আজকাল আমাদের সকলের বাড়িতেই কইছেন চিমনি এসে গেছে। কইছেন চিমনি না হলে রান্নাঘর খুবই তেল চিটচিটে হয়ে যায়। এই কিচেন চিমনি ব্যবহারের প্রধান শর্ত হল নিয়মিত পরিষ্কার করা। ভাল ব্র্যান্ডের কইছেন চিমনি কিনলে মাঝে মাঝে সার্ভিসিং করিয়ে দিয়ে যান। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যে তো আর সেই সুবিধে পাওয়া যাবে না। তা বলে চিমনি পরিষ্কার হবে না তা তো হয় না। তাই ঘরে বসে নিজেই এবার চিমনি পরিষ্কার করতে শিখুন।
চিমনি পরিষ্কার করতে হলে হাতের কাছে কিছু জিনিস আগে অবশ্যই নিয়ে নিন। পরে না হলে অপরিষ্কার হাতে জিনিস খুঁজতে খুব বিরক্ত লাগবে। স্ক্রু খোলার জন্য একটা স্ক্রু ড্রাইভার অবশ্যই নিয়ে নিন। আর সঙ্গে রাখুন একটা খবরের কাগজ, খানিক কেরোসিন তেল, একটা ন্যাকড়া, পুরনো ব্রাশ। এই কিছু জিনিস হাতের কাছে নিয়ে নিলেই সহজেই চিমনি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সবার আগে আপনার গ্যাসের ওভেনের ওপর ভাল করে খবরের কাগজ পেতে নিন। এবার স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে স্ক্রু খুলতে হবে চিমনির। দেখুন আপনার চিমনির চারপাশে আর মাঝে স্ক্রু আছে কিছু। এই স্ক্রু আগে খুলে নিন আর আলাদা করে একটা জায়গায় রেখে দিন। এবার আপনি চিমনির ভিতরটা ভাল করে দেখতে পাচ্ছেন।
দেখবেন চিমনির দুদিকে গোল দুটি চাকতি মতো জিনিস আছে। সাদা চাকতি যেমন আছে, তেমনিই তার নিচে আছে কালো বড় চাকতি। সেগুলিও স্ক্রু দিয়ে লাগানো। এই স্ক্রু গুলিও খুলে নিন আস্তে আস্তে। দেখবেন এই চাকতিগুলি তেল চিটচিটে হয়ে আছে। এগুলিও পরিষ্কার করতে হবে।
সব জিনিস খুলে নেওয়ার পর এবার পরিষ্কার করার পালা। যা যা জিনিস খুলেছেন সব আস্তে আস্তে কেরোসিন দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। অনেকটা সময় নিয়ে করুন কারণ তেল চিটচিটে ভাব সহজে যাবে না। আগে ন্যাকড়ায় কেরোসিন লাগিয়ে ঘষে তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব জিনিস খোলার পর দেখুন চিমনির ভিতরের মূল অংশটা যেটা ফাঁকা, সেটা পরিষ্কার করার পালা। একটু হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভিতরে হাত ঢুকিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
আগে একটা শুকনো ন্যাকড়া দিয়ে শুকনো ময়লা ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিন। চারপাশের অংশ ব্রাশ দিয়ে ঘষেও তুলে ফেলতে পারেন কারণ অনেক সময়ে এই অংশে জেদি দাগ হয়ে থাকে। তারপর ন্যাকড়া কেরোসিন তেলে ডুবিয়ে এই অংশটিও সমান ভাবে কেরোসিন দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মোটামুটি দশ মিনিট সময় নিলে এই ভিতরের অংশ ভাল করে পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারপর আবার শুকনো একটা ন্যাকড়া দিয়ে ভিতরের অংশ মুছে নিন।
পরিষ্কার করার পর এবার সব আবার আগের জায়গায় জোড়া লাগানোর পালা। সবার আগে ওই সাদা আর কালো চাকতি ভালও করে স্ক্রু দিয়ে লাগিয়ে নিন। তারপর নিচের সাপোর্ট দেওয়ার যে বড় অংশ, যেটা ভিতরের অংশ ঢেকে রাখে সেটাও স্ক্রু দিয়ে ভাল করে আটকে নিন। ওপর থেকে একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে গোটা চিমনি ভাল করে আবার একবার ঝেড়ে নিন।
ওপরে যেভাবে পরিষ্কার করতে বলা হল সেটা তো দুই মাস বা তিন মাসে একবার করবেন। কিন্তু এর আগেও তো মাঝে মাঝে চিমনি পরিষ্কার করা দরকার। দেখবেন আপনার চিমনির মধ্যে দুটি বাটির মতো জিনিস আছে যেখানে তেল পড়ে। এই বাটিগুলি আপনি বাইরে থেকে দেখতে পাবেন।
এই বাটিগুলি সপ্তাহে একবার বা দুই সপ্তাহে একবার অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। তেমন কঠিন কোনও কাজ নয়। এগুলি সহজেই খোলা যায়। শুধু এই বাটিগুলি খুলে এতে জমে থাকা তেল ফেলে দিন। তারপর কেরোসিন দিয়ে ভাল করে ঘষে তুলে নিন তেল চিটচিটে ভাব।
এর পরেও কিছুটা তেলতেলে ভাব থাকবে। এবার অল্প গরম জল করে তাতে সাবান গুঁড়ো দিয়ে এর মধ্যে ওই বাটিগুলি ডুবিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। তারপর জল থেকে তুলে ভাল করে পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে আবার লাগিয়ে নিন আগের জায়গায়। এভাবে কিছুদিন পর পর এই বাটিগুলি অন্তত পরিষ্কার করে নিন।
আশা করি এবার আর চিমনি পরিষ্কার করার জন্য লোকের ভরসায় থাকতে হবে না। নিজেই নিজের সময় মতো ঘরে বসেই পরিষ্কার করে নিন চিমনি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…