‘হলুদ’ এই নামের সাথে আমাদের পরিচিতি বহুদিনের। প্রাচীন ভারতের সময়কাল থেকে হলুদ একদিকে যেমন আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে পরিচিত, তেমনি অন্যদিকে পরিচিত , মশলা হিসেবে। মানুষের নিত্য ব্যবহারিক এক বিশেষ সামগ্রী হলুদকে (turmeric) বলাই যায়। হলুদের বহুপ্রকার গুনাগুণ। যা থেকে আমরা রোজই কম বেশি উপকৃত হয়ে থাকি।
হলুদ মূলত গাছের শিকড় থেকে সংগৃহীত হয়ে থাকে। ভারত সহ গোটা দুনিয়ায় হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে নানারকম ভাবে। রান্নার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও হলুদের ব্যবহার হয় বিপুল-পরিমানে।
হলুদে আছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংকের মত পুষ্টিকর উপাদান সমূহ। যা ব্যবহারে মানব দেহ নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে ত্বকের ক্ষেত্রে হলুদের ব্যবহার খুবই লাভদায়ক।
কাঁচা হলুদের ব্যবহার সবচেয়ে উপকারি। পেটের সমস্যা হোক বা ত্বকের সমস্যা উভয় ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ ভীষণ ফলদায়ক। নিদ্রা-জনিত সমস্যা থেকে সমাধানের পথ পেতে পারেন হলুদের নানাপ্রকার ব্যবহারের মাধ্যমে।
ত্বকের বলিরেখা, রোদে পোড়া দাগ, ব্রণ’র দাগ ইত্যাদি থেকে মুক্তির সহজ উপায় হল হলুদের রোজকার ব্যবহার। তাছাড়া অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে।
আমরা প্রত্যেকে কম বেশি ব্রণ’র সমস্যায় ভুগি। ব্রণ’র দাগ সহজে যেতে চায় না। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে রোজ ব্যবহার করুন হলুদ। কিভাবে? চিন্তা নেই সব বলছি। পরিমান মত হলুদগুঁড়ো নিন, তাতে সামান্য জল আর পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন দাগগুলিতে। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহের মধ্যে হাতেনাতে ফলাফল পাবেন।
যাদের ত্বক খুবই তৈলাক্ত তারা চন্দনেরগুঁড়ো ও কাঁচা হলুদবাটা এক সাথে মিশিয়ে রোজ রাত্রিবেলায় ঘুমানোর আগে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।
আজকাল দূষণের কারনে অল্প বয়সেই মুখে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে। বয়সের ছাপ দূর করতে কাঁচা হলুদের সাহায্য অনায়াসে নিন। কাঁচা হলুদবাটা বা হলুদগুঁড়ো, বেসন, টক দইয়ের সাথে পরিমান মত মিশিয়ে নিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন মুখে ফেস-প্যকের মত লাগান।
রোজ সকালে একটা গোটা কাঁচা হলুদ মধু বা গুঁড়ের সাথে খাওয়া অভ্যাস করুন। পেটের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ। ওজন কমাতেও এটি করতে পারেন। শরীর রোগমুক্ত হয়ে উঠবে সহজে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা লাগা থেকে হলুদ আপনাকে বাঁচাতে পারে। কফ বা সর্দি হলে এক গ্লাস দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করুন জলদি ভালো হয়ে যাবেন। তাছাড়া রোজ রাতে এক গ্লাস হলুদ মিশ্রিত দুধ পান করুন, যাদের নিদ্রা-জনিত সমস্যা তারা উপকৃত হবেন।
যে কোন ক্ষত, পুড়ে যাওয়া স্থান, বা ফোস্কাক হলুদের প্রলেপ লাগালে হলুদ ম্যাজিকের মত সব সমস্যার উপশম করে। তাছাড়া হলুদে কারকুমিন উপাদান থাকায় এটি ভাইরাস প্রতিরোধক। কাঁচা হলুদ খেলে কমতে পারে টাইপ টু ডায়বেটিস।
হলুদের ব্যবহার আমাদের রোজকার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে রান্না হোক বা শরীরচর্চা। হলুদের গুনাগুণ দ্বারা আমরা নানাভাবে উপকৃত, যা অস্বীকার করা যায় না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Tomar er lkekha gulo te khub e upokar hocche
Thankq...... ????????
dhonyabad... dusbus'er sathe thakun.. agamidine r o natun natun bisoy nie amra apnader kache asbo... asa kori valo lagbe...
ভালো লাগছে আমাদের লেখা ?
বেশ ভালো লাগছে । গরম থেকে বাঁচতে কিছু টিপস যদি লেখেন । অপেক্ষায় থাকব লেখার ।
ধন্যবাদ । খুব শীঘ্রই গরমের ওপর কিছু লিখবো । সাথে থাকুন আপনারা ।