ধরুন আপনি বিয়ের কনে, তাহলে মেকআপ ছাড়া কি বিয়ে করা সম্ভব? একদমই না! কিন্তু আপনি যদি আবার কঠোর ইসলামি ঘরানার হয়ে থাকেন, তাহলে হালাল-হারাম বিবেচনাও তো আপনাকে করতে হবে, তাই না?
মুসলিম বিশ্বে আজকাল মেকআপের ক্ষেত্রেও চলে এসেছে হালাল হারাম বিবেচনা, কেননা প্রসাধন সামগ্রীর অধিকাংশ তৈরিতেই ব্যবহৃত হয় অ্যালকোহল বা এমন পশুর চামড়া ও হাড় যেগুলো ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা হারাম বলে গণ্য হয়। তাই বলে কি বিয়ের কনের সাজ থেমে থাকবে? নিশ্চয়ই না! তাই আমি আপনাকে আজ জানিয়ে দিচ্ছি মাত্র ৫টি টিপস যেগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই হতে পারেন দুশ্চিন্তামুক্ত আর সেই সাথে করে নিতে পারেন আপনার ব্রাইডাল মেকআপও।
ব্রাইডাল মেকআপ করতে আপনাকে যে অনেক অনেক প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে তা তো আপনার জানাই আছে। কিন্তু সেসব প্রসাধনী হতে হবে অবশ্যই হালাল। অর্থাৎ যেসব প্রোডাক্ট তৈরিতে অ্যালকোহল এবং ইসলামে নিষিদ্ধ পশু যেমন, শুকর, কুকুর বা এই জাতীয় পশুর চামড়া, রক্ত ও হাড় ব্যবহার হয় সেগুলোর পরিবর্তে যেসব প্রোডাক্টস শুধুমাত্র ভেজিটেবলস, ফল বা অন্যান্য ভেষজ দিয়ে তৈরি-সেগুলো ভালো করে দেখে কিনুন।
আজকাল অনেক বড় বড় কোম্পানি যেমন ল’রিয়েল, হাজারা, আমারা, ইনিকা ইত্যাদি বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড তাদের কসমেটিক্স পণ্যে হালাল সার্টিফিকেট দিচ্ছে। তাই বেস মেকআপ থেকে শুরু করে ঠোঁটের লিপস্টিক পর্যন্ত যা যা লাগে সেগুলোর গায়ে হালাল সার্টিফিকেট দেখেই কিনে নিন।
আপনি হালাল ব্রাইডাল মেকআপ করবেন, আর ব্রাইডাল পোশাকে একটু মার্জিত ভাব আনবেন না তা কি হয়? তাছাড়া মুসলিম দেশগুলোতে বিয়ের সাজেও শালীনতা বজায় রাখা একান্তই কর্তব্য। কেননা এখানে পশ্চিমা বিশ্বের মতো খোলামেলা ব্রাইডাল পোশাক একদমই বেমানান। আর বাংলাদেশ বা ভারতে নারীদের বিয়ের পোশাকে জমকালো শাড়ি থাকা যেন চাই-ই চাই!
তবে ইদানিং ভারি কাজের লেহেঙ্গাও খুব চলছে ব্রাইডাল পোশাক হিসেবে। তবে আপনি শাড়ি বা লেহেঙ্গা যাই পরুন না কেন, সেটাতেই মার্জিত ভাব আপনাকে বজায় রাখতেই হবে হালাল হিসেবে উপস্থাপনের জন্য। আর এই চিন্তা থেকেই বিয়ের কনেকে ওড়না দিয়ে সুন্দর করে মাথা ঢেকে রাখা, যথাসম্ভব ঢেকে ঘিরে শাড়ি পরানো, পেটের অংশ বের হয়ে না থাকা, ব্লাউজের অংশে কোনো খোলামেলা ডিজাইন না থাকা ইত্যাদির চল চলে আসছে আবহমান যুগ ধরে।
ব্রাইডাল লুকে আপনি আরও বেশি পবিত্র ভাব নিয়ে আসতে চাইলে শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে পরে নিতে পারেন দামি কাপড়ের হিজাব। সেই সাথে গর্জিয়াস একটা ব্রোচ ব্যবহার করলেও চলে আসবে পারফেক্ট ব্রাইডাল লুক, আর তা হবে পবিত্র ও মার্জিতও।
ইসলাম ধর্মের রীতি অনুসারে পরিবারের বাইরের মানুষজনের সামনে নিজেকে বেশি উপস্থাপন করা ঠিক নয়। কিন্তু সামাজিকতা রক্ষার্থে আমরা বিয়েতে নিজেকে উপস্থাপন করে থাকি অনন্য হিসেবে। তাই হালাল হারামের বিবেচনা যেহেতু করছেনই, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্রাইডাল মেকআপে নিয়ে আসতে পারেন চমৎকার একটি পরিবর্তন।আজকাল প্রায় সব পার্লারেই ন্যাচারাল ব্রাইডাল লুকের মেকআপ করা হয়।
এই ধরণের মেকআপে আপনাকে পরিপূর্ণ বিয়ের মেকআপ তো করা হবেই, কিন্তু সেটা হবে একদম ন্যাচারাল বা লাইট কালারের সব পণ্য দিয়ে। ন্যাচারাল কালারের মেকআপ আর হালাল পোশাকে সত্যিই আপনাকে ব্রাইডাল লুকে লাগবে অসাধারণ সুন্দরী!
তো জেনে গেলেন হালাল ব্রাইডাল মেকআপ করার জন্য আপনাকে কী কী স্টেপ মেনে চলতে হবে। শুধু যে মুসলমান হলেই আপনাকে হালাল মেকআপ করতে হবে তা নয়, বরং নিজেকে আর দশটা বিয়ের কনের চেয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনার রুচি অনুযায়ী আপনি বেছে নিতে পারেন হালাল ব্রাইডাল মেকআপ, যা আপনাকে বিয়ের দিন করে তুলবে সত্যিই অনন্যা আর এনে দেবে পবিত্র ব্রাইডাল ইমেজ!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…