রেস্তোরাঁয় গিয়ে নিজের পছন্দের খাবারটি খাওয়া যেই না শেষ হল ওমনি দেখলেন জামাতেও একটু পড়ে দাগ লেগে গেছে। কি জ্বালা! বা লেগেছে হয়তো রক্তের দাগ। বা সাধের চা-টা খেতে খেতে পড়ে গেল জামায়। ব্যাস আপনার সাদা সুন্দর জামার দফারফা! এর’ম নানা রকমের দাগ তো চলতেই থাকে। কিন্তু সমস্যা হল এই সব দাগ যেতেই চায় না। জামাকাপড়ে একবার এইসব দাগ পড়লে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন। হাজার দামি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করেও কোন লাভ হয় না। কি ঠিক বললাম তো? কিন্তু আপনার বাড়িতেই এমন কিছু খুব সহজ জিনিস আছে যেগুলো দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে দাগ উঠে যেতে পারে। কীভাবে? দেখুন।
ভিনিগার কিন্তু খুব ভালো কাজ দেয় হলুদের দাগ তুলতে। শুধু হলুদের দাগ কেন, যেকোনো দাগ তোলার ক্ষেত্রেই এটা ভালো কাজ দেয়। তবে বিশেষ করে হলুদের দাগ তোলা যেন এর কাছে কোন ব্যাপারই না।
উপকরণ
২ কাপ ভিনিগার, ১ কাপ জল, সাবান গুঁড়ো বা লিকুইড সাবান একটু।
পদ্ধতি
ভিনিগার, জল ও সাবান গুঁড়ো একসাথে মেশান। এক্ষেত্রে লিকুইড সাবান হলে বেশী ভালো। কিন্তু গুঁড়ো সাবানও চলবে। এবার এই মিশ্রণ ওই হলুদের দাগ লাগা জায়গায় ফেলে রাখুন বা ওই জায়গাটি ওই জলে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ভালো করে হলুদ লাগা জায়গাটি ঘষে নিন। দেখবেন দাগ উঠে গেছে।
মুখের বিভিন্ন দাগের মত জামা কাপড়ের দাগ তোলাও কিন্তু পাতিলেবুর কাছে কোন ব্যাপার না।
উপকরণ
একটা গোটা পাতিলেবু।
পদ্ধতি
পাতিলেবুর রস বার করে নিন। এবার দাগ লাগা জায়গায় লেবুর রস দিন। কিছুক্ষণ রেখে আবার রস দিন। এবার ওটা বাইরে রোদে মেলে দিন। খানিকক্ষণ রোদে রাখার পর সাবান গুঁড়ো দিয়ে ধুয়ে নিন। দেখবেন দাগ ভ্যানিশ!
কাপড়ে চায়ের দাগ কিন্তু খুব জেদি। একবার চা কাপড়ে পড়ে গেলে, ব্যাস তাকে তুলতে গিয়ে দম বেরিয়ে যাবার জোগাড়। কাজে লাগান গরমজলকে।
পদ্ধতি
১. জল ভালো করে গরম করে নিন। এবার এই গরম জল ওই দাগ লাগা জায়গায় দিন। একটু সাবান গুঁড়ো দিন। ভালো করে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
২. একইভাবে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। টুথপেস্ট নিয়ে দাগের জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর জায়গায় ভালো করে ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
অনেক সময় হাত-পা কেটে গেলে জামায় রক্তের দাগ লেগে যেতেই পারে। কী করবেন তখন? দেখে নিন।
উপকরণ
নুন অল্প, সাবান গুঁড়ো অল্প।
পদ্ধতি
রক্তের দাগ তোলার খুব সহজ উপায় এটি। জাস্ট একটু নুন দাগ লাগা জায়গায় ছড়িয়ে দিন। নুন গলে গেলে জায়গায় একটু ঘষে দিন। এবার সাবান গুঁড়ো দিয়ে ওই জায়গাটা ঘষে নিন। তারপর ধুয়ে নিন। দেখবেন কাপড় থেকে রক্তের দাগ একেবারে উধাও।
অনেক মাথায় তেল মেখে শুলে বালিশে অনেকসময় তেলের দাগ লেগে যায়। আর সেই দাগ তোলা যে কতটা কঠিন সেটা নিশ্চয়ই অনেকেই জানেন। এবার এই পদ্ধতিতে তেলের দাগ তুলুন সহজে।
উপকরণ
সাবান গুঁড়ো।
পদ্ধতি
জল ভালো করে ফোটান। এবার এতে সাবান গুঁড়ো দিয়ে কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর গরম জল একটু ঠাণ্ডা হলে, কাপড় তুলে কাপড় একটু ঘষে ধুয়ে ফেলুন। সমস্ত দাগ উঠে যাবে। আবার তেল জাতীয় খাবার খেলে, যদি কাপড়ে পড়ে যায়, তাহলেও কাপড়ে তেলের দাগ লেগে যায়। সেটা তুলতেও এই পদ্ধতি কাজে লাগান। দাগ দেখবেন সম্পূর্ণ উঠে যাবে।
মুলতানি মাটি শুধু রূপচর্চায় কাজে না লাগিয়ে কাপড়ের দাগ তোলার জন্যও ব্যবহার করুন। এটা জানেন কি মুলতানি মাটি কাপড়ের যেকোনো দাগ তুলতে সক্ষম? হ্যাঁ, একবার কাজে লাগিয়েই দেখুন না।
উপকরণ
মুলতানি মাটি পরিমাণ মতো, ভিনিগার অল্প।
পদ্ধতি
মুলতানি মাটির সাথে একটু ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এবার এটা দাগ লাগা জায়গায় লাগিয়ে দিন মোটা করে। রাখুন যতক্ষণ না এটা শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে ভিজে কাপড় দিয়ে জায়গাটি ঘষুন। মুলতানি মাটি তুলে দিন। দেখবেন মুলতানি মাটির সাথে দাগও উঠে গেছে।
তাহলে এবার কাপড়ে যাই দাগ লাগুক না কেন, এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ট্রাই করে ফেলুন। ব্যাস, তারপর দাগ নিয়ে নো চিন্তা।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…