হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন, বাড়িতে বসে নিজেই করতে পারবেন চুল স্ট্রেট। আর পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচা করতে হবে না। অনেক অনেক কম খরচায় সহজেই বাড়িতে করে ফেলতে পারবেন। তাও আবার চুলের কোন ক্ষতি না করে।
পার্লারে চুল স্ট্রেট করতে অনেকটাই খরচা। তার ওপর চুল লম্বা হলে তো কথাই নেই, আরও খরচা। অন্যদিকে আবার পার্লারে ব্যবহার করা হয় নানান প্রোডাক্ট। এইসব প্রোডাক্টে থাকে নানারকম কেমিক্যাল। যেগুলো চুলের জন্য ভালো হয় না। সাথে আবার অতিরিক্ত তাপ দেওয়া হয় যা মারাত্মক ক্ষতি করে চুলের। তাই প্রথম প্রথম ভালো লাগলেও, পরে সঠিক যত্ন না করতে পারলে চুলের বারোটা বেজে যায়।
কিন্তু ইচ্ছা তো করেই, তাহলে উপায় কি? চিন্তা নেই এবার বাড়িতে বসেই হয়ে যাবে চুল স্ট্রেট। তাও সহজেই। কীভাবে? দেখুন তাহলে স্টেপ বাই স্টেপ।
পার্লারে চুল স্ট্রেট করার সময়ে হেয়ার স্ট্রেটনিং ক্রিম বা মাস্ক লাগানো হয়। সেটা কিন্তু বাড়িতেও প্রয়োজন। চিন্তা নেই বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে বলব না। বাড়িতেই বানিয়ে নেব সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। এরজন্য প্রথমেই জোগাড় করে ফেলুন একটা নারকেল। একটু তাজা টাটকা নারকেল হলে ভালো হয়। কিন্তু না পেলে কোন সমস্যা নেই। যেটা পাবেন তাই দিয়েই হবে। লাগবে নারকেলের দুধ। বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। নাহলে নিজেই বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। কীভাবে বানাবেন দেখুন।
নারকেল ফাটিয়ে জলটা বার করে রাখুন। এবার নারকেল ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। নারকেল ছাড়িয়ে নারকেলের ওপরের শক্ত অংশ বাদ দিয়ে দিন। খালি সাদা অংশ ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার মিক্সিতে দিয়ে ব্লেণ্ড করে নিন। ব্লেণ্ড হওয়া নারকেল একটা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে মুড়ে চিপে দুধ বার করে নিন। মোটামুটি একটা নারকেল থেকে যতটা দুধ পাবেন সবটাই লেগে যাবে। একটু মাঝারি সাইজের নারকেল নেবেন। একদম ছোট নয়।
এবার একটা বাটিতে ৪চামচ লেবুর রস নিয়ে নিন। এরজন্য একটা বড় পাতিলেবু। নাহলে দুটো ছোট লেবু লাগবে। লেবুর রসে মিশিয়ে নিন ২ চামচ ময়দা। ভালো করে দুটো উপকরণ মিশিয়ে নিন।
একটা পাত্রে নারকেলের দুধ সবটা নিয়ে নিন। গ্যাসে বসিয়ে নাড়তে থাকুন। ২ মিনিট মত নাড়ুন। তারপর ওই লেবু আর ময়দার মিশ্রণটা মিশিয়ে নিন। নাড়তে থাকুন ভালো করে। দিয়ে দিন ২চামচ আমণ্ড অয়েল। ভালো করে নাড়তে থাকুন। গ্যাস বাড়িয়ে দেবেন না। মাঝারি আঁচে এটা ভালো করে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে দেখবেন একটা ক্রিমি টেক্সচার এসে যাবে। ক্রিমের মত হয়ে গেলে গ্যাস অফ করে দিন। মিনিট পাঁচেক নাড়লেই এটা রেডি হয়ে যাবে। তারপর এই ক্রিম ঠাণ্ডা হতে দিন। আধঘণ্টা এটা রেখে দিন।
চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। একটুও জট যেন না থাকে। চুল আগেরদিন শ্যাম্পু করে রাখবেন। তাহলে লাগাতে সুবিধা হবে। এবার চুল দুভাগে ভাগ করে নিন। সামনের দিকে চুল এনে এই প্রাকৃতিক স্ট্রেটনিং ক্রিম ভালো করে লাগাতে থাকুন। চুল সোজা করে একদম সোজা ভাবে চুল টেনে এটা লাগান। পুরো চুলে ভালো ভাবে লাগিয়ে চুল চিরুনি দিয়ে সোজা ভাবে টেনে টেনে আঁচড়ে নিন। সঙ্গে সঙ্গে আঁচড়ে নিন চুল শুকিয়ে গেলে আঁচড়ানো যাবে না।
এটা লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। দেখবেন চুল মুড়বেন না। চুল যেন সোজা ভাবে থাকে। তবেই স্ট্রেট এফেক্টটা থাকবে। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করার সময়ে চুলকে বেশি মুড়বেন না। সোজা ভাবেই শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর কন্ডিশনার। চুল যাদের একটু স্ট্রেট ধরণের তারা মাসে তিনবার এটা করুন। আর চুল কার্লি হলে সপ্তাহে একবার করলে ভালো ফল পাবেন। মানে স্ট্রেট এফেক্টটা ভালো থাকবে। একবার করলেই কিন্তু হবে না। কারণ এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে হচ্ছে চুলের কোনরকম ক্ষতি না করে।
এইভাবে চুল স্ট্রেট করলে চুলের কোন ক্ষতি তো হবেই না বরং চুল ভালো থাকবে। কারণ এতে আছে নারকেলের দুধ, যেটা চুলের জন্য উপকার। অন্যদিকে অনেক কম খরচায় হয়ে যাবে। মাসে ৩ – ৪ বার করুন। ২ বার করার পরই চুলের পরিবর্তনটা বুঝতে পারবেন। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের আজই বাড়িতে ট্রাই করুন, তারপর রেজাল্টটা আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…