হালাল শব্দটির শাব্দিক অর্থ বৈধ বা অনুমোদিত। ইসলাম এমন সব কিছুকে হারাম করেছে যা মানব জাতির জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিকর। সুতরাং যা ক্ষতিকর নয় তা বৈধ। বিভিন্ন পণ্যে আরবি, বাংলা অথবা ইংরেজীতে ‘হালাল’ লেখা থাকে। তবে দেশী বা বিদেশী কোনো পণ্যে ‘হালাল’ লেখা না থাকলেই তা হারাম বলা যাবে না। আর কোনো পণ্যের উপাদান সামগ্রীতে হারাম বস্তুর নাম উল্লেখ থাকলে এবং তার অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকলেই তা হারাম হিসেবে ধরা হবে, অন্যথায় নয়। সন্দেহের কারণে হালাল লেখা না থাকলেই তা ব্যবহার করা হারাম, এমনটি বলা যায় না। তবে সন্দেহযুক্ত পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য শূকরের মাংস, চর্বি ইত্যাদি হারাম করেছেন, কারণ তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই তা আমাদের জন্য বজর্নীয়।
সাবান সহ অন্যান্য কসমেটিক পণ্যের মোড়কে ১০০% হালাল লেখা থাক বা না থাক, সবই ব্যবহার করা হালাল। কেন না, এগুলোতে মৃত পশু কিংবা শূকরের চর্বি থাকলেও তা অন্যান্য কেমিক্যালের সাথে মিশে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই এ সকল পণ্য ব্যবহার করা হারাম হবে না। তবে নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের ব্যাপারে এমনটি করা হয়েছে বলে নিশ্চিতভাবে জানা গেলে, তা পরিহার করা উত্তম। ফাতাওয়া দারুল উলুম: ১/১৯০।
প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে সাবান ব্যবহার করে। আগে যেমন সাবান ব্যবহার করা হতো ত্বক পরিষ্কার রাখার জন্য, এখনো তাই। এটি মূলত রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। সাবানে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ক্ষার জাতীয় পদার্থ যা ত্বকের ওপর জমে থাকা তেল ও ময়লা দূর করে। কখনও কখনও সাবান তৈরিতে এমন উপকরণও ব্যবহৃত হয় যা মানুষের জন্যও ক্ষতিকর।
হালাল বলতে ঐ সকল পণ্যই বিবেচিত হবে, যা উপকারী ও যেকোনো ক্ষতিকারক প্রভাবমুক্ত। অ্যামেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা যায়, সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহৃত ট্রাইক্লোস্যান লিভার ফাইব্রোসিস ও লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন ধরে সাবান শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো জীবাণু ধ্বংসের সাথে সাথে ত্বকেরও ক্ষতি করে।
আমরা সাধারণত ২ ধরণের সাবান ব্যবহার করি। বার সোপ এবং লিকুইড সোপ। তুলনামূলক শক্ত সাবান তৈরি করতে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং অপেক্ষাকৃত কোমল ও তরল সাবানের জন্য পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড। তাছাড়া সাবানে গ্লিসারিনের উপস্থিতি একটি বড় বিষয়।
সব ধরণের সাবানের প্যাকেটের গায়ে টি.এফ.এম. (Total Fatty Matter) দেওয়া থাকে। T.F.M. সাবানে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ নির্দেশ করে। সাধারণত ৬০% T.F.M.-এর নিচের সাবানগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি T.F.M.-এর পরিমাণ ৭০% এর বেশী হয়। তাই সাবান ক্রয় করার পূর্বে এতে T.F.M.-এর পরিমাণ জেনে নেওয়া জরুরী।
হালাল বলতে ঐ সকল পণ্যই বিবেচিত হবে, যা উপকারী ও যেকোনো ক্ষতিকারক প্রভাবমুক্ত। অ্যামেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা যায়, সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহৃত ট্রাইক্লোস্যান লিভার ফাইব্রোসিস ও লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন ধরে সাবান শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো জীবাণু ধ্বংসের সাথে সাথে ত্বকেরও ক্ষতি করে।
তাই এবার থেকে সাবান ব্যবহার করার আগে তার হাল-হকিকত জানুন, আর তারপর আরামসে ব্যবহার করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…