ওজন কমানোর জন্য মানুষ খুব বেশি চিন্তিত।ইচ্ছে করলেই তো আর ওজন কমতে শুরু করবে না।কোন জিনিস খেলে ওজন কমবে,একটু কম মোটা দেখাবে এই নিয়ে ভেবে তো আমরা নাজেহাল।অনেক বিধি-নিষেধ মানার পরও মুখ সামাল দিতে অনেক কষ্ট হয়।প্রিয় খাবারটি দেখলেই মনে মনে বলি,কাল থেকে ডায়েট কন্ট্রোল করবো আজ একটু খেয়েই ফেলি।বন্ধুবান্ধবরা বলে,আরে একটু খেলে কিছু হবে না।আমিও তাই প্রিয় খাবারের লোভ সামলাতে পারি নি।ঠিক বলেছি না?এমনটাই তো হয় সবার সাথে তাই না?আসলে ওজন কমানো সহজ কথা নয়।এর জন্য চেষ্টা আর ইচ্ছার সংযোগ লাগে।কখনো ইচ্ছা থাকলে চেষ্টা নেই,আবার কখনো চেষ্টার মাঝেও সুযোগকে ছাড় দেই না,চোখ বুজে পটাপট গিলতে শুরু করি।খুব বেশি বললাম না তো?যাই হোক,আমাদের সকলেরই জানা দরকার কোন খাবারগুলো হালাল এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ডিমে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায় যা ওজন বৃদ্ধি করে।তাই দেহের বাড়তি ওজন কমাতে চাইলে শুধু ডিমের সাদা অংশ খান,হলুদ অংশ বা কুসুম খাবেন না।সকালে ডিমের সাদা অংশ খেলে তা ক্ষুধার উদ্রেক কমিয়ে দেয়।প্রতিদিন ডিমের সাদা অংশটুকু ভেজে খেতে পারেন।এটা আপনার দেহের জন্য বেশ ভালো হবে।যারা ডায়েট করতে ইচ্ছুক,সকালে নাস্তার বিকল্পে ২টা করে ডিম(সাদা অংশ)খান।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেহের কাজ করার শক্তিটুকু তা ধরে রাখবে,আপনি দুর্বল বোধ করবেন না।
যদি এরপরও ক্ষিদে পায়,তাহলে ৫/৬টা আখরোট খেয়ে ক্ষুধা দূর করুন।পেট ভরার সাথে সাথে আপনার শরীরে কাজ করার শক্তিও পাবেন।অন্যান্য সকল ফলের তুলনায় আখরোটে অনেক কম কোলেস্টেরল থাকে।তাই ডায়েটারদের জন্য আখরোট বেশ উপযোগী।কিন্তু আখরোটে প্রচুর ক্যালরি থাকে,তাই খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত হবে না।
সুস্বাদু খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে দিতে এর সাথে আমরা দারুচিনি যোগ করি,খাবারে বেশ সুঘ্রাণ আসে।এর কাজ কিন্তু এখানেই শেষ নয়,আপনি যদি চান তাহলে দারুচিনি খেয়ে আপনার দেহের বাড়তি ওজন কমাতে পারেন।জ্বি হ্যাঁ!এটা দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
খাবারকে সুস্বাদু করতে মশলা হিসেবে ব্যবহৃত এই রসুনের গুণাগুণের শেষ কোথায় আমার জানা নেই,তবে এটি ওজন কমাতে খেতে পারেন।রসুনে থাকা অ্যালিসিন উপাদান উচ্চ কোলেস্টরল ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে।এছাড়া ব্লাডসুগার কমাতেও ভূমিকা রাখে।আপনার দেহের ওজন কমাতে রসুন বেশ কাজে দেবে।
শীতকালে প্রচুর পরিমাণে ফুলকপির উৎপাদন হয়।সবজির মধ্যে ফুলকপি আমার কাছে সবচেয়ে সুস্বাদু মনে হয়।এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে।এতে ক্যালরির পরিমাণ কম,তাই দেহের ওজন কমাতে ফুলকপি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করুন।
এটিও শীতকালের সবজি।শীতকালে প্রচুর টমেটো চাষ হয়।টমেটো খেলে শরীরে কোলেসিসটোকিনিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা স্টম্যাক এবং ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভাল্ভ রয়েছে তা টাইট করে দেয়।ফলে পেট ভর্তি লাগে।তাই অনায়াসেই ওভারইটিং এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
তাহলে,এবার থেকে নিশ্চিন্তে এই নিয়মগুলো মানুন আর দেখুন খুব বেশি কষ্ট না করেই কিভাবে আপনি সুন্দর করে ওজনটি কমিয়ে ফেলছেন।তবে সবার আগে একটা কথা মাথায় অবশ্যই রাখবেন যে,ওজন কমানোর সবচেয়ে প্রাথমিক উপায় হল জিভে লাগাম দেওয়া।তাই হেলদি খাবার খান,একটু এক্সারসাইজ করুন আর ফিট থাকুন।
https://dusbus.com/bn/jogason-4-ti-ja-vuri-komate-sahajyo-kore/
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…