কারো লম্বা, ঘন কালো চুল দেখলে নিশ্চয়ই আপনি আনমনে হিংসায় ভোগেন আর ভাবেন ‘ইশশ আমার চুল যদি এমন সুন্দর হতো’! কমবেশি প্রায় সবাই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনবরত চুল পড়তে থাকলে মাথা প্রায় টাক হয়ে যাবার মতো অবস্থা হয়, যা খুবই বিব্রতকর। পাতলা চুলের গোছায় কোন হেয়ারস্টাইল করলেও বিশ্রী দেখায়।
ভালো মানের শ্যাম্পু আর নিয়মিত তেল মাসাজ করলেও যে চুল তড়তড়িয়ে বেড়ে উঠবে তার কিন্তু কোন গ্যারান্টি নেই। যদি অল্প সময়ে মনের মতো চুলের বৃদ্ধি চান, তাহলে ঘরেই তৈরি করুন এই একটি হার্বাল টোনার এবং কন্ডিশনার।
হার্বাল হেয়ার টোনার চুলের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। পাকা চুলের সমস্যায় কলপ ব্যবহার না করে হেয়ার টোনার ব্যবহার করতে পারেন। এতে কালো চুল এতটাই উজ্জ্বল হবে যে সাদা চুলগুলো ঢাকা পড়ে যাবে। এমনকি আপনার কালার করা চুল যদি ফিকে হতে শুরু করে, হেয়ার টোনার ব্যবহার করে সহজেই হেয়ার কালারের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারবেন।
চুলের উজ্জ্বলতা ফেরানোর পাশাপাশি টোনার কিন্তু চুল লম্বাও করতে পারে, সেটা কি জানেন? না জেনে থাকলে জেনে নিন চাল-মেথির হেয়ার টোনার কিভাবে চুলের বৃদ্ধি আশানুরূপ করতে সাহায্য করবে।
কন্ডিশনার চুলের হাজারটা সমস্যার চমৎকার সমাধান করে। আর যদি সেটা হয় হার্বাল কন্ডিশনার, তাহলে তো কথাই নেই। শুধু শ্যাম্পু করলেও চুলে জট লেগে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার চুলের ডগা ফেটে গেলে চুল দেখাবে নিষ্প্রাণ। হার্বাল কন্ডিশনার আপনার চুলকে মোলায়েম, জটমুক্ত, এবং উজ্জ্বল করে তুলবে। আবার দূষণের কারণে চুলের যেসব ক্ষতি হয়, কন্ডিশনার সেসব ক্ষতি থেকে চুলকে বাঁচিয়ে রাখে।
চাল-মেথির টোনার আপনার চুলকে টোনিংয়ের সাথে সাথে ডিপ কন্ডিশনিংও করবে। তবু যদি টোনার ব্যবহার করতে না চান তাহলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন রকমের তেল, মধু, ডিম দিয়ে হারবাল কন্ডিশনার বানাতে পারেন। এখানে ডিম ও ভিনেগারের কন্ডিশনারের রেসিপি ও ব্যবহারবিধি দিলাম।
সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ঢেলে ব্লেন্ড করে ঘন থকথকে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর এই পেস্ট শ্যাম্পু করা চুলের মাঝখান থেকে ডগা পর্যন্ত ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই কন্ডিশনার প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে একটা কথা বলে রাখা ভাল, যেহেতু কন্ডিশনারে ডিম আছে সেহেতু এটা চুলে বাজে গন্ধের সৃষ্টি করতে পারে।
তাই প্রতিদিন ব্যবহারের চাইতে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো হয়। আর ব্যবহারের পরে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলবেন যাতে ডিমের গন্ধ না থাকে। প্রয়োজনে পুনরায় নরমাল কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন গন্ধ কমানোর জন্য।
ডিমের লেসিথিন চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে। অলিভ অয়েল চুলকে স্ট্রং বানায়। মধু চুলকে সবসময় হাইডেট্রেড রাখে। ভিনেগার উকুন, খুশকিসহ স্ক্যাল্পের অন্যান্য সমস্যা কমায়, তাই চুল পড়া কমে। লেবুর পুষ্টি উপাদান চুল ফাটা কমায়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…