আপনার কী ডার্ক স্কিন? অনেক কিছু ব্যবহার করেও নিশ্চয়ই এখনও আপনার স্বাভাবিক স্কিন টোন ফিরে পাননি? এবার কিন্তু ঘরে বসে সাধারণ কিছু জিনিস দিয়ে তৈরি মাস্ক আপনার হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারে। দূষণ, কড়া রোদ আমাদের স্কিন ডার্ক করলেও এই ছ’টি মাস্ক আপনাদের স্কিন ট্যান দূর করে আগের স্কিন টোন ফিরিয়ে আনবেই।
পেঁপে স্কিন টাইট রাখে আর দই স্কিনের ময়েশ্চার ধরে রাখবে। বিশেষ করে ডিম আছে বলে এটি স্কিনের নারিশমেন্টের জন্য খুব ভাল।
আগে একটা পাকা পেঁপে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে মিক্সিতে ঘেঁটে নিন। একটা পাল্প তৈরি হয়ে যাবে। এর মধ্যে এবার টক দই, অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিয়ে মিশিয়ে নিন ভাল করে। এই মিশ্রণ ২ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ফ্রিজ থেকে বের করে গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা অংশ এর মধ্যে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ২৫ মিনিট স্কিনে রেখে দিন। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করে করলেই হবে।
এটিও আরেকটি ভাল মাস্ক ডার্ক টোন কমিয়ে, ট্যান কমিয়ে মুখে স্বাভাবিক গ্লো ফিরিয়ে আনার জন্য। লেবুর রস খুব ভাল ন্যাচারাল ব্লিচার হিসেবে কাজ করবে, তাই মরা চামড়া উঠে সামনে আসবে স্বাভাবিক গ্লো।
একটি পাত্রে সবকটি উপকরণ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। জলের বদলে গোলাপ জল দিয়ে এই মাস্ক তৈরি করুন। তারপর মাস্ক মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে আসলে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুই দিন করলেই ভাল ফল পাবেন।
লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশলে স্কিনের যে কোনও দাগ, ছোপ সহজেই উঠে যায়। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান স্কিন টোন লাইট করে আনে।
দুটি উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। একটি ঘন মাস্ক তৈরি হবে। এই মাস্ক মুখে লাগিয়ে অল্প হাতে আগে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর ২০ মিনিট মুখে রেখে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি এক দিন ছাড়া ছাড়া করলে খুব তাড়াতাড়ি স্কিন টোন ব্রাইট হয়ে আসবে।
দুধ স্কিন ক্লিনসার হিসেবে খুব ভাল। পাশাপাশি স্কিনের ময়েশ্চার ধরে রাখতেও দুধ খুব ভাল কাজ করে।
সব উপকরণ আগে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এবার শুকিয়ে আসলে সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে। সপ্তাহে যতবার খুশি ব্যবহার করতে পারেন।
টম্যাটোর স্কিন টাইট রাখার ক্ষমতার কথা আমরা সবাই জানি। আর মধু তো স্কিনে অতিরিক্ত ময়েশ্চার যোগ করবেই এই শীতে।
আগে টোম্যাটো মিক্সিতে ঘুরিয়ে পেস্ট করে নিন। এবার এর মধ্যে মধু মিশিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই ঘন পেস্ট মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। হাল্কা উষ্ণ গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক দিন করে করলেই দারুণ ফল পাবেন।
মিল্ক পাউডার খুব ভাল স্কিন নারিশ আর হাইড্রেট করে। রোজ এই মাস্ক ব্যবহার করলে অ্যাকোণের মতো সমস্যাও দূর হয়ে যাবে সহজেই।
সব উপকরণ একটি পাত্রে ভাল করে মিশিয়ে নিন আগে। একটি ঘন পেস্ট তৈরি হবে। এই মাস্ক এবার মুখে লাগান আর অপেক্ষা করুন শুকিয়ে আসার জন্য অন্তত ৩০ মিনিট। তারপর অল্প অল্প জল নিয়ে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করতে করতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন করে করলেই ফল পাবেন।
উপরের এই ছ’টি মাস্কের মধ্যে যতগুলি পারবেন ব্যবহার করতে পারেন। খুব ভাল স্কিন টোন পাবেন অনায়াসেই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…