আমাদের সুন্দর হয়ে ওঠার অন্যতম অঙ্গ হল আমাদের ঠোঁট। হাল্কা ফোলা, একটু বড়, লাল ঠোঁট, অনেকটা গোলাপের পাপড়ির মতো। এরকম সুন্দর ঠোঁটই তো আপনি চান। কিন্তু অনেক সময়ে এরকম ঠোঁট না হয়ে পাতলা, খানিক ফ্যাকাশে ঠোঁট আমাদের হয়ে যায়। যাদের এই সমস্যা তাঁরা কি করবেন! খুব সহজ কিছু জিনিস মেনে চললেই আপনারা কিন্তু আকর্ষণীয় ঠোঁট পেয়ে যেতে পারেন।
বাজারে এখন এই ধরণের বাম অনেক পাওয়া যায়। এই ধরণের প্লাম্পিং বামের চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনেক কসমেটিক কোম্পানি প্লাম্পিং বাম ব্যবহার করে। এই ধরণের বাম সহজেই ঠোঁট হাইড্রেটেড করে। ফলে ঠোঁটের ভলিউম বেশ খানিকটা বেশি বলে মনে হয়। এতে ঠোঁট অনেক বেশি ভরাট আর বড় লাগে।
ডার্ক যে কোনও রঙ যেখানেই ব্যবহার করুন না কেন সেই জায়গাটা ব্লক হয়ে আছে মনে হয়। যে কারণে ঘরে হাল্কা রঙ করতে বলা হয়। এতে ঘরে আলো খেলে ভাল। ঘর বেশ বড় বড় মনে হয়। এই একই যুক্তি মেনে ডার্ক লিপস্টিক ব্যবহার করতে বারণ করা হচ্ছে যদি আপনি ঠোঁট একটু বড় আর ফোলা ফোলা দেখাতে চান। একটু হাল্কা রঙের লিপস্টিক বা লিপ জেল ব্যবহার করতে পারেন। হাল্কা রঙের মধ্যেও পিঙ্ক রঙের শেড বা ন্যুড কালারের কোনও শেড ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁট বেশ বড় আর ছড়ানো মনে হবে।
কনসিলার ঠোঁটে ব্যবহার করার কথা নিশ্চয়ই খুব একটা শোনেননি আপনি। আসলে ঠোঁট আকর্ষণীয় করে তুলতে কনসিলার খুব ভাল কাজ দেয়। ঠোঁটে আপনি লিপস্টিক ব্যবহার করুন বা লিপ গ্লস, ঠোঁট আগে একে নিন এই কনসিলার দিয়ে। এতে ঠোঁট সুন্দর করে ডিফাইনড বা হাইলাইটেড হবে। আপনি একটু বড় করে ঠোঁট একে নিতে পারেন। তার পর ঠোঁট ভরাট করতে পারেন। রঙ করার পর আবার একটু কনসিলার দিয়ে ফাইনাল টাচ দিয়ে দিন। ঠোঁট পারফেক্ট লাগবে।
হাল্কা লিপস্টিক তো ব্যবহার করবেন। কিন্তু সেটাই বা ঠোঁটে কীভাবে লাগাবেন যাতে একটা মোহময়ী ঠোঁট পেতে পারেন! যে কোনও লিপস্টিকই আগে গোটা ঠোঁটে দিয়ে দেবেন না। ঠোঁটের মাঝখানে একটু ডিপ করে আগে লিপস্টিক দিয়ে দিন। এবার আঙুলে সেই লিপস্টকই অল্প নিয়ে আঙুলের সাহায্যে ঠোঁটের বাকি অংশে শেডের মতো করে দিন। এতেও দেখবেন ঠোঁট বেশ সুন্দর লাগবে।
ঠোঁট হাইলাইট করতে হলে আগে ঠোঁটের চারপাশটা একটু হাল্কা করে শেড করে নিন। কনট্যুর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে। মেকআপ ব্রাশ নিয়ে কনট্যুর লাগিয়ে থুৎনিতে হাল্কা শেড করে নিন। অল্প গালের কাছেও করতে হবে। আর আঙুলে অল্প নিয়ে ঠোঁট আর নাকের মাঝে যে সরু অংশ, সেখানে অল্প দিন। এবার দেখুন, ঠোঁট খুব সুন্দর হাইলাইটেড হয়ে গেছে।
এবার কিছু ঘরোয়া উপাদানের কথা বলব, যা নিয়ম করে ব্যবহার করলে ঠোঁট নিজে থেকেই কোনও মেকআপ ছাড়াই খুব সুন্দর দেখতে লাগবে।
মধু নিয়ে ঠোঁটের ওপর একটু মোটা করে দিন। দেখবেন যেন পড়ে না যায়। তারপর সেটি সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে উঠে ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন খুব সুন্দর নরম ঠোঁট পেয়েছেন।
একটা শশা স্লাইস করে কেটে একটা স্লাইস দুই ঠোঁটের মাঝে ধরে থাকুন ৫ মিনিট মতো। শশার ভিতর থাকা জল ঠোঁট টেনে নেবে। ফলে ঠোঁট হাইড্রেটেড হয়ে যাবে। এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যাও হবে না আর ঠোঁট আস্তে আস্তে সুন্দর হয়ে উঠবে।
নারকেল তেল ঠোঁটের জন্য খুবই ভাল। বিশেষ করে এখন থেকে ব্যবহার করলে শীতে আর ঠোঁট ফাটবে না। হাতে অল্প নারকেল তেল নিয়ে অল্প রাব করে ঠোঁটে দিন লিপ বামের মতোই। ১০ মিনিট মতো ঠোঁটে লাগান। তারপর মুছে ফেলুন। রোজ যদি এটি করতে পারেন, ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
ঠোঁট রোজ পরিষ্কার করা দরকার। ঠোঁটের ওপর যদি ডেড স্কিন সেল জমা হতে থাকে, তাহলে ঠোঁট কিন্তু ফোলা ফোলা আর সুন্দর লাগবে না। তার জন্য বাড়িতেই বানিয়ে নিন স্ক্রাবার। একটু চিনি আর লেবুর রস হলেই হয়ে যাবে। দুটি উপকরণ মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুন হাল্কা হাতে। তারপর ধুয়ে নিন। খুব ভাল কাজ দেয় এটি। সপ্তাহে তিন দিন করতেই পারেন।
এভাবেই কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে আপনি সহজেই আপনার ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতোই সুন্দর করে তুলতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
nice idea. i will try this prosegiure soon.