উচ্চ তাপে রান্না করার পরে যে সমস্যাটি সবার আগে দেখা দেয় সেটা হল পাতিল বা কড়াইয়ের তলাটা পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া। আবার ভারী কোন খাবার রান্না করতে গেলে তেল-মশলা লেগে বাইরের দিকটায় মোটা আস্তর পড়ে যায়। মজাদার খাবার রান্নার পরে এই কালো দাগ পরিষ্কার করতে অনেক গৃহিণীরই অনীহা চলে আসে।
মাঝে মাঝে দেখা যায় স্রেফ বাসন মাজার সাবানেও এই দাগ সহজে পরিষ্কার হতে চায় না, তখন আরেক বিপদ। বাসনের পিছনের কালো দাগ কষ্ট না করে সহজে তোলার ঘরোয়া উপায়গুলো জানা থাকলে এই বিপদ এড়ানো সম্ভব। আজকের আর্টিকেলে থাকছে হাঁড়ি-পাতিলের পিছনের কালো দাগ পরিষ্কারের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাসনের পিছনের কালো দাগ সহজে মুছে ফেলতে টমেটো কেচাপের জুড়ি নেই। সাধারণ ডিশ ওয়াশিং এজেন্টের চাইতে টমেটো কেচাপ আর লবণ বাসনের পিছনের দাগ খুব দ্রুত তুলে ফেলে। পোড়া অংশে অনেকটা টমেটো কেচাপ আর লবণ মাখিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট রেখে দিন। চাইলে সারারাত মাখিয়ে রাখতে পারেন, এতে দাগ তোলা সহজ হবে। এরপরে স্ক্রাবিং প্যাড দিয়ে ঘষে পানিতে ধুয়ে ফেলুন। টমেটোর অ্যাসিডিক উপাদান পোড়া দাগ হালকা করবে।
কোশার লবণ নামে এক ধরণের মোটা দানার লবণ আছে, যা দিয়ে খুব সহজেই বাইরের কালো দাগ উঠাতে পারবেন। দাগের জায়গায় এই লবণ ঢেলে স্পঞ্জ দিয়ে ঘষতে শুরু করুন। এর সাথে সাবান মেশানো গরম পানি বা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হবে। আর স্পঞ্জের বদলে অর্ধেকটা আলু কেটে ঘষতে পারেন।
কোকাকোলা দিয়ে হাঁড়ি-পাতিলের ভিতরের ও পিছনের পোড়া দাগ দূর করতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য লাগবে বড় একটি গামলা যাতে পুড়ে যাওয়া বাসনকোসন পুরোপুরি ডুবে থাকে। চাইলে সিঙ্কের ছিদ্র বন্ধ করে সিঙ্কটি কোকাকোলা দিয়ে পরিপূর্ণ করে নিতে পারেন।
এবারে এতে পোড়া বাসনগুলো ডুবিয়ে কয়েক ঘন্টা রেখে দিন, সারারাত রাখতে পারলে আরো ভালো। পরদিন বাসন উঠিয়ে স্ক্রাবার দিয়ে ভালো করে মেজে ধুয়ে নিন। তারপর দেখবেন পোড়া দাগ নিমেষেই উধাও। টমেটোর মতো কোকাকোলাতেও আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিডিক উপাদান, তাই এর সাহায্যে জেদি দাগ তোলা কোন ব্যাপারই না।
ওভেন ক্লিনার দিয়ে বাসনের পিছনের কালো দাগ দূর করার কাজটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ, যদি কাজটি ওয়ারেন্টির সময়ের ভিতরে করে থাকেন। সচরাচর হাঁড়ির কালো দাগের জন্য ওভেন ক্লিনারের মতো হার্শ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। কারণ এই জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য বাসনের বাইরের আবরণ নষ্ট করতে ফেলতে পারে। এরপরে ওয়ারেন্টি থাকাকালীন সময়ে চাইলেও বাসন বদলাতে পারবেন না। তাই যদি ওভেন ক্লিনার ব্যবহার করতে চান, তাহলে ব্যবহৃত বাসনের ওয়ারেন্টি চেক করে নিবেন আগে। আর পরিষ্কারের আগে রাবার গ্লাভস ও মাস্ক পরে নেবেন।
এসব দ্রব্য ব্যবহার করে অ্যালুমিনিয়ামের কড়াই বা পাতিলের কালো দাগ দূর করতে একটু সময় লাগবে, কারণ কয়েকটা স্টেপে কাজটা করতে হবে।
প্রথমে পুড়ে যাওয়া কড়াইতে ৩ গ্লাস পানি, ২ টেবিল চামচ ডিটারজেন্ট পাউডার, ১ টেবিল চামচ লবণ, এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ঢেলে মিশিয়ে নিন। তারপর চুলায় কড়াইটি বসিয়ে মাঝারি আঁচে ৫-১০ মিনিট মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। এতে কড়াইয়ের ভিতরের কালো দাগ ও পোড়া অংশ পরিষ্কার হবে।
জ্বাল বন্ধ করে কড়াইটি উঠিয়ে নিন। এরপরে বড় গামলায় বা সিঙ্কের নালী বন্ধ করে সিঙ্কে মিশ্রণটি ঢেলে নিন। তারপরে মিশ্রণে কড়াইটি বসিয়ে দিন। কড়াইটি কিছুটা পানিপূর্ণ করে নিন যাতে মিশ্রণে ভালোমতো বসতে পারে। এইভাবে ঘন্টাখানেক রাখতে হবে, তাতে বাইরের কালো অংশ নরম হয়ে যাবে।
কড়াইটি তুলে আলাদা করে রাখুন। এরপরে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও ১ টেবিল চামচ ডিটারজেন্ট মিশিয়ে একটি ক্লিনিং এজেন্ট তৈরি করে নিন। এবার স্টিলের স্ক্রাবারে ক্লিনিং এজেন্টটি লাগিযে ভালো করে কড়াইটি মেজে নিন। বেকিং সোডার ন্যাচারাল ক্লিনজিং প্রোপার্টিজ বাসন থেকে পোড়া দাগ, ময়লা, এমনকি পুরনো কালো দাগও সহজে তুলে ফেলে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…