কি! আজ সকাল থেকেই হাতের পাতা চুলকোচ্ছে? তা এই হাতের পাতা চুলকোনো নিয়ে বহুকাল ধরেই একরকম বিশ্বাস চলে আসছে। যখনই আমরা হাতের পাতা চুলকোই তখনি মনে হয় যেন এই ঘরে টাকা এল। হাত চুলকোলেই বাড়ির বড়রা বিশেষত এইরকম বলে থাকেন। আর আমাদেরও ফূর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ। আমরাও অনেক সময় এটা সত্যি ভেবে ফেলি তাদের কথা শুনে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি আসলে ব্যাপারটা কি ঘটে? এসবে বিশ্বাস করার আগে ব্যাপারটিকে বিশ্লেষণ করা দরকার। কেন এরম মনে করা হয়।
কোন কিছু প্রচলিত ধারনায় বিশ্বাস করার আগে, আমাদের পুরো বিষয়টা ভালো করে ভেবে দেখা দরকার। যাচাই করা দরকার, আদৌ এতে বিশ্বাস করার মত কোন সত্যতা আছে কিনা। আপনাকেও কি অন্যদের মতো মাছি মারা কেরাণী হতে হবে নাকি! আগে এর সত্যতা যাচাই করে দেখুন। কারণ এটা শুধু যে একটা কুসংস্কার তা নয়, এটা মানুষের বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। ভালো করে যাচাই করুন তো হাত চুলকোনোর সাথে সাথেই কি আপনার কাছে অনেক টাকা আসছে?
ভালো করে ভাবুন যদি সত্যি এই ধারণা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে, এটা নিয়ে নিশ্চয়ই কিছু রিসার্চ মূলক তথ্য থাকবে। কারণ আজকাল সবকিছু বিষয় নিয়েই আগে রিসার্চ করা হয়। তারপর সকলের সামনে বিষয়টির সত্যতা আনা হয়। কিন্তু এই বিষয়ের ওপর কোন রিসার্চ নেই। কারণ এটি কোন প্রমাণিত সত্য নয়। আর তাই এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। আর যেটার কোন যুক্তিযুক্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়াই সম্ভব নয়, সেটা কি করে সত্য হতে পারে। মনে রাখবেন যে কোন সত্যি জিনিসকেই প্রকৃত যুক্তি দিয়ে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত করা যায়। কোন ভ্রান্ত কুসংস্কারকে নয়।
চলুন একবার বিষয়টি দেখা যাক, ধরুন কারুর হাত চুলকোচ্ছে। তার হাত চুলকবার কোন বিশেষ কারনতো থাকতেই পারে। হতেই পারে তার হাতে অ্যালার্জি বা চুলকানি জাতীয় স্কিনের কোন সমস্যা আছে। সেই জন্যই তার হাতের পাতা চুলকোচ্ছে। এবার সে তার এই সমস্যা সারাবার জন্য, কাউকে টাকা দিয়ে ওষুধ নেবে নিশ্চয়ই। অর্থাৎ এখানে সেই ব্যক্তির অর্থ উপার্জন হল। কিন্তু হাত চুলকোবার সাথে সাথেই কি আপনার কাছে টাকা এলো?
যদিও বা দেখেন কোন কারনে হয়তো আপনার হাতের পাতা চুলকোচ্ছে। আর তার পরেই আপনি টাকা পেলেন কোনকিছু থেকে। সেটা জাস্ট একটা ঘটনা। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন, সবসময় এমনটা হচ্ছে না। তার কারন, বাস্তবে আদৌ এর’ম কিছু হাওয়া সম্ভব নয়। এটা একটা ভ্রান্ত কুসংস্কার। হলে সবসময়ে এমনটা হত। তখন আমাদের টাকা উপার্জনের জন্য এত কষ্ট করতেই হত না।
জাস্ট হাত চুলকোলেই টাকা পাওয়া যেত। ভেবে দেখুন, যে টাকাটা আপনি পেলেন সেটা কিন্তু আপনি পেয়েছেন আপনারই কোন কাজের জন্য। সেটার সঙ্গে হাত চুলকোনোর কোন সম্পর্কই নেই। আপনি যে বা যাদের তরফ থেকে টাকাটা পেলেন, তাদের পক্ষে কিন্তু এটা জানা সম্ভব নয় যে আপনার হাতের পাতা কখন চুলকোবে। আর সেই অনুযায়ী তারা টাকা দেবেন। এটা নিশ্চয়ই সম্ভব নয়।
এতক্ষণে বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই যে হাতের পাতা চুলকোবার সাথে টাকা আসার কোন সম্পর্ক নেই। এটা জাস্ট একটা কুসংস্কার মাত্র। শুনুন মশাই, সবার আগে এই পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা মেন্টালিটিটা বদলান তো! দেখবেন হাত চুলকালেও টাকার কথা মাথাতেও আসছে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…