এখন গরমের পাশাপাশি মাঝে মাঝে বৃষ্টি আবহাওয়া খারাপ রাখছে। সাধারণ ভাবে আমরা বলি সিজন চেঞ্জের সময়। বাচ্চাদের এই সময়ে আমাদের হাল্কা কাশি, সর্দি, জ্বর এই সব হয়েই থাকে। জ্বরের একটা সমস্যা হল, জ্বর হলে জ্বর থাকাকালীন যেমন কিছু খাওয়ায় রুচি থাকে না, তেমনই জ্বর চলে যাওয়ার পরেও খাওয়ার ইচ্ছে আমাদের হয় না। কিন্তু খেতে তো হবেই শরীরে বল পাওয়ার জন্য। তাই জ্বর থেকে উঠে এই কয়েকটি জিনিস বাচ্চাকে খাওয়ালে মুখের স্বাদ ফিরে আসবে।
আসলে আমরা যখন খাই তখন আমাদের স্বাদ কোরকের মাধ্যমে স্বাদ আর নাকের মাধ্যমে খাবারের গন্ধ মাথায় যায়। আমাদের ব্রেন তখন চিনতে পারে কোনটা কি স্বাদ আর আমরা খাবারের স্বাদ নিতে পারি। জরের সময়ে আমরা অনেক ওষুধ খাই। সেই ওষুধ আমাদের স্বাদ কোরকের ওপর একটা আস্তরণ ফেলে দেয়। ফলে খাবারের স্বাদ মাথা অবধি যেতে পারে না।
এই সময়ে আমরা জল কম খাই বলে ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়, মুখ শুকিয়ে যায়। সেক্ষেত্রেও স্বাদ কোরক ঠিক মতো কাজ করে না। আর নাকে মিউকাস জমার ফলে নাকের মাধ্যমে খাবারের গন্ধ মাথা পর্যন্ত যায় না। যেহেতু খাবারের গন্ধ আর স্বাদ কিছুই মাথা পর্যন্ত যায় না, তাই খাবার আমাদের কাছে বিস্বাদ লাগে। কিন্তু কিছু জিনিস খেলে এই বিস্বাদ ভাব কমে যায়।
জ্বরের পর আমাদের মুখে একটা তেঁতো ভাব থাকে। আর সেই তেঁতো ভাবের জন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। এই সময়ে দারচিনি আর লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণ মতো দারচিনি আর লবঙ্গ গুঁড়ো করে নিন। তারপর জ্বর থেকে ওঠার পর সেই গুঁড়ো মুখে দিন আপনার বাচ্চার। কয়েক দিনের মধ্যেই দেখবেন মুখের তেঁতো ভাব কমে গেছে। শুধু লবঙ্গ মুখে রাখলেও স্বাদ ফিরে আসবে।
পুদিনা শরীর ঠাণ্ডা করে। তাই জ্বর থেকে সঙ্গে সঙ্গে উঠেই পুদিনা খাওয়া ঠিক নয়। তবে দু-তিন দিন পর দুটি করে পুদিনা পাতা মুখে ফেলে রাখুন বাচ্চার। বেশি পুদিনা দেবেন না মুখে। এতে ঠাণ্ডা লাগতে পারে। পুদিনাও মুখের অরুচি সারিয়ে দেয়।
জল কিন্তু সব কিছুর মূল। জ্বরের পর মুখ তেঁতো থাকা বা অরুচি হওয়ার কারণ হল পাকস্থলির ভিতর টক্সিন জমে থাকা। জ্বর থাকাকালীন যেহেতু আমরা ঠিক মতো জল খাই না, তাই সেই টক্সিন বাইরে আসতে পারে না। তাই জ্বর সারার সঙ্গে সঙ্গে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় গ্লাস জল দিন রোজ বাচ্চাকে খেতে। এতে পাকস্থলির টক্সিন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। আর টক্সিন কমে গেলে মুখে স্বাদও ফিরে আসবে।
লেবুর টক স্বাদ মুখের তেঁতো ভাব কমিয়ে দিতে পারে। যে কোনও লেবু, মানে মুসুম্বি, পাতিলেবু, বাতাবি লেবু, যে কোনও লেবু এই ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। এমনিতেই রোজ সকালে পাতিলেবুর রস আর মধু গরম জলে দিয়ে খেলে শরীর ভালো থাকে। আর বাতাবি লেবু নুন, লঙ্কা দিয়ে মেখে খেতে কারই না ভালো লাগে। তাই জ্বর থেকে উঠলে অল্প লেবু খাওয়ান বাচ্চাকে। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনই মুখে স্বাদ পাবেন।
শুধু জ্বর কেন, যে কোনও সময়েই খেতে ইচ্ছে না হলে আদা মুখে দিতে বলা হয়। জ্বর থেকে ওঠার পর আপনার বাচ্চার যখন মুখে স্বাদ আসবে না, তখন এক কুচি আদা মুখে দিয়ে দিন। আদার ঝাঁজালো স্বাদ মুখের তেঁতো ভাব সহজেই কমিয়ে দেবে। আর যদি এভাবে আপনার বাচ্চা আদা খেতে পছন্দ না করে তাহলে এমন রান্না করুন যাতে আদার স্বাদ বেশি করে পাওয়া যায়।
শীতকালে আমরা রসুন খাই শরীর গরম রাখার জন্য। রসুন খেলে অনেকেরই মুখে নাকি গন্ধ থাকে। কিন্তু মুখের স্বাদ ফেরাতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। গরম ভাতে অল্প রসুন মেখে নুন আর সর্ষের তেল দিয়ে খেলে দুদিনেই মুখের স্বাদ ফিরে আসবে। আর খাবার খেতেও ভালো লাগবে।
কারিপাতাও মুখের স্বাদ ফেরাতেও দারুণ কাজ দেয়। দশ থেকে পনেরোটা কারিপাতা এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট মতো জলে ওই কারিপাতা ভিজতে দিন। তারপর কারিপাতা ছেঁকে ওই জল খেতে দিন আপনার বাচ্চাকে। এটি তিন দিন করলেই আপনি বুঝবেন আপনার অরুচি কেটে যাচ্ছে।
এবার জ্বর থেকে উঠলে আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানো খুব একটা সমস্যার হবে না। উপরের এই জিনিসগুলোর গন্ধ কিন্তু নাক খুলতেও সাহায্য করে। তাই এই খাবারগুলো অবশ্যই জ্বরের পর আপনার বাচ্চাকে খাওয়ান।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…