বাঙালি তনয়ার বলিউডে গিয়ে রাজপাট দখল আমরা দেখেছি বেশ কয়েকবার। সুচিত্রা সেন থেকে শুরু করে তনুজা, শর্মিলা ঠাকুর কে নেই সেই তালিকায়। আর নতুন প্রজন্মের মধ্যে সেই তালিকায় শুরুর দিকে অবশ্যই থাকবেন বিপাশা বসু আর কঙ্কনা সেন শর্মা।
যদিও দুজনকেই মেকআপ বা নিজস্ব স্টাইল মেনে চলার জন্য পার্লার, থেরাপি সবই করতে হয়। কিন্তু কোথাও গিয়ে দুজনেই এক। তাঁরা দুজনেই বাঙালি তাই কিছুটা মিল তাঁদের রুপচর্চায় আছেই। চুলের ক্ষেত্রে তাঁরা ঠিক কি কি মেনে চলেন তার সন্ধান আজকের লেখায়।
বিপাশা বসু বলুন বা কঙ্কনা, দুজনেই কিন্তু একটা কথা বিশ্বাস করেন। চুল ভালো রাখতে হলে ভিতর থেকে ভালো থাকা চাই। চুল তখনই ভালো থাকবে, সফট থাকবে যখন আমার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। তাই প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিপাশা আর কঙ্কনা।
এর সঙ্গে চুলের জন্য ভালো যে খাবার, যাতে প্রোটিন রয়েছে আর ভিটামিন রয়েছে এমন খাবার খাওয়ার পক্ষপাতী দুজনেই। আর সবচেয়ে বড় কথা, ফ্যাট বর্জন। অতিরিক্ত তেল খেলে চুলের বারোটা বাজবেই। তাই দুজনেই অতিরিক্ত তেলে একদম না।
খাবারে তেল বর্জন করলেও চুলে কিন্তু নিয়ম মেনে তেল দেওয়া চাইই দুজনের। বিপাশা যেখানে নানারকম এক্সপেরিমেন্ট করেন চুল নিয়ে, সেখানে কঙ্কনার বড় খোলা চুল হল ইউনিক স্টাইল স্টেটমেন্ট।
এই দু ক্ষেত্রেই কিন্তু চুলের যত্ন বা ম্যানেজেবল থাকা খুব দরকার। আর তার জন্য অয়েল ম্যাসাজ মাস্ট।
শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে হট অয়েল ম্যাসাজ লাগে বিপাশার। নারকেল তেলের বাইরে আমন্ড অয়েল বেশি প্রিয় বিপাশার। আবার আমলা তেলও ব্যবহার করেন।
কঙ্কনার ক্ষেত্রে কিন্তু কোল্ড প্রেস নারকেল তেল প্রথম পছন্দ। সপ্তাহে দু দিন এই তেল দেওয়া চাইই কঙ্কনার।
চুল তো আসলে প্রোটিনই। আর চুল ভালো রাখতে, চুলের কিউটিকল ভালো রাখতে চুলে প্রোটিন যুক্ত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতেই হয়।
বিপাশা বসু আর কঙ্কনা, দুজনেই মাসে একবার করে হেয়ার প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করেন। আর প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করার পর অবশ্যই মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু আর ভালো কন্ডিশনার দিয়ে চুল কন্ডিশনড করে নেওয়া চাইই কঙ্কনার। কঙ্কনা প্রোটিন প্যাকে মাঝে মাঝে ডিম বা দই মিশিয়ে নেন। এতে প্যাকের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।
অভিনেত্রী বলে কথা, আর পার্লার যাবেন না তা তো হয় না। কঙ্কনা বা বিপাশা দুজনেই পার্লারে যান নিয়ম করে। অনেক ভারী আলো, মেকআপ এই সবের মধ্যে শুটিং করতে করতে শুধু ঘরোয়া উপায় কাজে আসে না।
দুজনেই তাই হেয়ার স্পা করাতে পার্লারে যান নিয়ম করে। বিপাশা খানিক বেশি গেলেও কঙ্কনাও কিন্তু যান।
দু মাসে একবার কঙ্কনা হেয়ার স্পা করেন। যদি আয়ুর্বেদিক পার্লার হয় বা আয়ুর্বেদিক মতে ট্রিটমেন্ট হয়, তাহলে সেই দিকে কঙ্কনার বিশেষ ঝোঁক থাকে।
কঙ্কনা বা বিপাশা, দুজনেই কিন্তু শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের দিকে খুব ভালো নজর দেন। বিপাশা এই দুটি জিনিসের প্রতি বেশ ভালো অ্যামাউন্ট খরচ করেন। মাইল্ড, কম ক্যামিকেল যুক্ত শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার বিপাশার সবচেয়ে প্রিয়। বেবি শ্যাম্পুর দিকেও অনেক সময়ে ঝোঁক থাকে বিপাশার।
কঙ্কনা আবার ট্র্যাডিশনাল জিনিস আছে যে সব শ্যাম্পুতে, মানে রিঠা, আমলা, শিকাকাই, এই সব উপাদান থাকা শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার করেন। কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও কঙ্কনা খুব চুজি।
আর দুজনেই খুব ভালো করে নিজের চুল, চুলের ধরণ দেখে নিয়ে তারপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করেন।
চুলে তো মাঝে মাঝে রঙ করতেই হয়। চরিত্রের জন্য দরকার ছাড়াও নিজের ইচ্ছে হলেও তো রঙ করা যায়। বিপাশা বিশেষ করে রঙের দিকে বা ডাই করার দিকে খেয়াল রাখেন। খুব হার্শ ডাই ব্যবহার করেন না। কালার করার ক্ষেত্রে তিনি পার্লারে গিয়ে করতেই বিশেষ পছন্দ করেন। তবে নিজে মাঝে মাঝে করলে আগে অবশ্যই মাথায় অয়েল ম্যাসাজ করে নেন।
কঙ্কনা খুব একটা কালার চুলে করেন না। করলেও চুলের রঙের সঙ্গে মিল রেখে হাল্কা কিছু কালার করেন। আর সেটিও করেন বাড়িতে নিজেই।
তাহলে এই দুই বঙ্গতনয়ার থেকে কি জানলেন সেটা আমাদের জানাতে ভুলবেন না। বিপাশা আর কঙ্কনা, দুজনে কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে দুই রকমের। কিন্তু তাও দুজনের মধ্যে হেয়ার কেয়ার নিয়ে কিছু মিল আর অমিলও আছে। আপনি কার টিপস মানবেন সেটা এখন আপনার উপর।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…