করোনার সময়ে আর্থিক মন্দার শিকার আমরা সবাই। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে তাঁদের ওপর যাদের চাকরি চলে গেছে। কিন্তু চাকরি নেই বলে তো দিন থেমে থাকবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে এখন ডিজিটাল যুগ। এই সময়ে বসে নেট ব্যবহার করে আমরা যেমন অনেক কিছু শিখতে পারি, তেমনই কিন্তু এই নেটের মাধ্যমেই আমাদের অনেক আয়ের রাস্তাও খুলে যেতে পারে। একবার সেই সব পদ্ধতি ব্যবহার করেই দেখুন।
আপনি কি করোনার আগে অফিসে প্রোগ্রামার বা ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। তাহলে আপনি অনায়াসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনার নির্দিষ্ট সময়ে আপনি বাড়ি বসে কাজ করতে পারবেন আর ভালই অর্থ উপার্জন ভারতে এখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেকে মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেন। কিন্তু তার জন্য আপনাকে আপনার বিষয়ের ওপর দখল যেমন থাকতে হবে, তেমনই থাকতে হবে মার্কেটিং বা কমিউনিকেশনের ভাল দক্ষতা। আপনি চাইলে ভাল ফ্রিল্যান্সিং-এর কোর্স করে নিতে পারেন।
আপনি কি সাইকোলজি নিয়ে পড়েছেন? কিন্তু তারপর কোনও বেসরকারি অফিসে চাকরি পেয়ে সেখানেই কাজ করতে শুরু করেছিলেন। আর নিজের বিষয়ে ফেরা হয়নি। এখন কিন্তু সময় এসেছে আপনার সাইকোলজির বইয়ের থেকে ধুলো ঝেড়ে ফেলে আবার পড়ুন। করোনার সময়ে আমাদের সকলেরই মনের অবস্থা খুব খারাপ। কাজ না থাকা, সবসময়ে ঘরে বসে থাকা, একঘেয়েমি, সব মিলে খুব খারাপ মানসিক অবস্থা। তাই এই সময়ে অনেকেই সাইকোলজিস্টের কাছে যাচ্ছেন। যারা একটু বেশি প্রফেশনাল আর বিখ্যাত তাঁদের তেমন পারিশ্রমিক যা অনেকেই মেটাতে পারবেন না। তাই আপনি যদি ভাল জায়গা থেকে ডিগ্রি নিয়ে থাকেন তাহলে ফেসবুকে দিয়ে দিন। দেখুন আপনার কাছে ক্লায়েন্ট আসে কিনা!
আপনি হয়তো অনেক সময়ে এখন অনেক বিখ্যাত ইউটিউবারের নাম শোনেন। আপনাকে ইউটিউবার হতে বলছি না তাই বলে। কিন্তু ইউটিউব ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন অবশ্যই করতে পারেন। খুব একটা চটজলদি পথ না হলেও ভাল উপার্জন কিন্তু হতে পারে একবার চেষ্টা করে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে। মূলত দু’ ধরনের জিনিস ইউটিউবে ভাল চলে। আজকের স্ট্রেস লাইফে আপনি হাসির কনটেন্ট দিতে পারেন। আর নয়তো ছাত্রদের জন্য ভাল গাইডেন্স দিতে পারেন বা ধরুন মোটিভেশনাল ভিডিও করতে পারেন। এছাড়া রান্না নিয়েও কিন্তু ভিডিও করতে পারেন। ইউনিক হলে খুব ভাল চলে যাবে আর ভাল অর্থ আসবে।
লিখতে ভাল লাগে? ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষতা আছে! তাহলে ব্লগিং শুরু করুন। অনলাইনে সার্চ করলে অনেক ভাল কোর্সের সন্ধান পাবেন যারা শিখিয়ে দেবে কীভাবে প্রফেশনাল ভাবে ব্লগ লিখতে হয়। শিখে নিয়ে লিখতে শুরু করুন। শুরুতেই হয়ত সেভাবে টাকা আসবে না, কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যান। অনেক কোম্পানি আছে যারা ভাল ব্লগার খোঁজেন বিজনেস আর্টিকেল লেখার জন্য। শুধু ভাল ব্লগার অনেক সময়ে পাওয়া যায় না। আপনি সেরকম কব্জির দখল দেখালে প্রতি আর্টিকেল ৫০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারেন।
শুনতে খুব গালভরা হলেও সাধারণ বিষয়। আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত এ-কমার্সদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিন। যেমন ধরুন আমাজনে আপনার কোনও জিনিস পছন্দ। আমাজনে সাইন আপ করে সেই প্রোডাক্ট আপনার ওয়ালে দিন। সঙ্গে দিন প্রোডাক্টের লিঙ্ক। এই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেউ সেই প্রোডাক্ট কেনেন আপনি কিছু কমিশন পাবেন।
এখন তো টিচিং বাড়িতে বসেই হয় অনলাইনে। এই সুবিধে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। অনেক ভাল প্ল্যাটফর্ম, যেমন টিচমিন্ট, হোয়াইট হ্যাট আপনাকে সুযোগ দেবে ভাল করে পড়ানোর। মার্কেটিং তাঁরাই করে দেবে। আপনার থেকে কিছু কমিশন অবশ্য নেবে। তবে আপনি যদি ভাল পড়াতে পারেন তাহলে কিন্তু আয় সুনিশ্চিত। এর পাশাপাশি আপনার যদি ম্যাথ, ফিজিক্স, ইকোনমিক্স এই ধরণের সাবজেক্ট থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
যদি আপনার গ্রামার ভাল হয় তাহলে এই কাজ করতে পারেন। যদি গ্রামারে কিছু সমস্যা থাকে কয়েক সপ্তাহ হীন আর গ্রামার ঠিক করে নিন। তাহলে খুব সামান্য আয়াসেই আপনি কিন্তু প্রুফ রিডিংএর কাজ করতে পারেন। একটি আর্টিকেল লেখার পর সেটি ঠিক লেখা হল কিনা সেটাই দেখতে হয় প্রুফ রিডিং করে। কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, সেগুলিও জানতে হয়। এটি করলেও খারাপ কিছু উপার্জন হবে না।
ট্রান্সক্রিপসন হল কোনও কিছু শুনে সেটা লেখা। একটা নির্দিষ্ট সফটওয়ার আপনাকে হয়তো নামাতে হতে পারে তার জন্য। সেটা আপনাকে যিনি কাজ দেবেন তিনিই বলে দেবেন। অনেক বিদেশি কোম্পানি এই জন্য লোক চায়। অনলাইনে ভাল যোগাযোগ থাকলে এই কাজ পাওয়া যেতে পারে। প্রতি মিনিটের ভিত্তিতে এখানে টাকা দেওয়া হয়ে থাকে মূলত। একটি নির্দিষ্ট অডিও আপনার কাছে আসবে। সেই অডিও শুনে আপনাকে সেটি লিখতে হবে। তবে এই কাজ যারা করেন তাঁরা মূলত সারাদিন একটি ভিডিও নিয়ে কাজ করেন না। এতে কম উপার্জন হয়।
এই কয়েকটি কাজ আপনি এখন বাড়িতে বসে করতে পারেন। এগুলির জন্য প্রাথমিক কোনও অর্থ লাগবে না। যতদিন না আপনি কোনও পোক্ত কাজ পাচ্ছেন ততদিন করেই দেখুন না। অনেকে কিন্তু এখান থেকে ভাল অর্থ আর স্বাধীনতা পেয়ে এই কাজেই থেকে গেছেন। আর অন্য অফিসে যাওয়ার কথা ভাবেননি। তাই করোনায় কাজ চলে গেছে বলে মাথায় হাত দিয়ে বসে না থেকে ঘরে বসে নেট ব্যবহার করে আয় করতে শুরু করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…