চুল পড়ার সমস্যার যারা জেরবার হয়ে যাচ্ছেন, আজকের আর্টিকেল তাঁদের জন্য। আপনারা অনেকেই চুল পড়া সমস্যার থেকে বাঁচতে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন। আর হেয়ার মাস্কের মধ্যেই আগে আসে হেনা, তার সঙ্গে ডিম, দই, কলা এই সব উপকরণ। কিন্তু এই উপকরণের বাইরেও চুলের জন্য আরও ভালো কিছু উপকরণ আছে, যেগুলির প্যাক আপনার মাথায় একরাশ চুল এনে দেবে। জানবেন নাকি কি সেই উপাদান?
গ্রিন টি’র মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের জন্য খুবই ভালো। এটি চুলের বৃদ্ধিতে খুব সাহায্য করে।
খুব ভালো হয় যদি আগের দিন রাতে জলে গ্রিন টি ভিজিয়ে রাখেন। গরম জলেই ভেজাতে হবে তার কোনও মানে নেই। পরের দিন জল থেকে গ্রিন টি’র পাতা তুলে নিন। এর মধ্যে ডিমের কুসুম দিয়ে ভালো করে মেশান। একটি স্মুদ পেস্ট হয়ে গেলে সেটি চুলে, স্ক্যাল্পে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২৫ মিনিট মতো। এবার ঠাণ্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’ দিন করতেই পারেন। এতে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
ভিটামিন ই-তে থাকে টোকোফেরল নামের এক উপাদান, যা চুল পড়া থেকে রক্ষা করতে দারুণ কাজ দেয়। আর ভিটামিন ই’র অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল, এক চামচ নারকেল তেল, এক চামচ আমন্ড তেল, এক চামচ ক্যাস্টর তেল।
cএটি আগের দিন রাতে করলে ভালো হয়। আগে একটি পাত্রে তেলগুলি নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার ওই মিশ্রণে দিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে তার ভিতরের তেল। আবার ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণ এবার চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে, মাথায় শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিলেই বুঝবেন চুল কত ভালো লাগছে। এটা সপ্তাহে এক দিন করুন দুই মাস। চুল পড়ার সমস্যায় কত ভালো আছেন নিজেই বুঝতে পারবেন। চুলের জন্য উপকারী সব তেল এর মধ্যে আছে। এই মিশ্রণ তাই চুলের গোঁড়া মজবুত করে।
চুলের জন্য দারচিনি সম্ভবত ব্যবহার করেননি। অনেকে রঙের জন্য করতে পারেন, কিন্তু চুল পড়া থামাতে? না। কিন্তু দারচিনিও চুল পড়া কমিয়ে চুলের গোছ মোটা করতে সাহায্য করে।
আগে কিছু দারচিনি নিয়ে মিক্সিতে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। এবার তিন চামচ সেই দারচিনি গুঁড়ো আর মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রেখে দিন যতক্ষণ না শুকিয়ে যাচ্ছে। স্ক্যাল্পে এই মিশ্রণ না লাগানোই ভালো, শুধু চুলে লাগান। শুকিয়ে গেলে ভালো করে চুল পরিষ্কার করে নিন আর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে এক বার করেই করুন। দেখবেন চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা শাইন আসছে চুলে।
লেবু স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে খুব সুন্দর ভাবে। স্ক্যাল্পে যে ময়লা জমে আছে, লেবু সহজেই তা তুলে দেয়। আর হুইট জার্ম চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখে। ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় না। তাই সহজেই আর চুল পড়তে পারে না।
লেবুর রস আর হুইট জার্ম তেল ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণ চুলের গোঁড়ায় ভালো করে দিন। সারা চুলেও দিন ভালো করে। তারপর শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। মোটামুটি ৩০ মিনিট মতো লাগবে। এরপর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করে করলে এক মাস পর থেকেই ফল পেতে শুরু করবেন।
আমলা নিয়ে নতুন করে তো বলার কিছু নেই। চুলের জন্য যদি এক নম্বরে কোনও জিনিসকে রাখতে হয় সেটা হল এই আমলা। আমলা কিন্তু চুলের ভলিউম বাড়ায় খুব সুন্দর।
আগে দুটো আমলা ভালো করে পিষে নিন। একটা পেস্ট মতো হয়ে যাবে। এর মধ্যে এবার ডিমের সাদা অংশ, ফ্রুট সল্ট, আর খানিক জল নিয়ে স্মুদ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে এবার শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’ দিন করলে ভালো ফল পাবেন।
আমলা ছাড়া বাকি সব উপকরণই কিন্তু চুলের জন্য একটু নতুন। এগুলির মাস্ক একটু ব্যবহার করে দেখুন। চুল পড়া কিন্তু সত্যিই অনেক কমে যাবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…