আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনে আয়না খুবই দরকারি একটি জিনিষ। নিত্যদিন অন্তত দুই থেকে তিনবার তো আয়নার সামনে আমাদের যাওয়া হয়ই। ঘর সাজাতে, নিজেকে সাজাতে আয়নার বিকল্প নেই। আবার জানালাতে থাকা গ্লাসেরও কোনো বিকল্প হয় না। কিন্তু নিত্যদিন ব্যবহারের পর অল্প দিনেই এর নতুন নতুন ভাবটা আর থাকে না।
এছাড়াও শোকেসের গ্লাস, বুক শেলফের সামনের গ্লাস, আলমারির আয়না, জানালার গ্লাস, বেসিন কিংবা ওয়াশ রুমের আয়না – এসবই প্রয়োজনীয়। আরো আছে ঘর সাজাতে আয়না কিংবা গ্লাসের শোপিস।
এসব গ্লাস বা আয়না নিয়মিত পরিষ্কার করা না হলে এতে দাগ পরে যায়। নয়ত ঝাপসা হয়ে যায়, কিছু দেখা যায় না। খুবই বিচ্ছিরি দেখায় যদি এই আয়না বা গ্লাসে দাগ পরে যায়। শুধু স্বাভাবিক পানি দিয়ে এই দাগ তোলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই আজ আমরা জানবো কিভাবে দূর করবেন আয়না কিংবা জানালার গ্লাসের দাগ।
ধুলো, ময়লা এবং ঝুল ঘরে পরবেই। নিয়মিত এসব পরিষ্কার না করলে এর প্রভাব পরে জানালার গ্লাস কিংবা নিত্য ব্যবহার্য আয়নাতেও। সাধারণ ধুলোবালি কিংবা ঝুল, ময়লার দাগ তুলতে প্রথমেই পরিষ্কার একটি নরম সুতি কাপড় নিন।
কুসুম গরম পানিতে একটু বেশি পরিমানে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন। পাতলা সুতি কাপড়টি ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে আয়না এবং জানালার গ্লাসে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন। পরিষ্কার হয়ে গেলে স্বাভাবিক পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুছে নিন। ধুলোবালি, ঝুল কিংবা সাধারণ ময়লার দাগ পরিষ্কার হয়ে যাবে সহজেই।
দীর্ঘ দিন অপরিষ্কার অবস্থায় থাকলে জানালার গ্লাসে অথবা আয়নার কোনার দিক থেকে অনেক সময় কালচে রঙের ছোপ ছোপ দাগ পরে। এই দাগ দূর করতে দরকার ভিনেগার আর একটি লেবুর রস। একটি লেবু চিপে রস বের করে নিন।
এতে একই পরিমানে পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার পাতলা কাপড় দিয়ে আয়নায় লাগিয়ে নিন। ছোপ ছোপ কালচে দাগে লাগিয়ে নরম কাপড় দিয়ে কিছুক্ষন ঘষে নিন। এরপর পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যাস, দাগ গায়েব।
অনেক সময় মাকড়সা, টিকটিকি ও অন্যান্য পোকামাকড়ের হাঁটাচলা কিংবা অন্যান্য কারনেও জানালার গ্লাসে দাগ বসে যায়। উঠতে চায় না সহজে। আয়না দীর্ঘ দিন পরিষ্কার না করলেও এমন দাগ পরে।
এ ধরনের দাগ উঠিয়ে ফেলতে শেভিং ফোম বা শেভিং ক্রিম খুবই কার্যকরী। দাগের উপরে শেভিং ফোম কিংবা শেভিং ক্রিমটি লাগিয়ে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পাতলা নরম কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে দাগ তুলে ফেলুন।
আয়না কিংবা জানালার গ্লাস পরিষ্কার করতে আরেকটি উপকারী জিনিষ হচ্ছে নিউজপ্রিন্ট কাগজ। নিউজপ্রিন্ট কাগজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর চিপে নিয়ে তা দিয়ে জানালার গ্লাস, আয়না ঘষে নিন। আয়না বা গ্লাস একদম নতুনের মত দেখতে হয়ে যাবে। নিয়মিত পরিষ্কারের জন্য এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর।
ওয়াশ রুমের আয়না সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার না করলে এতে বাষ্পের দাগ বসে আয়না ঝাপসা হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন পরিষ্কার না করলে স্থায়ী দাগও বসে যেতে পারে। ওয়াশ রুম কিংবা বেসিনের আয়নাতে পরা বাষ্পের এই দাগ দূর করতে পারে বেকিং সোডা।
একটি স্ক্রাবারে বেকিং সোডা নিয়ে পুরো আয়নাতে ভালো ভাবে ঘষে নিন। এরপর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে আয়না মুছে ফেলুন। পেয়ে যাবেন দাগ ছাড়া ঝকঝকে আয়না।
নিয়মিত আয়না বা গ্লাস পরিষ্কার করতে ডিস্টিল্ড ওয়াটার বা পাতিত পানি ব্যবহার করতে পারেন। এটি কাঁচ ও কাঁচ জাতীয় যে কোনো জিনিসপত্রও খুব সহজে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
তোয়ালে অথবা পাতলা কাপড় ডিস্টিল্ড ওয়াটারে ভিজিয়ে আয়না অথবা জানালার গ্লাস মুছে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সপ্তাহে দুই বার এভাবে পরিষ্কার করলে আয়না নতুনের মতন থাকবে সব সময়।
সাধারণত জানালার গ্লাস একটু ভারী ধরনের হয়। নিয়মিত জানালার গ্লাস পরিষ্কার করা একটু কষ্টসাধ্য বিষয়ই বটে। কিন্তু এই কষ্টের কাজটিই সহজ করে তুলতো পারে টোনার।
রূপচর্চায় যে টোনার ব্যবহার করেন, সেটিই। একটি স্প্রে বোতলে টোনার নিয়ে জানালার গ্লাসে স্প্রে করে তুলার তৈরি শুকনো প্যাড দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যাস, জানালার গ্লাস হয়ে যাবে চকচকে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…