আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের আসবাবপত্রের মধ্যে সোফা অন্যতম। নিয়মিত ব্যবহার হওয়ার ফলে সোফা নোংরা হয়ে যায় খুব জল দিই। অনেক সময় ফলের রস, খাবারের ঝোল, কলমের কালি, রঙের দাগ, চা কিংবা কফির দাগ – এসব লেগে সোফা দেখতে হয়ে যায় খুবই বিচ্ছিরি। আর প্রতিদিনকার ঝুল, ধুলো, ময়লার ঝক্কি তো আছেই। তার সাথে যদি কুশন থেকে কভার খোলা না যায় তাহলে তো পরিষ্কার করা হয় আরেক জ্বালা।
নোংরা সোফা ব্যবহার করতে তো আর ভালো লাগে না। তাহলে কি এক্সপার্টদের ডাকা ছাড়া উপায় নেই?
আছে! ঘরে বসে আপনি নিজেই করতে পারেন সোফা পরিষ্কার। শুধু দরকার সময়ের। আসুন জেনে নেই এক্সপার্ট ছাড়া নিজেই কিভাবে সোফা পরিষ্কার করবেন।
ঘরে যদি থাকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তাহলে সোফা পরিষ্কার করা নিয়ে আর চিন্তা কিসের! দ্রুততম সময়ে ও সহজে সোফা পরিষ্কার করতে চাইলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনিংয়ের বিকল্প নেই। সোফার উপরের কাপড় ও অন্যান্য টুকটাক জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনিং শুরু করে দিন। যদি সোফায় কোনো কিছুর দাগ পরে থাকে তাহলে ক্লিনিং শুরু করার আধা ঘন্টা আগে সোফায় বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখুন। এর আধা ঘন্টা পর ভ্যাকুয়াম ক্লিনিং করতে শুরু করুন। যেসব কুশনের কভার খুলে পরিষ্কার করা যায় না, সেগুলোও আপনি পরিষ্কার করে ফেলতে পারবেন ভ্যাকুয়াম ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে। সেই সাথে যেসব ময়লা সাধারণত দেখা যায় না, সেসবও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রথমেই পরিষ্কার একটি কাপড় দিয়ে সোফার আলগা ময়লা ঝেড়ে ফেলুন এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এরপর সোফার গায়ে লেগে থাকা শক্ত ময়লা, চুল, সুতো ইত্যাদি ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এখন একটি বালতি অথবা গামলায় পানি নিয়ে তাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ডিশ ওয়াশিং লিকুইড এবং একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এতে একটি পরিষ্কার নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে পুরো সোফা মুছে নিন। এবারে সোফা সেটটি শুকাতে দিন। ব্যাস।
ক্লিনিং এজেন্ট হিসেবে ভিনেগারের জুড়ি নেই। এটি যে কোনো ধরনের দাগ দূর করতেও কাজ করে। ঘরে বসেই সোফা পরিষ্কার করতে চাইলে সমপরিমান ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে কাপড় ভিজিয়ে সোফা সেট মুছে নিন। এরপর শুকোতে দিন। এতে সোফা পরিষ্কার হচ্ছে না মনে হলে ভিনেগার ও পানির মিশ্রণটির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণ দিয়ে সোফা মুছে ফেলার পর স্বাভাবিক পানিতে কাপড় ভিজিয়ে সোফাটি আবার মুছে নিন। একদম পরিষ্কার হয়ে গেলো আপনার সোফা সেটটি।
যেসব সোফার কুশন আলাদা করা যায় সেসবের কুশন অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ঘরে আর কোনো ক্লিনিং এজেন্ট না থাকলে সোফা ক্লিন করতে আপনি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন। এবার ছোট তোয়ালে এই পানিতে ভিজিয়ে সোফা মুছে নিন। এরপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুছে ফেলুন। ঝকঝকে হয়ে উঠবে আপনার সোফা।
সোফায় অনেক সময়ই দাগ লেগে যায়। চা বা কফির দাগ, কলমের কালি, তরকারির দাগ কিংবা ময়লার দাগও অনেক সময় বেশ স্থায়ী হয়ে বসে যায়। এসবের মধ্যে কিছু দাগ উঠে যায়, আবার কিছু দাগ উঠতে চায় না সহজে। এসব দাগ পরিষ্কার করার জন্য সহজ উপায় হচ্ছে টুথপেস্ট। দাগের উপরের অংশটা গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুছে তাতে খানিকটা টুথপেস্ট লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষতে থাকুন। দেখবেন দাগের কোনো চিহ্নও থাকবে না সোফার কোনো জায়গায়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…