আজকাল অনেকেই ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নেন। কারণ তাঁরা মনে করেন তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে চুল মুছলে চুলের ক্ষতি হবে। এভাবে চুল শুকালে নাকি চুল পড়ে যেতে পারে বেশি। কিন্তু আদতে এই কথা ঠিক না। তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিলেও চুল কিন্তু কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। কিন্তু তার জন্য জানতে হবে উপযুক্ত টেকনিক।
ব্লো ড্রাই বা ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নেওয়ার থেকে টাওয়েল দিয়ে চুল শুকিয়ে নেওয়া অনেক ভালো। আমাদের চুল কিন্তু কোনও হিট নেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি। কিন্তু তাড়াতাড়ি চুল শুকিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা ড্রায়ার ব্যবহার করি। এই হিটে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। চুলের ময়েশ্চার চলে যায় ড্রায়ারের এই হিটে। ফলে চুল হয় রুক্ষ। অনেক সহজেই চুল পড়ে যেতে থাকে। তাই সময় একটু বেশি লাগলেও তোয়ালে দিয়েই চুল মুছে নেওয়া শুকিয়ে নেওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
চুল মোছার জন্য তোয়ালে হবে সবসময় ছোট। বড় তোয়ালে আপনার সব চুল একেবারে ঢেকে নিতে পারে ঠিকই, কিন্তু বড় তোয়ালের ভারও তো চুলের থেকে বেশি। তাই বড় তোয়ালে দিয়ে চুল মুছলে চুল বেশি পড়বে। ছোট তোয়ালে নিন। অল্প অল্প করে চুলের খানিক খানিক অংশ মুছুন। এতে চুল ভালো থাকবে।
তোয়ালে দিয়ে চুল জোরে জোরে ঘষে মুছলেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথম কথা হল, একদম ভিজে চুল কখনই তোয়ালে দিয়ে মোছা ঠিক নয়। ভিজে চুল অনেক ভঙ্গুর হয়। ভিজে অবস্থায় চুলের গোঁড়া নরম থাকে। তাই এই সময়ে মুছলে চুল বেশি পড়তে পারে। আগে খানিক চুল শুকিয়ে আসতে দিন। তারপর অতিরিক্ত জল হাল্কা হাতে টাওয়েল দিয়ে মুছে নিন।
মাথার চুল শুকিয়ে নেওয়ার জন্য এর থেকে ভালো আর সুরক্ষিত অপশন হতেই পারে না। স্নান করার পর শুরুতে চুলের থেকে অতিরিক্ত জল হাত দিয়ে চিপে ঝরিয়ে নিন। তারপর চুল ঘিরে দিন নরম টারবি টুইস্ট টাওয়েল দিয়ে। খানিক পর দেখবেন আপনার চুল বেশ শুকিয়ে গেছে। আর এতে চুল বেশ ফুরফুরেও থাকে। এটা ব্যবহার করাও বেশ সহজ।
আপনি একটা টাওয়েল দিয়ে আগে মাথা মুছে নিলেন। এতে টাওয়েলটা ভিজে হয়ে গেল আর তার সঙ্গেই ভারী হয়ে গেল। আবার আপনি ওই টাওয়েল দিয়েই মাথা মুছলে চুলের ক্ষতি হতে বাধ্য। তাই টাওয়েল ব্যবহার করুন বুঝে। প্রথমে টাওয়েলের একটা অংশ দিয়ে চুল মুছে নিন। এবার চুলের বাকি ভিজে অংশ টাওয়েলের বাকি শুকনো অংশ দিয়ে মুছে নিন। এভাবে টাওয়েল ব্যবহার করলে চুল বেশ ভালো ভাবে শুকিয়ে যাবে আর চুলের ক্ষতিও হবে না।
টাওয়েল ছোট না বড় সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই টাওয়েল কি দিয়ে তৈরি সেটাও কিন্তু সমান গুরুত্ব রাখে। মাইক্রো ফাইবার টাওয়েল সবচেয়ে ভালো চুলের জন্য। এই ফাইন ফাইবার চুলের থেকে অনেক নরম। এই ফাইবার চুলের থেকে সব ময়েশ্চার অতি সহজেই শুকিয়ে নেয়। আর যেহেতু এটি নরম খুবই, তাই চুল মুছতে দিয়ে এর আঘাতে চুল পড়ে বা ভেঙেও যাবে না। এর পর ব্যবহার করতে পারেন কটন টাওয়েল। এটিও খুব ভালো চুলের জন্য। তবে মাইক্রো ফাইবার সবচেয়ে ভালো। পারলে মাইক্রো ফাইবার দিয়ে তৈরি টাওয়েল ব্যবহার করুন।
টাওয়েল দিয়ে চুল কখনই ঘষা ঠিক নয়। চুল টাওয়েল দিয়ে মুছতে হলে সব সময়ে প্রেস করবেন আস্তে আস্তে। প্রেস করা মানে যাকে আমরা বলি থুপে থুপে মোছা। এভাবে টাওয়েল দিয়ে চুল মুছলে চুলের আর টাওয়ালের ঘর্ষণ কম হয়। চুল ভালো থাকে।
টাওয়েল দিয়ে চুল মোছার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার চুল কন্ডিশনড হয়ে আছে। ভালো কন্ডিশনার বা সিরাম ব্যবহার করে আগে চুলের কিউটিকল নরম করে নিন। এর পর টাওয়েল ব্যবহার করুন। নরম চুলে তোয়ালে খুব ভালো কাজ করে। খুব ভালো ভাবে ময়েশ্চার টেনে নিতে পারে আপনার তোয়ালে। তাই এই স্টেপ যেন ভুল না হয়।
এবার নিশ্চয় আর ড্রায়ারের দিকে হাত বাড়াবেন না স্নান করে এসেই। একটু সময় না হয় লাগল। কিন্তু চুলের জন্য এটুকু সময় তো দিতেই হবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…