয়ে নিন। এবার লেবুর রসের এই স্ক্রাব দু-হাতে খুব ভালো করে অ্যাপ্লাই করে নিন। এতে দেখবেন আপনার হাত খুবই নরম থাকবে।
অলিভ অয়েল ত্বকের যত্নে খুব ভাল কাজ করে। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে অলিভ অয়েল কিন্তু অসাধারণ। হাতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল এবং কিছুটা পরিমাণে চিনি নিয়ে খুব ভালো করে দুহাতে স্ক্রাব করে নিন। দেখবেন একটা সময়ে এসে অলিভ অয়েল হাতে শুকিয়ে যাবে। শুকিয়ে গেলে হাত খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে পারেন।
বেকিং সোডা এবং মধু কিন্তু হাতের রুক্ষতা দূর করে হাতকে কোমল রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে। তবে তার সঙ্গে যদি সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে এর কার্যক্ষমতা কিন্তু কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সেইমতো এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ২-৩ চামচ মধু এবং ৩ চামচ মতো পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে দুহাতে মেখে নিন। হাতে শুকিয়ে গেলে তা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হাত থাকবে কোমল।
দই আপনার হাতকে নরম রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে বেসন আপনার হাতের যেকোনও দাগ-ছোপ দূর করে হাত উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। এক জন্য ২ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ৪ চামচ বেসন মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি। এবার তা দুই হাতে খুব ভালো করে মেখে নিন। এই মিশ্রণ আপনি পায়ের পাতাতেও লাগাতে পারেন।
নারকেল তেল যে ত্বকের জন্য কি উপকারি তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা করে না। যেকোনও ধরণের ত্বকের জন্য নারকেল তেল খুবই উপকারি। হাত নরম রাখতে নারকেল তেল খানিকটা গরম করে নিয়ে দুই হাতে ভালো করে মেখে নিন। এরপর হাত ধোয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। দারুণ উপকার পাবেন।
আমন্ড অয়েলে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন ই, যা আপানার হাতের ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করে। এর জন্য এক চামচ আমন্ড অয়েলের সঙ্গে ২ চামচ মতো মাখন মিশিয়ে নিয়ে তা দু-হাতে খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। ত্বকে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঈষদুষ্ণ জলে হাত ধুয়ে নিতে পারেন।
গোলাপ জল এবং গ্লিসারিন হাত নরম রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। সাধারণত এই সলিউশন শীতকালে ব্যবহার করা হয় কারণ ওই সময়ে হাত খুব ড্রাই হয়ে যায়। তবে বারবার হাত ধোয়ার পর হাত যদি ড্রাই হয়ে যায় তাহলে এটি ব্যবহার করুন। এর জন্য গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল সম পরিমাণে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি সারা হাতে খুব ভালো করে মাসাজ করে নিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
ভেসলিন নন গ্রিসি তাই ত্বকের কোমলতাকে লক করতে খুব ভালো কাজে দেয়। এর জন্য সারাদিন হাত ধোয়ার পর রাতে শুতে যাওয়ার আগে দু হাতে ভালো করে ভেসলিন মেখে নিন। এতে আপনার হাত রুক্ষ-শুষ্ক হবে না।
যেহেতু প্রতিদিন বারবার করে হাত ধোয়া হচ্ছে। তাই নিয়মিত এই উপকরণগুলির যে কোনও একটি অবশ্যই, বা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবগুলোই ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…